বাসস ক্রীড়া-১৪ : আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দৃষ্টি সুমনের

188

বাসস ক্রীড়া-১৪
ক্রিকেট-সুমন
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দৃষ্টি সুমনের
ঢাকা, ২৭ অক্টোবর ২০২০ (বাসস) : সদ্য শেষ হওয়া বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপে দুর্দান্ত পারফরমেন্স করা পেসার সুমন খানের লক্ষ্য এবার আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খেলা। পুরোপুরিভাবে তেমনই লক্ষ্য স্থির করেছেন তিনি।
টুর্নামেন্টে ৯ উইকেট নিয়েছেন সুমন। এরমধ্যে ফাইনালে ৩৮ রানে ৫ উইকেট ছিলো তার। তাই ফাইনালে ম্যাচ সেরার পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি। এমনকি প্রেসিডেন্টসের স্পেশাল অ্যাওয়ার্ড পাওয়া পাঁচ খেলোয়াড়ের মধ্যেও ছিলেন সুমন।
টুর্নামেন্ট থেকে খেলোয়াড় প্রাপ্তির তালিকায় সুমনের নাম উল্লেখ বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। তবে ক্রিকেটার হবার লক্ষ্যে অনুসরণকারীদের অনুসরণ করেননি সুমন।
বেশিরভাগ ক্রিকেটার শৈশব পর্যায় থেকে ক্রিকেট শুরু করলেও, সেই পথে যাননি সুমন। প্রকৃতপক্ষে নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএতে পড়াশুনা করেছেন তিনি। ক্রিকেটের প্রতি ভালোবাসা-আবেগ থেকেই বিকেএসপিতে পড়াশুনার জন্য নর্থ-সাউথে চতুর্থ সেমিস্টারের পর বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে দেন সুমন।
আবেগ দিয়ে এই মুহুর্তে যে অবস্থাতেই পৌছান না কেন, সুমন খানের লক্ষ্য এখন অনেক বড়। আজ তিনি বলেন, ‘আসলে, যেদিন থেকে আমি ক্রিকেটের জন্য নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়েছি, সেদিন থেকে আমার সমস্ত মনোযোগ ক্রিকেটের দিকে। আমি ক্রিকেট নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাব, আশা করি শীর্ষ পর্যায়ে খেলতে পারবো। একদিন আমি খেলবো।’
তিনি আরও বলেন, ‘নিজের সেরাটা দিতে পারায় টুর্নামেন্টটি আমার জন্য খুব ভাল হয়েছে। এটি একটি সংক্ষিপ্ত টুর্নামেন্ট, আমি ভাল করার চেষ্টা করেছি, আল্লাহর কৃপায় আমি ভাল করেছি, খুবই ভালো লাগছে।’
সুমন জানেন, সিনিয়র পর্যায়ে ভালো পারফরমেন্সে কারনে তার প্রতি প্রত্যাশা বেড়েছে। তবে প্রত্যাশা পূরণে আত্মবিশ্বাস রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আসলে আমার কাছে প্রত্যাশা এখন বেশি এবং তাই আমার দায়িত্বও বেড়েছে। আমি আরও ভাল করার এবং প্রত্যাশা পূরণের চ্যালেঞ্জ নিব। আমি জানি, সবাই এখন নিয়মিতভাবে আমার পারফরমেন্স দেখতে চাইবে। আমি আত্মবিশ্বাসী আমি পারবো।’
মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, মুশফিকুর রহিম এবং তামিম ইকবালের মতো সিনিয়র খেলোয়াড়দের কাছ থেকে সমর্থন ও প্রশংসা পেয়ে আত্মবিশ্বাস বেড়েছে সুমনের।
সুমন বলেন, ‘রিয়াদ ভাই সবসময় আমার পারফরমেন্সের প্রশংসা করেন। ফাইনাল ম্যাচে ভাল করার পরে, তিনি এসে বললেন, ভাল লাইন-লেন্থে বোলিং করেছি। তিনি আমাকে বারবার অনুপ্রাণিত করেছিলেন। ম্যাচ শেষে যখন আমি মুশফিকুর ভাইয়ের সাথে হাত মিলিয়েছিলাম, তখন তিনি বলেন, আমি তাকে আউটের জন্য ভালো বল করেছিলাম। প্রত্যেক সিনিয়র খেলোয়াড় যখন এমন প্রশংসা করে, তখন আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আসলে, এটি মাত্র শুরু। আমি মুশফিক ও রিয়াদ ভাইর সাথে খেলেছি এবং এখান থেকে অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। ভবিষ্যতে এই অভিজ্ঞতাটি ব্যবহার করার চেষ্টা করবো।’
নিজের দক্ষতা ও সামর্থ্য বাড়ানোর জন্য এইচপিতে আছেন সুমন। তিনি জানেন, জাতীয় দলের দরজায় কড়া নাড়ার সেরা উপায় হলো এইচপি। আর এখন এটিই তার প্রধান লক্ষ্য।
সুমন বলেন, ‘এইচপি একটি ভাল প্লাটফর্ম। আমি এখানে আছি, আমার কোনও বয়স ভিত্তিক অভিজ্ঞতাও নেই। আমাদের নিজেদের দক্ষতা এবং সামর্থ্য বৃদ্ধির-উন্নতির জন্য বিসিবি ভালো সুযোগ দিয়েছে। তাই আমি বলবো নিজেকে প্রস্তুত করতে এইচপি ভাল একটি জায়গা।’
তিনি আরও যোগ করে বলেন, ‘আসলে, আপনি যদি জাতীয় দলে যাওয়ার আগে পারফরম্যান্স, মানসিকতা বা কৌশলগত দিক দিয়ে নিজেকে প্রস্তত করতে পারেন তবে জাতীয় দলে টিকে থাকার সম্ভাবনা আপনারা বেশি। এটি এমন একটি প্লাটফর্ম যেখানে খেলোয়াড়রা তৈরি হয়।’
বাসস/এএমটি/১৯৫০/স্বব