চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে নতুন করে ৯২ জন শনাক্ত

234

চট্টগ্রাম, ৩১ অক্টোবর, ২০২০ (বাসস) : চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের হার বেড়েছে। নতুন বাহক শনাক্ত হয়েছেন ৯২ জন। সংক্রমণ হার ১০ দশমিক ৮০ শতাংশ। এছাড়াও করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে একজনের।
সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রকাশিত সর্বশেষ রিপোর্টে জানা যায়, শুক্রবার নগরীর ছয়টি ও কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে চট্টগ্রামের ৮৫২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে নতুন শনাক্ত ৯২ জনের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৭২ জন এবং বিভিন্ন উপজেলার ২০ জন। জেলায় এ পর্যন্ত মোট সংক্রমিতের সংখ্যা এখন ২১ হাজার ১৮৪ জন। এতে নগরীর ১৫ হাজার ৫২৪ জন এবং বিভিন্ন উপজেলার ৫ হাজার ৬৬০ জন। উপজেলার মধ্যে গতকাল সর্বোচ্চ ৫ জন আক্রান্ত শনাক্ত হয় বাঁশখালীতে।
এদিকে, একজনের মৃত্যু হওয়ায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এখন ৩০৩ জনে। এর মধ্যে শহরের ২১০ জন এবং গ্রামের ৯৩ জন। সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন নতুন ৩৫ জন। ফলে এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১৬ হাজার ৫৪৩ জনে।
গত সাতদিনের রিপোর্ট বিশ্লেষণে দেখা যায়, চট্টগ্রামে সংক্রমণের হার বেশ উঠানামার মধ্যে রয়েছে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টার সংক্রমণ হার ছিল ১০ দশমিক ৮০ শতাংশ। এর আগে বৃহস্পতিবার ৯১ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়। সংক্রমণ হার ছিল ৭ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ। বুধবার নতুন ৯৮ জন শনাক্ত হন, সংক্রমণ হার ৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ। ১৪ দিন পর এদিন চট্টগ্রামে করোনায় এক রোগীর মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার নতুন ৪৩ জনের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়ে। হার ছিল ৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ। সোমবার ৯৬ জনের নমুনায় করোনার সংক্রমণ পাওয়া যায়, হার ৭ দশমিক ৩৯ শতাংশ। রোববার ৯২ জনের শরীরে ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। সংক্রমণের হার ১০.৮৬ শতাংশ। অথচ শনিবার সংক্রমণ হার ছিল ৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে জানা যায়, গতকাল সবচেয়ে বেশি ৩৮৭টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে। এর মধ্যে ১৩টি নমুনায় করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব ধরা পড়ে। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ১৮৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২৯ জন করোনাক্রান্ত বলে শনাক্ত হন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ল্যাবে ৮২ জনের নমুনায় ২৪ জন জীবাণুবাহক হিসেবে চিহ্নিত হন।
নগরীর বেসরকারি তিন ল্যাবরেটরির মধ্যে শেভরনে ৬০, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৫৪ এবং মা ও শিশু হাসপাতালে ১৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। ইম্পেরিয়ালে ১২ জন এবং অপর দুই ল্যাবে ৩ জন করে আক্রান্ত হওয়ার প্রমাণ মেলে। চট্টগ্রামের ৬৯টি নমুনা কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় ৮ টির মধ্যে জীবাণুর সংক্রমণ ধরা পড়ে।
তবে এদিন নগরীর সরকারি দুই ল্যাব ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) এবং জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।