বাসস বিদেশ-১১ : ইইউ সীমান্ত সংস্থা ‘অবৈধ পুশব্যাক’ করেছে

221

বাসস বিদেশ-১১
ইইউ-অভিবাসন-গ্রিস
ইইউ সীমান্ত সংস্থা ‘অবৈধ পুশব্যাক’ করেছে
বার্লিন, ২৪ অক্টোবর, ২০২০ (বাসস ডেস্ক) : ইউরোপের সীমান্ত নিরাপত্তা সংস্থা ফ্রন্টটেক্স তুরস্ক থেকে ইজিয়ান সাগর পাড়ি দিয়ে গ্রিসে আশ্রয়প্রার্থীদের বেশ কয়েকটি অবৈধ “পুশব্যাক” করার ঘটনায় জড়িত। জার্মানির ডের স্পিগেলসহ কয়েকটি গণমাধ্যম শনিবার এ কথা জানিয়েছে। খবর এএফপি’র।
জার্মান পাবলিক ব্রডকাস্টার এআরডি, জার্নালিস্টস কালেকটিভ লাইট হাউজ রিপোর্টস,ইনভেস্টিগেটিভ প্ল্যাটফর্ম বেলিংক্যাট এবং জাপানি ব্রডকাস্টার টিভি আসাহি এই তদন্তে ডের স্পিগেলের পাশাপাশি যুক্ত ছিল।
রিফিউলমেন্ট বা “পুশব্যাক” হচ্ছে শরণার্থী বা আশ্রয় প্রার্থীদেরকে অবৈধভাবে সীমান্তের ওপারে এমন একটি দেশে ফেরৎ পাঠানো যেখানে তারা নিপীড়নের শিকার হতে পারে।
ডের স্পিগেল সাপ্তাহিক তাদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছে,তদন্তে ‘প্রথমবারের মতো দেখা গেছে যে, সিনিয়র ফ্রন্টটেক্স কর্মকর্তারা গ্রীক সীমান্তরক্ষী বাহিনীর অবৈধ আচরণ সম্পর্কে জানেন এবং তাদের মধ্যে কিছু লোক নিজেদেরকে এ ধরণের ‘পুশব্যাকে’ সম্পৃক্ত করেছেন ।
সাংবাদিকরা বলছেন, এপ্রিল থেকে তারা এমন ছয়টি ঘটনা খুঁজে পেয়েছেন, যেখানে গ্রীক জলে শরণার্থী নৌকাগুলোর তুরস্কের দিকে প্রত্যাবর্তন বন্ধ করার ক্ষেত্রে ফ্রন্টেক্স ইউনিট ন্যূনতম কিছুই করেনি।
জুনের একটি ঘটনার ভিডিওতে দেখা গেছে, ফ্রন্টটেক্স সংস্থার একটি নৌকা একটি শরণার্থী নৌকাকে আটকাচ্ছে।
সাংবাদিকরা বলেছেন, তারা “ডজন ডজন” ভিডিও মিলিয়ে দেখেছেন, প্রাপ্ত উপগ্রহের চিত্র পরীক্ষা করেছেন এবং শরণার্থী ও ফ্রন্টেক্স কর্মী উভয়ের কাছ থেকে প্রত্যক্ষদর্শীর বক্তব্য যাচাই করেছেন।
স্পিগেল জানিয়েছে, ইউরোপীয় সীমান্ত সংস্থার ৬ শতাধিক সদস্য নৌকা, ড্রোন এবং বিমান নিয়ে গ্রিসে মোতায়েন রয়েছে, যে পথ দিয়ে অনেক অভিবাসী প্রথমে ইইউতে প্রবেশ করে।
এতে আরও বলা হয়েছে, তদন্তে ওঠে আসা ঘটনার বিষয়ে ফ্রন্টেক্স কোনও মন্তব্য করেনি। তবে তারা মানবাধিকার এবং নন- রিফিউলমেন্টের ব্যাপারে কর্মচারীদের জন্য প্রযোজ্য আচরণ বিধির উল্লেখ করেছেন।
সংস্থাটি শুক্রবার টুইটারে বলেছে যে, মৌলিক অধিকার ও আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে সম্পূণ সামঞ্জস্য বজায় রেখে গ্রীক কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় তারা কাজ করছে। সাম্প্রতিক কয়েকে মাসে সমুদ্রের কিছু ঘটনা সম্পর্কে গ্রীক কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে।
এতে আরো বলা হয়,এথেন্স একটি “অভ্যন্তরীণ তদন্ত” শুরু করেছে।
গ্রীসের রক্ষণশীল সরকার বিভিন্ন সাহায্য সংস্থার পক্ষ থেকে সীমান্তে অবৈধ পুশব্যাকের অভিযোগ বরাবরই প্রত্যাখ্যান করে আসছে।
বাসস/অনুৃ- জেজেড/ ২০১৫/-শআ