ঠাকুরগাঁওয়ে করলার বাম্পার ফলন

549

ঠাকুরগাঁও, ৭ নভেম্বর ২০২০ (বাসস) : জেলার সদর উপজেলায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে করলা চাষ।অল্পসময়ে কম পুঁজিতে বেশি লাভ হয় বলে করলা চাষে ঝুঁকেছেন স্থানীয় চাষিরা।
চলতি মৌসুমেও এ উপজেলায় করলার বাম্পার ফলন হয়েছে। পাশাপাশি এবার ভালো দাম পাওয়া যাচ্ছে। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এ করলা চলে যাচ্ছে ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রাম, বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায়।
সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষ্ণ রায় জানান, চলতি মৌসুমে সদর উপজেলায় ২২০ হেক্টর জমিতে করলা চাষ হয়েছে। প্রতি হেক্টরে ফলন হয়েছে প্রায় ১৭ হাজার কেজি। করলা চাষিদেও প্রূেয়াজনীয় পরামর্শসহ সহায়তা দিচ্ছে উপজেলা কৃষি দপ্তর।
করলা চাষিরা জানান, সাধারণত বছরে দ’ুবার করলা চাষ করা যায়। আগস্ট থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত একবার এবং অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত আরেকবার করলা চাষ করা যায়। সাধারণত রোপণের চল্লিশদিন থেকে পঞ্চাশদিনের মধ্যে ফলন পাওয়া যায়।
সরেজমিনে দেখা যায়- সদর উপজেলার রাজাগাঁও, আসান নগর, চাপাতি, রাজারামপুর, খড়িবাড়ি, দক্ষিন বঠিনা, উত্তর বঠিনা, ঝলঝলি, ফরিদপুর, বড়দেশ্বরী, ধর্মপুর, বোয়ালিয়া, চোপড়াপাড়াসহ রুহিয়ার বিভিন্ন এলাকার প্রায় দু’শজন কৃষক করলা চাষ করেছেন।
সদর উপজেলার রুহিয়ার পাইকারি সবজি ব্যবসায়ী মু. হাবুল জানায়, পাইকারি বাজারে প্রতিমণ করলা বিক্রি হচ্ছে দু’হাজার টাকায়। রুহিয়া বাংলা বাজারসহ বিভিন্ন বাজারে প্রতিকেজি করলা বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়।
ঠাকুরগাঁওয়ের বড়দেশ্বরী গ্রামের ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পদক’ প্রাপ্ত কৃষক মু. মেহেদী হাসান উল্লাহ জানান, পাঁচবছর যাবৎ করলা চাষ করে তিনি লাভবান হচ্ছেন। তাকে দেখে গ্রামের শতাধিক চাষি করলা চাষের দিকে ঝুঁকেছেন।
একই এলাকার করলা চাষি মোতাহার হোসেন জানান, চলতি মৌসুমে তিনি ৩৩ শতাংশ জমিতে ১২ হাজার টাকা খরচ করে করলা চাষ করেছেন এবং ফলন থেকে দুইলাখ থেকে আড়াইলাখ টাকা পাওয়ার আশা করছেন।