চট্টগ্রাম, ২৫ অক্টোবর, ২০২০ (বাসস) : করোনা ভাইরাসে মৃত্যুহীন দশম দিন পার করলো চট্টগ্রাম। ছুটির দিন হওয়ায় পরীক্ষার জন্য নমুনা কম জমা হয় এবং আক্রান্তের সংখ্যাও কম শনাক্ত হয়। তবে সংক্রমণের হার যথেষ্ট কমেছে।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে দেখা যায়, নগরীর চারটি ও কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে গতকাল শনিবার চট্টগ্রামের ৫৫৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে নতুন করে ৩২ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। সংক্রমণ হার ৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ। জেলায় মোট সংক্রমিতের সংখ্যা এখন ২০ হাজার ৬৭২ জনে। এদিনও করোনাক্রান্ত কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি।
সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি আজ সকালে বাসসকে জানান, শনিবার ২৪ ঘণ্টায় ৫৫৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় নতুন ৩২ জন করোনাক্রান্ত শনাক্ত হন। এর মধ্যে ২৭ জন শহরের বাসিন্দা এবং ৫ জন গ্রামের। ফলে জেলায় মোট সংক্রমিতের সংখ্যা এখন ২০ হাজার ৬৭২ জন। এদিন সংক্রমণের হার অনেক কমেছে (৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ)। এর আগে বৃহস্পতিবার নতুন ৮১ জনের সংক্রমণ ধরা পড়ে, হার ছিল ৯ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ। গত বুধবার ৯৮৬ নমুনা পরীক্ষায় ১১০ জনের মধ্যে ভাইরাস শনাক্ত হয়। সংক্রমণ হার এ সময়ের সর্বোচ্চ ১১ দশমিক ১৫ শতাংশ রেকর্ড হয়।
তিনি বলেন, গতকাল সুস্থ হয়েছেন ৪৫জন। এতে করোনাক্রান্তদের মধ্যে আরোগ্য লাভকারীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১৬ হাজার ৩৭৪ জনে। এ পর্যন্ত মোট সংক্রমিত রোগীর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসায় সুস্থ হন ৩ হাজার ২৩৯ জন। হোম আইসোলেশনে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হন ১৩ হাজার ১৩৫ জন। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায়ও করোনাক্রান্ত কারো মৃত্যু হয়নি। ফলে মৃত্যুহীন দশম দিন পার হলো। জেলায় এ পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা ৩০১ জন, যাতে শহরের ২০৮ ও গ্রামের ৯৩ জন।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে দেখা যায়, উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে বাঁশখালী, চন্দনাইশ, হাটহাজাারী, ফটিকছড়ি ও সীতাকু-ে ১ জন করে রয়েছেন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ৩১১ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৫ জন করোনার জীবাণুবাহক হিসেবে চিহ্নিত হন। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ৮৯ টি নমুনার মধ্যে ১৮ টিতে ভাইরাস থাকার প্রমাণ মেলে।
বেসরকারি শেভরন ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরিতে ১৩৩ এবং চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ২০ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়। এতে যথাক্রমে ৫ জন ৩ জনের পজিটিভ রেজাল্ট আসে।
এদিন চট্টগ্রামের ৫টি নমুনা কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় ১ জন করোনাক্রান্ত শনাক্ত হন। তবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু), বেসরকারি ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল এবং জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরিতে (আরটিআরএল) করোনার কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।