সিরি-এ: দলে ফিরেই দুই গোল করে জুভেন্টাসকে জয় উপহার দিলেন রোনাল্ডো

203

তুরিন, ২ নভেম্বর ২০২০ (বাসস) : করোনাভাইরাস থেকে সুস্থ হয়ে ওঠে বদলী বেঞ্চ থেকে মাঠে নেমেই জুভেন্টাসের হয়ে জোড়া গোল করেছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো। আর পর্তুগীজ সুপারস্টারের এই দুই গোলে রোববার নবাগত স্পেজিয়াকে সিরি-এ লিগে ৪-১ ব্যবধানে বিধ্বস্ত করেছেন বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
স্পেজিয়ার সেসেনায় ৫৬ মিনিটে পাওলা দিবালার স্থানে খেলতে নামেন রোনাল্ডো। এর আগে আলভারো মোরাতার গোলে ১৪ মিনিটে এগিয়ে গিয়েছিল জুভেন্টাস। কিন্তু স্বাগতিকদের হয়ে ৩২ মিনিটে সমতা ফেরান টমসো পোবেগা। মাঠে নামার তিন মিনিটের মধ্যেই আবারো জুভেন্টাসকে এগিয়ে দেন রোনাল্ডো। আদ্রিয়েন রাবোয়িত ৬৮ মিনিটে জুভেন্টাসকে ৩-১ গোলে এগিয়ে দেবার পর ম্যাচ শেষে ১৫ মিনিট আগে স্পট কিক থেকে রোনাল্ডো নিজের দ্বিতীয় গোল পূর্ণ করেন। এবারের মৌসুমে এনিয় তিনটি লিগ ম্যাচে পঞ্চম গোল করলে পর্তুগীজ সুপারস্টার। একইসাথে এই জয়ে টানা তিনটি লিগ ড্র থেকে বেরিয়ে আসলো জুভেন্টাস। শীর্ষে থাকা এসি মিলানের থেকে চার পয়েন্ট পিছিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে জুভেন্টাস।
সেপ্টেম্বরে প্রথম ম্যাচে সাম্পদোরিয়ার বিপক্ষে জয় তুলে নিয়েছিল নয় বারের চ্যাম্পিয়নরা। তিন ড্রয়ের পর এটাই এবারের সিরি-এ মৌসুমের প্রথম জয়। ৬ ম্যাচে ৩ জয় ৩ ড্রসহ জুভেন্টাসের সংগ্রহ এখন ১২ পয়েন্ট। এই ম্যাচগুলোর মধ্যে গত ৪ অক্টোবর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হবার সুবাদে নাপোলি তুরিনে যেতে অস্বীকৃতি জানানোর কারনে জুভেন্টাসকে ৩-০ গোলে জয়ী ঘোষনা করা হয়েছিল।
করোনায় আক্রান্ত হবার কারনে জুভেন্টাসের হয়ে চারটি ম্যাচে অনুপস্থিত ছিলেন রোনাল্ডো। এর মধ্য তুরিনে গত সপ্তাহে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বার্সেলোনার বিপক্ষে ২-০ গোলের পরাজয়ের ম্যাচটিও রয়েছে।
দিনের আরেক ম্যাচে উদিনেসকে ২-১ গোলে পরাজিত করে জয়ের ধারা অব্যাহত রেখেছে শীর্ষে থাকা এসি মিলান। ম্যাচের শেষের দিকের জøাটান ইব্রাহিমোভিচের এ্যাক্রোবেটিক গোলে মিলানের জয় নিশ্চিত হয়। ৩৯ বছর বয়সী ইব্রা চার ম্যাচে এনিয়ে সাত গোল করলেন। বাকি দুটি ম্যাচ কোভিড-১৯’এ আক্রান্ত হওয়ায় খেলতে পারেননি। ম্যাচ শেষে ইব্রাাহিমোভিচ বলেছেন, ‘আমার গোলটি ভাল ছিল। কিন্তু দলের জয়টা এখানে গুরুত্বপূর্ণ। ম্যাচটি সত্যিকার অর্থেই কঠিন ছিল। কঠিন মুহূর্তগুলোতে আমরা প্রমান করেছি দল হিসেবে আমরা কতটা সংঘবদ্ধ। ইউরোপের তরুণ দলগুলোর মধ্যে আমরা একটি। গড় বয়স বাড়ানোর দায় আমার উপর বর্তায়। কিন্তু তারা সবাই আমাকে তারুণ্যের অনুভূতি এনে দিয়েছে।’
ম্যাচের ১৮ মিনিটে ফ্রাংক কেসির গোলে এগিয়ে গিয়েছিল এসি মিলান। এই গোলের যোগানদাতাও ছিলেন সুইড তারকা ইব্রা। বিরতির তিন মিনিট পর উদিনেসের হয়ে স্পট কিক থেকে সমতা ফেরান রডরিগো ডি পল। করোনাভাইরাস থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা মিলান গোলরক্ষক গিয়ানলুইগি ডোনারুমাকে পরাস্ত করতে কোন ভুল করেননি ডি পল। কিন্তু ম্যাচ শেষের সাত মিনিট আগে উদিনেসের দুই ডিফেন্ডার রডরিগো বেকার ও সেবাস্তিয়েন ডি মাইয়োয়ের মাঝ দিয়ে দুর্দান্ত দক্ষতায় ওভারহেড কিকে জয়সূচক গোলটি করেন ইব্রাহিমোভিচ।
এর মাধ্যমে এসি মিলান তাদের অপরাজিত থাকার রেকর্ড ২৪ ম্যাচে উন্নীত করলো। অন্যদিকে মৌসুমের পঞ্চম পরাজয়ে রেলিগেশন জোনেই থাকলো উদিনেস।