বাসস প্রধানমন্ত্রী-১ (প্রথম কিস্তি) : বিদেশ ফেরতদের বাধ্যতামূলক পরীক্ষা ও কোয়ারান্টাইনে রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

409

বাসস প্রধানমন্ত্রী-১ (প্রথম কিস্তি)
শেখ হাসিনা-বঙ্গবন্ধু যুব দিবস-ভাষণ
বিদেশ ফেরতদের বাধ্যতামূলক পরীক্ষা ও কোয়ারান্টাইনে রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
ঢাকা, ১ নভেম্বর, ২০২০ (বাসস) : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শীতের আগমনে ইউরোপসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় বিমানবন্দরসহ দেশের সকল প্রবেশ পথে বাধ্যতামূলক পরীক্ষা এবং বিদেশ ফেরতদের কোয়ারান্টাইনে রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘এখন আবার সময় এসে গেছে, যারা বাইরে থেকে আমাদের দেশে আসবেন তাদের পরীক্ষা করা, কোয়ারেন্টাইনে রাখা- এটা আমাদের এয়ারপোর্ট থেকে শুরু করে প্রত্যেকটি পোর্টে আগের মত ব্যবস্থা নিতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে কেউ ঢুকতে গেলেই করোনাভাইরাস নিয়ে ঢুকছে কিনা-সেটা পরীক্ষা করতে হবে। আমাদের দেশের মানুষের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। আমি আশা করি, সেটা আপনারা করবেন।’
শেখ হাসিনা আজ সকালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় যুব দিবস-২০২০ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন।
তিনি ভিডিও কনফারেন্সের সাহায্যে গণভবন থেকে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত মূল অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর দেশের অর্থনীতি যেমন গতিশীলতা পেয়েছে তেমনি আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি।’
যুবকদের জন্য সরকার প্রদত্ত নানা সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করে নিজেদেরকেই নিজেদের ভাগ্য নিয়ন্ত্রক বা উদ্যোক্তা হওয়ারও আহ্বান জানান তিনি।
তাঁর সরকার ফ্রিল্যান্সারদের স্বীকৃতির জন্য সনদ প্রদানের চিন্তা-ভাবনা করছে বলেও অনুষ্ঠানে জানান তিনি।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে এ বছরের বঙ্গবন্ধু জাতীয় যুব পুরস্কার বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
২১ জন স্বনির্ভর যুবক এবং ৫টি সফল যুব সংগঠনকে যুবকদের জন্য কর্মসংস্থানে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ এ পুরস্কার দেয়া হয়।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ অখতার হোসেন অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ দেন। পুরস্কার বিজয়ীদের পক্ষে সাইফুর রহমান এবং সামিয়া রহমান অনুষ্ঠানে নিজ নিজ অনুভূতি ব্যক্ত করেন।
বঙ্গবন্ধু জাতীয় যুব দিবস-২০২০ উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকেট এবং খাম ও অবমুক্ত করা হয়। ‘মুজিবর্ষের আহ্বান, যুব কর্মসংস্থান,’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে সারাদেশে দিবসটি উদযাপিত হচ্ছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব পুনরায় ব্যাপকভাবে দেখা দেওয়ায় ইতোমধ্যে ইংল্যান্ডসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে লক ডাউন করা হয়েছে। কাজেই আমাদের সবাইকে একটু সুরক্ষিত থাকতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘যে কোন কাজে বের হলে সবাই মাস্ক ব্যবহার করবেন। যে কোন জনসমাগম বা মার্কেটে যাবেন বা কারো সাথে মিশবেন তখন অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করে নিজেকে এবং অপরকেও সুরক্ষিত করবেন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সবাই নিয়ম মেনে চলবেন। কারণ, যেভাবে এই করোনাভাইরাস থেকে মানুষকে রক্ষা করেছি সেভাবেই যেন রক্ষা করতে পারি। সবাই এটাকে একটা দায়িত্ব হিসেবে নেবেন সেটাই আমরা চাই।’
করোনাভাইরাস মোকাবেলার জন্য তাঁর সরকার ঘোষিত ১ লাখ ১২ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকার ২১টি প্রণোদনা প্যাকেজের উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটা দিয়েছি যেন আমাদের অর্থনীতির গতিটা অব্যাহত থাকে।
‘তাঁর সরকারের যথাযথ পদক্ষেপে দেশের অর্থনীতি এখনও সচল রয়েছে, যেটা অনেক উন্নত দেশও এখন করতে পারছে না,’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী এর মাঝেই পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদুৎ কেন্দ্র প্রকল্প, কর্ণফূলী নদীর তলদেশের টানেলসহ বিভিন্œ মেগা প্রকল্প এবং রাস্তা-ঘাটসহ অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান। যেগুলো সম্পন্ন হলে আরো বহু মানুষের কর্মসংস্থান হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
অতীতে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে তাঁর সরকার ঘোষিত ২১ দফা নির্দেশনা প্রদানের ও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
চলবে/বাসস/এএসজি-এফএন/১৫৪৫/-আরজি