বাসস দেশ-৩৮ : চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় উপযোগি দক্ষ মানব সম্পদ তৈরি করতে হবে : টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী

120

বাসস দেশ-৩৮
জব্বার – ডিজিটাল দক্ষতা
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় উপযোগি দক্ষ মানব সম্পদ তৈরি করতে হবে : টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
ঢাকা ১ নভেম্বর, ২০২০ (বাসস) : ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, শতবর্ষ প্রাচীণ ধ্যান-ধারণা পরিহার করে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার উপযোগি দক্ষ মানব সম্পদ তৈরি করতে হবে।
‘দক্ষ মানব সম্পদ না হলে বিদ্যমান জনশক্তি কাজে লাগানো যাবে না’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ লক্ষ্যে শিক্ষার প্রাথমিক স্তর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত ডিজিটাল শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা অপরিহার্য।
মন্ত্রী বিদ্যমান প্রচলিত শিক্ষায় শিক্ষিতদের জন্য ডিজিটাল দক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষণ প্রদান করার মাধ্যমে উপযোগি করে তৈরি করার ওপর গুরুত্ব দিয়ে সরকারের গৃহীত উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকেও এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন।
মোস্তাফা জব্বার আজ রোববার ডিজিটাল প্লাটফর্মে গ্রামীণ ফোন আয়োজিত ‘জিপি এক্সপ্লোর’ শীর্ষক তিনমাস ব্যাপী ডিজিটাল দক্ষতা উন্নয়ন’ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ আহবান জানান।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, ৬ষ্ট শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত কম্পিউটার বিষয় বাধ্যতামূলক হওয়া সত্ত্বেও খুব কমসংখ্যক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে এর যথাযথ আউট পুট পাওয়া যাচ্ছে। কম্পিউটার ল্যাব আছে কিন্তু ব্যবহারের ক্ষেত্রে দক্ষতা সম্প্রসারিত হচ্ছে না। এ জন্য যে ঘাটতিটা আছে তা সনাক্ত করতে হবে এবং সে অনুযায়ি ব্যবস্থা নিতে হবে।
শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের হাতে-হাতে ডিজিটাল ডিভাইস দিতে না পারলে এগিয়ে যাওয়া কঠিন হবে বলেও দেশের কম্পিউটার বিপ্লব বিকাশের অগ্রদূত মোস্তাফা জব্বার উল্লেখ করেন।
মন্ত্রী বলেন, দেশের শতকরা ৬৫ভাগ তরুণ জনগোষ্ঠীকে জনসম্পদে পরিণত করার মাধ্যমে জ্ঞানভিত্তিক ডিজিটাল সাম্য সমাজ প্রতিষ্ঠার হাতিয়ার হিসেবে তৈরি করার প্রয়োজন রয়েছে।
তিনি বলেন,‘১৯৮৭ সালে কম্পিউটার দিয়ে প্রথম পত্রিকা বের করেছি। ঐ সময় যারা টাইপ শিখেছিল আজ তারা প্রযুক্তি দুনিয়ায় ভাল অবস্থানে পৌঁছেছেন। যাদের সেদিন ফটোশপ বা ইলেস্ট্রেটর শিখিয়েছি তারা আজ আইসিটি জগতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ‘
মোস্তাফা জব্বার বলেন,কমিউনিকেশন্স দক্ষতা অর্জনের জন্য কেবল ইংরেজি নয়, শুদ্ধ করে বাংলা বলার ওপরও গুরুত্ব দিতে হবে।
তিনি বলেন,‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্বে গত এগারো বছরের পথ চলায় বাংলাদেশ চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার যোগ্যতা অর্জনে সক্ষম হয়েছে। করোনাকালে আমাদের জীবনধারায় এক অভাবনীয় পরিবর্তন এনে দিয়েছে। অতীতের তিনটি শিল্প বিপ্লবে নেতৃত্বকারী দেশ সমূহের তুলনায় আমাদের জীবনযাত্রায় খুব একটা কমতি ছিল না। একসময় ইন্টারনেট শহরের মানুষদের চাহিদার মধ্যেই অনেকটা সীমাবদ্ধ ছিল কিন্ত করোনাকালে প্রত্যন্ত গ্রামের শিশুটিও এখন ইন্টারনেট চায়। আমরা আমাদের বিস্তৃত নেটওয়ার্কের মাধ্যমে মানুষের ইন্টারনেটের বর্ধিত চাহিদা মেটাতে সফল হয়েছি।’
মন্ত্রী গ্রামীণ ফোনসহ অন্যান্য মোবাইল অপারেটরদের দ্রুততার সাথে ৪জি নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের নির্দেশ প্রদান করে বলেন,‘প্রযুক্তিতে শতশত বছর পিছিয়ে থেকেও ডিজিটাল প্রযুক্তির লেটেস্ট ভার্সন ৫জি চালুর পথ নকশা আমরা সম্পন্ন করেছি’।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক সাবেক মূখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: আক্তার হোসেন এবং গ্রামীণফোনের সিইও ইয়াসির আজমান অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
মোস্তাফা জব্বার দক্ষতা উন্নয়নে গ্রামীণ ফোনের এ কর্মসূচির প্রশংসা করে বলেন, গ্রামীণফোনের উদ্যোগ অন্যদেরকেও এগিয়ে আসতে উৎসাহিত করবে।
অনুষ্ঠানে বক্তারা তরুণ সমাজকে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব উপযোগি করে তৈরি করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
বাসস/সবি/জেডআরএম/২০১৭/এবিএইচ