বাসস দেশ-১৪ : ঢাবি শিক্ষার্থীর পাশবিক নির্যাতন মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ

105

বাসস দেশ-১৪
ঢাবি শিক্ষার্থী-পাশবিক নির্যাতন-সাক্ষ্য
ঢাবি শিক্ষার্থীর পাশবিক নির্যাতন মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ
ঢাকা, ৫ নভেম্বর, ২০২০ (বাসস): রাজধানীর কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রীকে পাশবিক নির্যাতনের ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামি মজনুর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ করেছেন রাষ্ট্রপক্ষ।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম কামরুন্নাহারের আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাসহ তিন পুলিশ সাক্ষ্য দেন। এরপর রাষ্ট্রপক্ষ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ সমাপ্ত করেন।আদালত রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের যুক্তি উপস্থাপনের জন্য আগামী ১২ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন।
এই মামলার ২৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ২০ জনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁশলি আফরোজা ফারহানা আহম্মেদ অরেঞ্জ এবিষয়টি বাসসকে নিশ্চিত করেছেন।
উল্লেখ্য,গত ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে করে রওনা দেন ঢাবির এই ছাত্রী। সন্ধ্যা ৭টার দিকে তিনি রাজধানীর কুর্মিটোলা বাসস্ট্যান্ডে নামেন। এরপর অজ্ঞাত এক ব্যক্তি তার মুখ চেপে ধরে সড়কের পেছনে নির্জন স্থানে নিয়ে যান। সেখানে তাকে পাশবিক নির্যাতন করা হয়। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষতচিহ্ন পাওয়া যায়। নির্যাতনের এক পর্যায়ে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন।
জ্ঞান ফেরার পর রাত ১০টার দিকে নিজেকে একটি নির্জন জায়গায় আবিষ্কার করেন ওই ছাত্রী। পরে অটোরিক্সা নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে যান। রাত ১২টার দিকে ওই ছাত্রীকে ঢামেক হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করান তার সহপাঠীরা।
পরের দিন সকালে ওই ছাত্রীর বাবা অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি উত্তর)।
এর আগে ৮ জানুয়ারি মজনুকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। ৯ জানুয়ারি সাত দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পুলিশকে অনুমতি দেয় আদালত। ১৬ জানুয়ারি ঘটনার দায় স্বীকার করে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয় মজনু।
১৬মার্চ ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে মজনুর বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আবু বক্কর।
২৬ আগস্ট ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম কামরুন্নাহার ভার্চুয়াল আদালতে মজনুর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। বর্তমানে মজনু কারাগারে আছে।
বাসস/সংবাদদাতা/এমএমবি/১৭০০/অমি