বাসস দেশ-৫ : চট্টগ্রামে নতুন করে ৮৬ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত

126

বাসস দেশ-৫
চট্টগ্রাম-করোনা-শনাক্ত
চট্টগ্রামে নতুন করে ৮৬ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত
চট্টগ্রাম, ৬ নভেম্বর, ২০২০ (বাসস) : চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ৮৬ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমণের হার ৬ দশমিক ৮৯ শতাংশ। এসময় করোনাক্রান্ত কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী, নগরীর আটটি এবং কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের ১ হাজার ২৪৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন শনাক্ত ৮৬ জনের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৭১ জন এবং সাত উপজেলার ১৫ জন। উপজেলা পর্যায়ে আক্রান্ত ১৫ জনের মধ্যে সীতাকু-ে সর্বোচ্চ ৫ জন, বাঁশখালীতে ৩ জন, আনোয়ারা ও বোয়ালখালীতে ২ জন করে এবং লোহাগাড়া, সাতকানিয়া ও পটিয়ায় ১ জন করে রয়েছেন। জেলায় করোনাভাইরাসে সংক্রমিতের মোট সংখ্যা এখন ২১ হাজার ৬৪০ জন। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ১৫ হাজার ৯১৬ জন ও বিভিন্ন উপজেলার ৫ হাজার ৭২৪ জন।
বৃহস্পতিবার সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন ৩০ জন। ফলে আরোগ্য লাভকারীর সংখ্যা ১৬ হাজার ৭৫৬ জনে উন্নীত হলো। নতুন ২৫ জন হোম কোয়ারেন্টাইন শুরু করেছেন। বর্তমানে কোরেন্টাইনে থাকা রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ৭১ জন।
চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাক্রান্ত কারো মৃত্যু হয়নি। ফলে মৃতের সংখ্যা ৩০৬ জনই রয়েছে। এতে শহরের ২১২ জন ও গ্রামের ৯৪ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়,বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে এদিন সবচেয়ে বেশি ৬২৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব ধরা পড়ে। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ২৫০ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৪০ জন করোনাক্রান্ত হওয়ার প্রমাণ মেলে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ৬১ জনের নমুনায় ৪ জন জীবাণুবাহক হিসেবে চিহ্নিত হন। ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাবে ৩৯ টি নমুনার মধ্যে ৭ টিতে ভাইরাস পাওয়া যায়। বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরিতে (আরটিআরএল) পরীক্ষিত ৮টি নমুনার ৪টি পজিটিভ হয়।
নগরীর বেসরকারি তিন ল্যাবরেটরির মধ্যে শেভরনে ৮৫, মা ও শিশু হাসপাতালে ৬১ ও ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৫১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে যথাক্রমে ৮, ১১ ও ৪ জনের মধ্যে সংক্রমণ শনাক্ত হয়।
এদিন চট্টগ্রামের ৬৯টি নমুনা পরীক্ষার জন্য কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। এতে ৫টির রেজাল্ট পজিটিভ আসে।
এদিকে, পরীক্ষার ফলাফলে ল্যাবরেটরিভিত্তিক নির্ণিত সংক্রমণ হারে বিস্তর ফারাক লক্ষ্য করা যায়। যেমন সর্বোচ্চ নমুনা পরীক্ষাকারী ল্যাব বিআইটিআইডি’তে সর্বনি¤œ দশমিক ৪৮ শতাংশ এবং মা ও শিশু হাসপাতালে সর্বোচ্চ ১৮ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ হার রেকর্ড হয়। চমেক ল্যাবের হার ছিল ১৬, সিভাসু’র ১৭ দশমিক ৩৯ শতাংশ এবং চবি’র ৬ দশমিক ৫৫ শতাংশ।
বাসস/জিই/কেএস/কেসি/১২৪০/-আসাচৌ