হবিগঞ্জে বৃক্ষমেলায় ফুল ও ফলের সমারোহ : শ্বেত-শুভ্র ক্যামেলিয়ায় নজর কেড়েছে সবার

285

হবিগঞ্জ, ৬ আগস্ট ২০১৮ (বাসস) : জেলায় বৃক্ষমেলায় শত শত গাছের ভিড়ে শ্বেত-শুভ্র একটি ফুল সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। অপরিচিত এই ফুলটি দেখতে দর্শনার্থীদেরও ভিড় জমছে। কাছে যেয়ে ফুলটি দেখে নয়ন জুড়িয়ে যায় সবার। সকলেই যখন অবাক হয়ে নতুন দেখা ফুলের কাছে গিয়ে এর নাম ঠিকানার অনুসন্ধান করছিলেন, তখন দুরে থাকা মাসুক প্লান্ট নার্সারী মালিক এগিয়ে এসে বললেন এই ফুলটির নাম ক্যামেলিয়া। এটি ভারত এবং থাইল্যান্ডে বেশী হয়। তিনি তিনটি গাছের চারা গাজীপুরের কাপাসিয়া থেকে ২ হাজার ৪শ টাকায় সংগ্রহ করে এনেছেন।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে নিমতলার সোমবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে ৭ দিনব্যাপী বৃক্ষরোপন অভিযান, বৃক্ষ এবং ফলদ বৃক্ষ মেলা। জেলা প্রশাসন, বন বিভাগ এবং জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের যৌথ আয়োজনে এই মেলার আকর্ষণ বৃদ্ধি করেছে ক্যামেলিয়া ফুলসহ বিভিন্ন বিদেশী ফুল, বিদেশী ফল এবং বনসাই-এর গাছের চারা। বিশেষ করে বাহারী ফুল এবং ফলের দিকে বেশী ঝুঁকছেন দর্শনার্থীরা। হরেক রকম মাল্টা, বিভিন্ন ধরনের জাম্বুরা, এক কেজি ওজনের জারা লেবু, বিদেশী ফল রাম্বুটান, বিভিন্ন ধরনের তরমুজ দেখে মুগ্ধ হয়েছেন সবাই।
মেলায় যে ফুলটিকে ক্যামেলিয়া বলা হচ্ছে সেটি নিয়ে অবশ্য রয়েছে ভিন্নমত। উদ্ভিদবিজ্ঞানীরা নিশ্চিত হতে পারেননি এটি কি ফুল। সরকারী বৃন্দাবন কলেজের সহকারী অধ্যাপক ড. সুভাষ চন্দ্র দেব জানান, এটি ক্যামেলিয়া ফুল কিনা তা নিশ্চিত নয়। তবে এটি কি ধরনের ফুল তা তাৎক্ষণিকভাবে বলতে পারেননি তিনি।
আজ বেলা সাড়ে ১১টায় ফিতা কেটে এই মেলা আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন হবিগঞ্জ-৩ (সদর-লাখাই) আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট মোঃ আবু জাহির। এ সময় এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি শহর প্রদক্ষিণ করে নিমতলা কালেক্টরেট প্রাঙ্গণে গিয়ে সমাপ্ত হয়।
পরে জেলা প্রশাসক মাহমুদুল কবির মুরাদের সভাপতিত্বে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন এমপি আবু জাহির। বিশেষ অতিথি’র বক্তব্য রাখেন হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ফজলুল জাহিদ পাভেল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম, সাবেক পিপি এডভোকেট এম আকবর হোসেইন জিতু, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক তমিজ উদ্দিন খান, উপ বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন, বিটিভি’র জেলা প্রতিনিধি মোঃ আলমগীর খান, জেলা নার্সারী মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুল মতলিব প্রমুখ।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক তমিজ উদ্দিন খান জানান, মেলায় সর্বমোট ১৯টি স্টল অংশ নিয়েছে। এর মাঝে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের দুইটি ফল প্রদর্শনী এবং বন বিভাগের ২টি বনজ বৃক্ষ প্রদর্শনী রয়েছে। বাকী ১৭টি স্টল স্থানীয় নার্সারী মালিকদের।
স্টলগুলোতে নানাজাতের দেশী-বিদেশী ফল, ওষুধী, কাঠের বৃক্ষ এবং প্রাকৃতিক শোভা বর্ধনকারীসহ হরেক রকম বৃক্ষের চারা রয়েছে বলে জানান তিনি। মেলা শেষ হবে ১২ আগস্ট।