শুক্কুরের ব্যাটিংএ ১৭৩ রান তুললো নাজমুল একাদশ

239

ঢাকা, ২৫ অক্টোবর ২০২০ (বাসস) : বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপের ফাইনালে প্রথমে ব্যাট করে ১৭৩ রানে অলআউট হয়েছে নাজমুল একাদশ। নাজমুল একাদশকে বড় স্কোর গড়তে দেননি মাহমুদুল্লাহ একাদশের পেসার সুমন খান। ১০ ওভারে ৩৮ রানে ৫ উইকেট নিয়েছেন তিনি। সুমনের বোলিং তোপের মাঝেই নাজমুল একাদশকে সম্মানজনক স্কোর এনে দিয়েছেন সাত নম্বরে নামা ব্যাটসম্যান ইরফান শুক্কুর। ৭৭ বলে ৭৫ রানের দায়িত্বশীল ইনিংস খেলেন তিনি।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্বান্ত নেন মাহমুদুল্লাহ একাদশের অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। বল হাতে প্রথম ওভারের পঞ্চম বলেই নাজমুল একাদশে আঘাত হানেন মাহমুদুল্লাহ একাদশের ইনফর্ম পেসার রুবেল হোসেন। ওপেনার সাইফ হাসানকে ৪ রানে ফিরিয়ে দেন তিনি।
দ্বিতীয় ওভারেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন আরেক ওপেনার সৌম্য সরকার। তবে আউট হয়ে নয়, চোখের ভেতর পোকা যাওয়ায় রিটায়ার্ড আহত অবসর নেন তিনি।
ফলে উইকেটে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গী হন ইনফর্ম মুশফিকুর রহিম। দ্বিতীয় ওভারেই দুই নতুন ব্যাটসম্যান উইকেটে এসে সেট হবার চেষ্টা করেন। তাই রানের গতি কমে যাওয়ায় ১২ ওভারে ৩৫ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয় সাজমুল একাদশ।
১৩তম ওভারের প্রথম বলে মুশফিককে বিদায় দেন পেসার সুমন। ১২ রানে মুশফিকের বিদায়ের উইকেটে আসেন সৌম্য। কিন্তু বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তিনি। ১৫তম ওভারে ৫ রানে সৌম্যকে থামান সুমন।
একই ওভারে আফিফ হোসেন ধ্রুবকে রানের খাতা খোলার আগেই শিকার করেন সুমন। ফলে ৪৫ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় নাজমুল একাদশ।
এ অবস্থায় উইকেটে টিকে থাকার লড়াই করেন শান্ত। সঙ্গী হিসেবে পান তৌহিদ হৃদয়কে। বড় জুটি গড়ার চেষ্টায় ছিলেন শান্ত-হৃদয়। তবে তাদের বড় জুটি গড়তে দেননি মাহমুদুল্লাহ একাদশের স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজ। ৪টি চারে ৫৭ বলে ৩২ রান করা শান্তকে আউট করে প্রথম সাফল্য পান মিরাজ।
অধিনায়কের সাথে ২০ রানের বেশি জুটি গড়তে না পারলেও, সাত নম্বরে নামা ইরফান শুক্কুরের সাথে ৭০ রানের জুটি গড়েছেন হৃদয়। দলকে লড়াই ফেরানোর পথ তৈরি করছিলেন তারা। তবে ষষ্ঠ বোলার হিসেবে আক্রমনে এসে এই জুটিতে ভাঙ্গন ধরান মাহমুদুল্লাহ একাদশের দলপতি মাহমুদুল্লাহ। ৫৩ বলে ২টি চারে ২৬ রান করেন হৃদয়।
১৩৪ রানের মধ্যে স্বীকৃত ছয় ব্যাটসম্যান বিদায় নিলেও, এক প্রান্ত আগলে নাজমুল একাদশকে সম্মানজনক সংগ্রহ এনে দিতে লড়াই করেন শুক্কুর। মারমুখি মেজাজে খেলে হাফ-সেঞ্চুরি তুলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ৪৭তম ওভারে থামেন শুক্কুর। রুবেলের দ্বিতীয় শিকার হবার আগে ৭৭ বলে ৮টি চার ও ২টি ছক্কা ৭৫ রান করেন তিনি।
শুক্কুরের আউটের আগে নাজমুল একাদশের দুই টেল-এন্ডার নাইম হাসান ও নাসুম আহমেদকে শিকার করে ম্যাচে পাঁচ উইকেট পূর্ণ করেন সুমন। আর তাসকিন আহমেদকে আউট করে নাজমুল একাদশকে ১৭৩ রানে গুটিয়ে দেন মাহমুদুল্লাহ একাদশের আরেক পেসার এবাদত হোসেন। তখনও ইনিংসের ১৭ বল বাকী ছিলো। মাহমুদুল্লাহ একাদশের সুমন ৩৮ রানে ৫টি, রুবেল ২৭ রানে ২টি ও এবাদত-মিরাজ-রিয়াদ ১টি করে উইকেট নেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর কার্ড :
নাজমুল একাদশ : ১৭৩/১০, ৪৭.১ ওভার (শুক্কুর ৭৫, শান্ত ৩২, হৃদয় ২৬, সুমন ৫/৩৮, রুবেল ২/২৭)।