চট্টগ্রামে করোনায় সংক্রমণ হার বেড়েছে

261

চট্টগ্রাম, ২৬ অক্টোবর, ২০২০ (বাসস) : মৃত্যুহীন একাদশ দিনে চট্টগ্রামে করোনার সংক্রমণ হার অনেক বেড়েছে। এদিন নতুন ৯২ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। সংক্রমণের হার ১০ দশমিক ৮৬ শতাংশ। আগের দিনের হার ছিল ৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সর্বশেষ রিপোর্টে দেখা যায়, নগরীর আটটি ও কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে চট্টগ্রামের মোট ৮৪৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে করোনা-শনাক্ত ৯২ জনের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৮৪ জন এবং চার উপজেলার ৮ জন। ফলে জেলায় সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে এখন ২০ হাজার ৭৬৪
জন। এ সময়ে করোনাক্রান্ত কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি। এতে মৃতের সংখ্যা আগের ৩০১ জনই রয়েছে, যাতে শহরের ২০৮ জন এবং গ্রামের ৯৩ জন। চার উপজেলায় নতুন আক্রান্তদের মধ্যে রাউজানের ৪ জন, পটিয়ার ২ জন এবং আনোয়ারা ও হাটহাজারীর ১ জন করে রয়েছেন।
সিভিল সার্জন ডা. শেখ ফজলে রাব্বি আজ বাসস’কে বলেন, ‘জেলায় গতকালও করোনাক্রান্ত কেউ মারা যাননি। ফলে মৃত্যুহীন একাদশ দিন পার করলো চট্টগ্রাম। তবে আগের দিনের তুলনায় সংক্রমণ হার অনেক বেড়েছে। শনিবার ৫৫৮টি নমুনা পরীক্ষা করে নতুন ৩২ জনের শরীরে করোনাভাইরাস মিলে। সংক্রমণ হার ছিল ৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ। এদিন সুস্থ হয়ে উঠেছেন নতুন ৩৬ জন। ফলে কোভিড থেকে আরোগ্য লাভকারীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১৬ হাজার ৪১০ জনে।’
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে জানা যায়, গতকাল সবচেয়ে বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের (চমেক) পরীক্ষাগারে। এখানে ৩৭৫ জনের নমুনায় ৩৪ জন পজেটিভ শনাক্ত হন।
ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি ল্যাবে ১৭০ জনের নমুনায় ৭ জন ভাইরাসবাহক চিহ্নিত হন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ল্যাবে ৭৯ টি
নমুনার মধ্যে ১৫ টিতে করোনাভাইরাস থাকার প্রমাণ মেলে ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাবে ১৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৩ জন করোনাক্রান্ত শনাক্ত হন। আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরিতে (আরটিআরএল) ৫ জনের নমুনায় ২ জনের মধ্যে করোনাভাইরাস পাওয়া যায়।
নগরীর বেসরকারি তিন ল্যাবরেটরির মধ্যে ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৯১, শেভরনে ৩৩ এবং মা ও শিশু হাসপাতালে ৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে যথাক্রমে ১৪, ১৩ ও ৪ টি নমুনায় পজেটিভ রেজাল্ট আসে।
এদিন চট্টগ্রামের ৭৩টি নমুনা কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় সবক’টিরই রেজাল্ট নেগেটিভ আসে।