বাসস ক্রীড়া-১০ : সপ্তমবারের মত জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করতে চায় পাকিস্তান

104

বাসস ক্রীড়া-১০
ক্রিকেট-ওয়ানডে
সপ্তমবারের মত জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করতে চায় পাকিস্তান
রাওয়ালপিন্ডি, ২ নভেম্বর ২০২০ (বাসস) : তিন বা ততোধিক ওয়ানডে ম্যাচ সিরিজে সপ্তমবারের মত জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করতে চায় পাকিস্তান। চলমান ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দু’ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে পাকিস্তান। আগামীকাল সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে জিতে জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করতে চায় স্বাগতিকরা। পক্ষান্তরে শেষ ম্যাচ জিতে পাকিস্তানের কাছে হোয়াইটওয়াশ এড়াতে চায় সফরকারী জিম্বাবুয়ে। রাওয়ালপিন্ডিতে সিরিজের শেষ ওয়ানডে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বেলা ১টায়।
সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে জিম্বাবুয়েকে ২৬ রানে হারায় পাকিস্তান। প্রথমে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ২৮১ রান করে পাকিস্তান। হারিস সোহেলের ৭১ ও ইমাম উল হকের ৫৮ রানের সুবাদে লড়াকু সংগ্রহ পায় পাকিস্তান।
তবে পাকিস্তানের ছুঁড়ে দেয়া টার্গেটের জবাবটা ভালো দিয়েছিলো জিম্বাবুয়ে। সাবেক অধিনায়ক ব্রেন্ডন টেইলের সেঞ্চুরিতে জয়ের সম্ভাবনাও জাগিয়েছিলো তারা। কিন্তু টেইলর ১১২ রানে থামলে, জয় বঞ্চিত হয় জিম্বাবুয়ে। পাকিস্তানের দুই পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদির ৫ ও ওয়াহাব রিয়াজের ৪ উইকেট শিকারে ২৫৫ রানে অলআউট হয় তারা। ১১টি চার ও ৩টি ছক্কায় ১১৭ বলে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১১তম ও পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম সেঞ্চুরির স্বাদ নেন টেইলর।
প্রথম ম্যাচে লড়াই করতে পারলেও, দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তানের স্পিনার ইফতেখার আহমেদের ঘুর্ণিতে কুপোকাত হয় জিম্বাবুয়ে। ২০৬ রানে গুটিয়ে যায় তারা। ইফতেখার ৪০ রানে ৫ উইকেট নেন। ২০৭ রানের টার্গেট স্পর্শ করতে বেগ পেতে হয়নি পাকিস্তানকে। ব্যাট হাতে অধিনায়কোচিত ইনিংস খেলেন বাবর আজম। ৭৪ বলে অপরাজিত ৭৭ রান করেন তিনি। তাই সিরিজ জয় নিশ্চিত করে এখন প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশের লক্ষ্য পাকিস্তানের।
পাকিস্তানের উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ রিজওয়ান বলেন, ‘প্রথম দু’ম্যাচে আমরা ভালো খেলেছি। এই ধারাটা ধরে রাখতে চাই। হোয়াইটওয়াশ নিয়েও আমরা ভাবছি। ভালো খেলতে পারলে জয় আসবে। তখন হোয়াইটওয়াশও সম্ভব হবে।’
জিম্বাবুয়ের ওপেনার ব্রায়ান চারি জানান, ‘প্রথম ম্যাচে আমরা ভালো খেলেছি। টেইলর দারুন এক ইনিংস খেলেছে। দ্বিতীয় ম্যাচে আমরা তিন বিভাগেই ব্যর্থ হয়েছি। তবে তৃতীয় ম্যাচে ভালো খেলতে চাই। যাতে টি-টুয়েন্টির আগে, নিজেদের আত্মবিশ্বাসী করে তুলতে পারি।’
ওয়ানডেতে ৬১বার মুখোমুখি হয়েছে পাকিস্তান-জিম্বাবুয়ে। ৫৪বার জিতেছে পাকিস্তান, ৪বার জয় জিম্বাবুয়ের। ২০১৮ সালে জিম্বাবুয়ে সফরে গিয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ ৫-০ ব্যবধানে জিতেছিলো পাকিস্তান। আর ২০১১ সালে সর্বশেষ জিম্বাবুয়ের মাটিতে তিন ম্যাচের সিরিজে প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশ করেছিলো পাকিস্তান।
পাকিস্তান দল : বাবর আজম (অধিনায়ক), মোহাম্মদ হাফিজ, ফাখর জামান, আবদুল¬াহ শফিক, শাদাব খান, হায়দার আলি, মোহাম্মদ রিজওয়ান, ইমাম-উল হক, উসমান সিনওয়ারি, ইফতিখার আহমেদ, আবিদ আলি, হারিস রউফ, হারিস সোহেল, শাহিন শাহ আফ্রিদি, খুশদিল শাহ, ইমাদ ওয়াসিম, রোহাইল নাজির, উসমান কাদির, জাফর গওহর, মোহাম্মদ হাসনাইন, মোহাম্মদ মুসা এবং ওয়াহাব রিয়াজ।
জিম্বাবুয়ে দল : চামু চিবাবা (অধিনায়ক), ফারাজ আকরাম, রায়ান বার্ল, ব্রায়ান চারি, টেন্ডাই চাতারা, ওয়েসলে মাধভেরে, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা, কার্ল মুমবা, রিচমন্ড মুতুম্বামি, ব্রেসিং মুজারাবানি, এল্টন চিগুম্বুরা, টেন্ডাই চিসোরো, ক্রেইগ আরভিন, তিনাশে কামুনহুকামুই, রিচার্ড গারাভা, সিকান্দার রাজা, মিল্টন শুমবা, ব্রেন্ডন টেলর, ডোনাল্ড তিরিপানো এবং শন উইলিয়ামস।
বাসস/এএমটি/১৭৫৪/স্বব