বাসস ক্রীড়া-১৩
ক্রিকেট-পাপন
তাসকিন-রুবেলের পারফরমেন্সে মুগ্ধ পাপন
ঢাকা, ২৬ অক্টোবর ২০২০ (বাসস) : গতকাল শেষ হওয়া বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপে অংশ নেয়া দুই পেসার তাসকিন আহমেদ ও রুবেল হোসেনের পারফরমেন্সের প্রশংসা করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্র্ডের (বিসিবি) নাজমুল হাসান পাপন।
ইনজুরি থেকে ফিরে আসার পর ক্রিকেট মাঠে তাসকিন নিজের গতি ও পারফরমেন্সে সকলের নজর কেড়েছেন। টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী ছিলেন রুবেল। প্রতি ম্যাচের নিজের ধারাবাহিকতা প্রদর্শন করেছেন রুবেল।
আজ পাপন বলেন, ‘তাসকিনকে এত আগ্রহ নিয়ে বোলিং করতে দেখে মুগ্ধ। আসলে এই টুর্নামেন্টটি তাসকিন-রুবেলের প্রত্যাবর্তন সিরিজ। তাসকিন পিঠের ইনজুরি থেকে ফিরেছে। একইভাবে আমি রুবেলকে নিয়ে চিন্তিত ছিলাম, সে কেমন পারফরমেন্স করবে। কিন্তু সে খুবই ভালো পারফরমেন্স করেছে।’
শুধুমাত্র তাসকিন-রুবেলই নয়, পুরো আসরে বেশিরভাগ পেসারই ভালো করেছে। পিচ থেকে তারা কিছুটা সহায়তা পেয়েছে। তারপরও, সকলের পারফরমেন্সে খুশী পাপন। আর এই সময়েই টিম ম্যানেজমেন্ট একটি পেস বোলিং গ্রুপের সন্ধানে ছিলো।
তিনি বলেন, ‘তাসকিন-রুবেলের সাথে তরুন পেসার সুমন খান, এবাদত খুবই ভালো করেছে। তারা টুর্নামেন্টে আলো ছড়িয়েছে।’
দুই তরুন ব্যাটসম্যান ইরফান শুক্কুর ও তৌহিদ হৃদয়ের প্রশংসার করেছেন পাপন। সিনিয়রদের সাথে নিজেদের সামর্থ্যের প্রমান দিয়েছেন শুক্কুর ও হৃদয়।
পাপন বলেন, ‘শুক্কুর-হৃদয় ব্যাট হাতে দারুন পারফরমেন্স করেছেন। আমার মতে, শেখ মেহেদি একজন সম্ভাবনাময়ী অলরাউন্ডার। পেসারদের পাশাপাশি ব্যাটসম্যানরা দারুন পারফরমেন্স করেছেন। এমনকি তরুন পেসার শরিফুলের বোলিংও নজরকাড়া ছিলো।’
করোনার মধ্যেও ক্রিকেটকে মাঠে ফেরাতে পরায় পুরোপুরিভাবে খুশী বিসিবি সভাপতি। পুরো টুর্নামেন্ট জুড়েই খেলোয়াড়রা জৈব-সুরক্ষা পরিবেশে ছিলো এবং এমন পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এমন পরিস্থিতির সাথে খেলোয়াড়রা মানিয়ে নিতে পারায় আমি সন্তুস্ট। তারা কোন অভিযোগ করেনি এবং তাদের যা করতে বলা হয়েছে, তারা সবই করেছে।’
পাপন আরও জানান, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে বাংলাদেশ এখন প্রস্তুত। বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপ সফল সমাপ্তিতে আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা এখন ঘরের মাটিতে সিরিজ আয়োজন ও বিদেশের মাটিতে খেলতে যাবার চিন্তা করতে পারি। ক্রিকেটাররা এখন জানে, করোনার মধ্যে জৈব-সুরক্ষা পরিবেশের মধ্যে থেকে কিভাবে মাঠে খেলতে যেতে হবে।’
বাসস/এসএমপি/অনু-এএমটি/১৯০০/স্বব