বাসস দেশ-২৬ : চিরুনি অভিযানের চতুর্থ দিনে ৯২ স্থাপনায় লার্ভা পাওয়ায় ১ লাখ ৮৯ হাজার টাকা জরিমানা

144

বাসস দেশ-২৬
ডিএসসিসি-চিরুনি-অভিযান
চিরুনি অভিযানের চতুর্থ দিনে ৯২ স্থাপনায় লার্ভা পাওয়ায় ১ লাখ ৮৯ হাজার টাকা জরিমানা
ঢাকা, ৫ নভেম্বর, ২০২০ (বাসস) : ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় আজ অভিযান চালিয়ে ৯২টি স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ১৭টি মামলায় ১ লাখ ৮৯ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
এডিস মশা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে নগরবাসীকে ডেঙ্গু ও মশাবাহিত অন্যান্য রোগ থেকে সুরক্ষা দিতে শুরু হওয়া বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযানের (চিরুনি অভিযান) চতুর্থ দিনে আজ ভ্রাম্যমান আদালত এ জরিমানা আদায় করে।
ডিএনসিসি’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘আজ ১৩ হাজার ৫১৫টি বাড়ি, স্থাপনা ইত্যাদি পরিদর্শন করে ৯২টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ৮ হাজার ৩৪০টি বাড়ি, স্থাপনা ইত্যাদিতে জমে থাকা পানি পাওয়ায় সেখানে মশার কীটনাশক প্রয়োগ করে জমে থাকা পানি ফেলে দেয়া হয়। এডিসের লার্ভা পাওয়ায় মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে আজ ১৭টি মামলায় ১ লক্ষ ৮৯ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ডিএনসিসির সকল ওয়ার্ডে (৫৪টি) একযোগে এই চিরুনি অভিযান পরিচালিত হয়। উত্তরা অঞ্চলে (অঞ্চল-১) মোট ১ হাজার ১০টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ৭টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এ ছাড়া ৮৯০টি বাড়ি, স্থাপনায় জমে থাকা পানি পাওয়া যায়। এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় এ সময় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জুলকার নায়নের নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ৬টি মামলায় মোট ৩৯ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
মিরপুর-২ অঞ্চলে (অঞ্চল-২) মোট ২ হাজার ৯৬৪টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ৩টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায় এবং ৩১৬টি বাড়ি, স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। মহাখালী অঞ্চলে (অঞ্চল-৩) মোট ১ হাজার ৬৬৫টি বাড়ি, স্থাপনা ইত্যাদি পরিদর্শন করে ৪২টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায় এবং ১ হাজার ১৮৫টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় এ সময়ে আঞ্চলিক নিবার্হী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল বাকীর নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ২টি মামলায় মোট ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
মিরপুর-১০ অঞ্চলে (অঞ্চল-৪) মোট ১ হাজার ৫৩৫টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ৬টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ৮৮০টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। কারওয়ান বাজার অঞ্চলে (অঞ্চল-৫) মোট ২ হাজার ১০০টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ১৪টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ১ হাজার ৭৯০টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পারসিয়া সুলতানা প্রিয়াংকার নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ১টি মামলায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
হরিরামপুর অঞ্চলে (অঞ্চল-৬) মোট ১ হাজার ৪২৬টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ১২টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ১ হাজার ২৪৯টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। ডিএনসিসির প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবদুল হামিদ মিয়ার নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ৭টি মামলায় ৭০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। দক্ষিণখান অঞ্চলে (অঞ্চল-৭) মোট ৮১৬টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ৩টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এ ছাড়া ৬৭৪টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।
উত্তরখান অঞ্চলে (অঞ্চল-৮) এর অধীনে মোট ৮০৮টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ১টি স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায় এবং ৪৯৭টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। ভাটারা অঞ্চলে (অঞ্চল-৯) মোট ৫৩৮টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ৪টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ৩৫২টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এডিসের লার্ভা পাওয়ায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সগীর হোসেনের নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ১টি মামলায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
সাতারকুল অঞ্চলে (অঞ্চল-১০) মোট ৬৫৩টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে কোথাও এডিসের লার্ভা পাওয়া যায়নি। এছাড়া ৫০৭টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এ সকল স্থানে মশার কীটনাশক প্রয়োগ করে জমে থাকা পানি ফেলে দেয়া হয়। আগামীকাল শুক্রবার চিরুনি অভিযান বন্ধ থাকবে, তবে শনিবার থেকে যথারীতি চিরুনি অভিযান আবার শুরু হবে।
বাসস/সবি/এমএসএইচ/১৮৪৫/-শআ