উচ্চ ফলনশীল চাষাবাদ প্রযুক্তি সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে হবে : সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

534

ঢাকা, ২২ অক্টোবর, ২০২০ (বাসস) : সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, উচ্চ ফলনশীল চাষাবাদ প্রযুক্তি সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে হবে।
তিনি বলেন, ‘বর্তমান কৃষি বান্ধব সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টা, কৃষি বান্ধব নীতি প্রণয়ন, গবেষণা কার্যক্রম জোরদারকরণ এবং কৃষকদের নিরলস শ্রমের ফসল হিসাবে বাংলাদেশের কৃষি খাতে একটি বিপ্লব সৃষ্টি হয়েছে। শুধু খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা নয়, বাংলাদেশ আজ খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশে পরিণত হয়েছে। কৃষি বিজ্ঞানী, গবেষক ও কৃষিবিদদের সমন্বিত প্রয়াসের ফলে নতুন নতুন চাষাবাদ প্রযুক্তি ও উচ্চ ফলনশীল জাতের উদ্ভাবন ঘটেছে।’
প্রতিমন্ত্রী আজ সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার বাটরায় বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিউট (বারি) উদ্ভাবিত গ্রীষ্মকালীন হাইব্রিড টমেটোর ওপর মাঠ দিবস-২০২০ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, সাতক্ষীরা কৃষি ক্ষেত্রে সফলতার একটি প্রকৃষ্ট উদাহরণ। ৪০ শতাংশ জমি লবণাক্ত হওয়া সত্ত্বেও জেলাটি গতবছর ১ লাখ ৭৮ হাজার টন উদ্বৃত্ত খাদ্য উৎপাদন করেছে।
তিনি বলেন, বারি উদ্ভাবিত গ্রীষ্মকালীন হাইব্রিড টমেটো একটি উচ্চ তাপমাত্রা সহনশীল ও ভাইরাস প্রতিরোধী উচ্চ ফলনশীল টমেটোর জাত। এতে রয়েছে বিটা-ক্যারোটিন ও লাইকোপেনসহ হৃদরোগ, ক্যান্সার প্রতিরোধী উপাদান। অত্যন্ত পুষ্টি গুণসম্পন্ন এ টমেটোর চাষ প্রযুক্তি সাতক্ষীরাসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলে ছড়িয়ে দিতে হবে।
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. নাজিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সাতক্ষীরা-২ আসনের সংসদ সদস্য এডভোকেট মুস্তফা সাইফুল্লাহ, কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক্সপার্ট পুলের সদস্য ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক হামিদুর রহমান, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর সহধর্মিনী ও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. সোহেলা আক্তার ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সাতক্ষীরার উপপরিচালক নুরুল আলম।