উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া জঞ্জালগুলোর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে : ডিএসসিসি মেয়র

806

ঢাকা, ৪ নভেম্বর, ২০২০ (বাসস) : ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, উত্তরাধিকারসূত্রে অনেক জঞ্জাল পেয়েছি। পর্যায়ক্রমে সবগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
তিনি আজ দুপুরে ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাপ্তান বাজারের আধুনিক জবাইখানার চলমান কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
ডিএসসিসি মেয়র বলেন,‘উত্তরাধিকারসূত্রে অনেক জঞ্জাল আমরা পেয়েছি, অনেক সমস্যা জর্জরিত ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এলাকা। পর্যায়ক্রমে সবগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি, কোনটাই আমরা ছাড় দিচ্ছি না। আপনারা কিছুদিন পরে জানতে পারবেন। একটি মার্কেটে যে অবৈধ দোকানগুলো করা হয়েছে। এরই মাঝে আমরা সেগুলো উচ্ছেদের কার্যক্রম হাতে নিয়েছি, উচ্ছেদ আরম্ভ হবে। আমাদের যতগুলো নিজস্ব মার্কেটে আছে এবং সে মার্কেটেগুলোতে যত অবৈধ দোকান আছে, আমরা পর্যায়ক্রমে সবগুলো উচ্ছেদ করবো।’
বুড়িগঙ্গায় বর্জ্য ফেলা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ‘সিটি কর্পোরেশন আসলে বর্জ্য ফেলে না, বর্জ্য অপসারণ করে। (সিটি কর্পোরেশন বর্জ্য ফেলে নদী ভরাট করছে, সেই বক্তব্যটি ভুল) এটি ভুল তথ্য। তবে প্রধানমন্ত্রীর অভিপ্রায় অনুযায়ী আমরা আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেল পুনরুদ্ধার করবো। সেজন্য ইতোমধ্যে এমআইএসটিকে (মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি) পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিয়োগ দিয়েছি। তারা একটি প্রাথমিক প্রতিবেদন জমা দিয়েছে, তার ওপর কাজ করছি। আদি বুড়িগঙ্গাকে সম্পূর্ণরূপে পুনরুদ্ধার করে সেখানে নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি করবো। তাহলে বর্জ্য থেকেও মুক্ত হবো এবং ঢাকাবাসী একটি সুন্দর নান্দনিক পরিবেশ উপভোগ করতে পারবেন।’
এ সময় কাপ্তানবাজার আধুনিক জবাইখানার কাজে ধীর গতির জন্য উষ্মা প্রকাশ করে ডিএসএসসি মেয়র বলেন, এই কাজটি ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। আমি প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছি যাতে দ্রুত গতিতে এই কাজটি সম্পন্ন করা হয়। এর মাধ্যমে আমরা আধুনিক জবাইখানাটির কার্যক্রম আরম্ভ করতে পারবো।
পরে ডিএসএসসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস ১১ নম্বর ওয়ার্ডের ঝিলপাড় ও ১২ নম্বর ওয়ার্ডের ইন্দুপুর খাল পরিদর্শন করেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মো. বদরুল আমিন, প্রধান প্রকৌশলী রেজাউর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হকসহ দক্ষিণ সিটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং স্থানীয় কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।