বাসস ক্রীড়া-১৭ : স্যামুয়েলসের অবসর

141

বাসস ক্রীড়া-১৭
ক্রিকেট-স্যামুয়েলস
স্যামুয়েলসের অবসর
বার্বাডোজ, ৪ নভেম্বর ২০২০ (বাসস) : গত জুনে পেশাদার ক্রিকেট থেকে অবসর নেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্পিন অলরাউন্ডার মারলন স্যামুয়েলস। তবে অবসরের সিদ্বান্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডকে জানান তিনি। সেই খবর এখন জানালেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী জনি গ্রেভ।
ক্রিকেটের জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ক্রিকইনফোকে গ্রেভ বলেন, গত জুনেই পেশাদার ক্রিকেটে আর না খেলার সিদ্বান্ত জানিয়েছেন স্যামুয়েলস।
২০০০ সালে শ্রীলংকার বিপক্ষে ওয়ানডে দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় ৩৯ বছর বয়সী স্যামুয়েলসের। একই বছর টেস্টে পথচলা শুরু হয় তার। প্রতিপক্ষ ছিলো অস্ট্রেলিয়া। আর ২০০৭ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টি-টুয়েন্টি ম্যাচ খেলতে নামেন স্যামুয়েলস।
২০১৬ সাল পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ৭১ টেস্টে ৭টি সেঞ্চুরি ও ২৪টি হাফ-সেঞ্চুরিতে ৩,৯১৭ রান করেছেন স্যামুয়েলস। তার সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস ২৬০ রানের। যা খুলনায় বাংলাদেশের বিপক্ষে করেছিলেন তিনি।
১৮ বছরের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে দেশের হয়ে ২০৭টি ম্যাচ খেলেছেন স্যামুয়েলস। ১০টি সেঞ্চুরি ও ৩০টি হাফ-সেঞ্চুরিতে ৫,৬০৬ রান করেছেন।
৬৭টি-টুয়েন্টিতে ১০টি হাফ-সেঞ্চুরিতে স্যামুয়েলসের রান ১,৬১১। পাশাপাশি অফ স্পিনে পারদর্শী ছিলেন স্যামুয়েলস। টেস্টে ৪১টি, ওয়ানডেতে ৮৯টি ও টি-টুয়েন্টিতে ২২টি উইকেট নিয়েছেন তিনি।
দু’বার টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দু’বারই দলের শিরোপা জয়ে ফাইনালে বড় অবদান রাখেন তিনি। ২০১২ সালের ফাইনালে কলম্বোতে শ্রীলংকার বিপক্ষে ৫৬ বলে ৭৮ রান ও বল হাতে চার ওভারে ১৫ রানে ১ উইকেট নেন স্যামুয়েলস। চার বছর পর কলকাতায় ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ফাইনালে ৬৬ বলে অপরাজিত ৮৫ রানে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শিরোপা নিশ্চিত করেছিলেন তিনি। দুই বিশ্বকাপের ফাইনালেই ম্যাচ সেরা খেলোয়াড় হয়েছিলেন স্যামুয়েলস।
বাসস/এএমটি/২০১০/স্বব