বাজিস-১ : মেহেরপুরে সদর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে রাজস্ব আদায় বেড়েছে

116

বাজিস-১
মেহেরপুর-রাজস্ব আয়
মেহেরপুরে সদর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে রাজস্ব আদায় বেড়েছে
মেহেরপুর, ২৪ অক্টোবর, ২০২০ (বাসস) : করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও মেহেরপুর জেলা সদর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে রাজস্ব আদায় বেড়েছে। যা ২০১৯ সালের ১০ মাসের সময়ের চেয়ে চলতি ২০২০ সালের ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত সময়ে রাজস্ব আদায়ের পরিমান অনেক বেশি। সাব রেজিস্ট্রি অফিসে সিন্ডিকেট বন্ধ, দলিল লেখক সমিতির দৌরাত্ব বন্ধর কারণেই রাজস্ব আদায় বাড়ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
মেহেরপুর সদর সাব রেজিস্ট্রি অফিসে ৫ হাজার ১৫৫টি দলিল রেজিস্ট্রির বিপরীতে ৫ কোটি ৭৮ লাখ ৬৩ হাজার ৮৩৩ টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে। যা গত বছরের ১০ মাসের চেয়ে প্রায় এক কোটি টাকা বেশি। কর্তৃপক্ষের দাবি, অনিয়ম বন্ধ হওয়ার কারণে রাজস্ব আয় বেড়েছে। দলিল লেখকদের সাথে আলাপ কালে তারা জানান- সাব-রেজিস্ট্রারের সদিচ্ছার কারণে আগের তুলনায় বেড়েছে রাজস্ব আদায়।
মেহেরপুর সদর সাব-রেজিস্ট্রি অফিস ঘুরে কথা হয় দলিল করতে আসা রফিক মিয়া ও নুর হোসেনের সঙ্গে। তারা বলেন, এক সময় মেহেরপুর সদর সাব রেজিস্ট্রি অফিসে অনিয়ম ছিলো । বিপদে পড়ে মানুষকে জমি বেচা কেনা করতে এখানে এসে বিপদে পড়তে হতো। দীর্ঘদিন পরে হলেও বর্তমান সময়ে সে অবস্থার পরিবর্তন ঘটেছে। এখন মানুষ এসে হয়রানির শিকার হয় না। আমরাও দলিল করছি সরকারি নির্ধারিত ফিতে। অতিরিক্ত কোনো ফি কাউকে দিতে হয়নি।
দলিল লেখক একরামুল হক বলেন, আগের তুলনায় আমূল পরিবর্তন ঘটেছে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের। সাধারণ মানুষ সরকারি নির্ধারিত ফি’তেই দলিল করতে পারছে। নেই কোনো দালালদের তৎপরতাও। দলিল লেখকদের ও সাব রেজিস্ট্রার স্যারের সমন্বয়ে সাব রেজিস্ট্রি অফিসকে মডেল অফিস হিসেবে গড়ে তোলার জন্য কাজ করছি। প্রতিদিন এখানে প্রায় ৬০টি দলিল হচ্ছে। সাধারণ মানুষ কাউকে কোনো ঘুষ দেয়া ছাড়াই দলিলের কাজ সম্পন্ন করছে।
সাব রেজিস্ট্রার সফিকুল ইসলাম জানান, ইতোমধ্যে সাব রেজিস্ট্রি অফিস দালাল মুক্ত করা হয়েছে। দলিল লেখকদের সমিতিও ভেঙে দেয়া হয়েছে। গত এপ্রিল মাস জুড়ে সাধারণ ছুটি না থাকলে রাজস্ব আদায় আরো বেশি হত। এ পরিস্থিতি ধরে রাখতে চাই।
জেলা রেজিস্ট্রার সাইফুল ইসলাম বলেন,সাব রেজিস্ট্রি অফিসে দলিল করতে আসা সাধারণ মানুষ যেন কোনোভাবেই হয়রানির শিকার না হয় সেই লক্ষ্যেই আমরা কাজ করছি। সার্বক্ষণিক এ বিষয়ে নজরদারি করা হচ্ছে। কোনো অভিযোগ পেলেই সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেয়া হয়। আমি মনে করি অতীতের তুলনায় অফিসের কার্যক্রমের আমূল পরিবর্তন হয়েছে। পাশা পাশি বাড়ছে সরকারের রাজস্ব আয়।
বাসস/সংবাদদাতা/১২০০/নূসী