বাসস দেশ-২৩ (লিড) : দেশে ২৪ ঘন্টায় কোভিড-১৯ এ মৃত্যু ২৪ জন, সুস্থ ১,৬৮৭

93

বাসস দেশ-২৩ (লিড)
করোনা-আপডেট
দেশে ২৪ ঘন্টায় কোভিড-১৯ এ মৃত্যু ২৪ জন, সুস্থ ১,৬৮৭
ঢাকা, ২২ অক্টোবর, ২০২০ (বাসস) : দেশে গত ২৪ ঘন্টায় কোভিড-১৯ এ ২৪ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। আর সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৬৮৭ জন।
গতকালও ২৪ জন মৃত্যুবরণ করেছিলেন। এখন পর্যন্ত দেশে এ ভাইরাসে মৃত্যুবরণ করেছেন ৫ হাজার ৭৪৭ জন। করোনা শনাক্তের বিবেচনায় আজ মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৬ শতাংশ। গত ৭ অক্টোবর থেকে মৃত্যুর একই হার বিদ্যমান রয়েছে।
আজ স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় হাসপাতাল এবং বাসায় মিলিয়ে সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৬৮৭ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৩ লাখ ১০ হাজার ৫৩২ জন।
আজ শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৭৮ দশমিক ৬৫ শতাংশ। আগের দিন এই হার ছিল ৭৮ দশমিক ৫৬ শতাংশ। আগের দিনের চেয়ে আজ সুস্থতার হার দশমিক ৯ শতাংশ বেশি।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘন্টায় ১৪ হাজার ৯৫৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১ হাজার ৬৯৬ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। গতকাল ১৪ হাজার ৮৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হয়েছিলেন ১ হাজার ৫৪৫ জন। গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১১ দশমিক ৩৪ শতাংশ। আগের দিনও এই হার ছিল ১০ দশমিক ৯৭ শতাংশ। গতকালের চেয়ে আজ শনাক্তের হার দশমিক ৩৭ শতাংশ বেশি।
দেশে এ পর্যন্ত মোট ২২ লাখ ২১ হাজার ৩৬৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৩ লাখ ৯৪ হাজার ৮২৭ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। মোট পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৭ দশমিক ৭৭ শতাংশ। গতকাল পর্যন্ত এই হার ছিল ১৭ দশমিক ৮২শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৪ হাজার ৬১১ জনের। আগের দিন সংগ্রহ করা হয়েছিল ১৪ হাজার ৯১ জনের। গতকালের চেয়ে আজ ৫২০টি নমুনা বেশি সংগ্রহ করা হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় দেশের ১১০টি পরীক্ষাগারে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১৪ হাজার ৯৫৮ জনের। আগের দিন নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল ১৪ হাজার ৮৬ জনের। গত ২৪ ঘন্টায় আগের দিনের চেয়ে ৮৭২টি বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ভিত্তিতে প্রতি ১০ লাখে এ পর্যন্ত শনাক্ত ২৩১৮ দশমিক ৩৩ জন। সুস্থ হয়েছেন প্রতি ১০ লাখে এ পর্যন্ত ১৮২৩ দশমিক ৩৭ জন এবং প্রতি ১০ লাখে মারা গেছেন এ পর্যন্ত ৩৩ দশমিক ৭৫ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, ২৪ ঘন্টায় মৃত্যুবরণকারী ২৪ জনের মধ্যে পুরুষ ১৮ জন, আর নারী ৬ জন। এ পর্যন্ত পুরুষ মৃত্যুবরণ করেছেন ৪ হাজার ৪২২ জন, আর নারী মৃত্যুবরণ করেছেন ১ হাজার ৩২৫ জন। শতকরা হিসেবে পুরুষ ৭৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ; নারী ২৩ দশমিক ০৬ শতাংশ। ২৪ ঘন্টায় ২৪ জনই হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছেন ।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, গত ২৪ ঘন্টায় মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ২১ থেকে ৩০ বছরের ১ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ২ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের বছরের ৮ জন এবং ষাটোর্ধ্ব রয়েছেন ১৩ জন। এখন পর্যন্ত মৃত্যুবরণকারীদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, শূন্য থেকে ১০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ২৯ জন; যা দশমিক ৫০ শতংশ। ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ৪৫ জন; যা দশমিক ৭৮ শতাংশ। ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ১২৯ জন; যা ২ দশমিক ২৪ শতাংশ। ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ৩১৯ জন; যা ৫ দশমিক ৫৫ শতাংশ; ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ৭১৫ জন; যা ১২ দশমিক ৪৪ শতাংশ। ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ১ হাজার ৫৩৪ জন; যা ২৬ দশমিক ৬৯ শতাংশ এবং ৬০ বছরের বেশি বয়সের রয়েছেন ২ হাজার ৯৭৬ জন; যা ৫১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
মৃত্যুবরণকারীদের বিভাগভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২৪ ঘন্টায় ঢাকা বিভাগে ১৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৬ জন, খুলনা বিভাগে ৩ জন এবং সিলেট বিভাগে ১ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণকারীদের বিশ্লেষণে ঢাকা বিভাগে মারা গেছেন ২ হাজার ৯৫১ জন; যা ৫১ দশমিক ৩৫ শতাংশ। চট্টগ্রাম বিভাগে ১ হাজার ১৫০ জন; যা ২০ দশমিক ০১ শতাংশ। রাজশাহী বিভাগে ৩৬৭ জন; যা ৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ। খুলনা বিভাগে ৪৬২ জন; যা ৮ দশমিক ০৪ শতাংশ। বরিশাল বিভাগে ১৯৭ জন; যা ৩ দশমিক ৪৩ শতাংশ। সিলেট বিভাগে ২৪১ জন; যা ৪ দশমিক ১৯ শতাংশ। রংপুর বিভাগে ২৬০ জন; যা ৪ দশমিক ৫২ শতাংশ এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ১১৯ জন; যা ২ দশমিক ০৭ শতাংশ।
ঢাকা মহানগরীতে কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে সাধারণ শয্যা সংখ্যা ৩ হাজার ৫১৯টি, সাধারণ শয্যায় ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ৭৪১ জন ও শয্যা খালি আছে ১ হাজার ৭৭৮টি। আইসিইউ শয্যা সংখ্যা ৩১৪টি, আইসিইউ শয্যায় ভর্তি রোগী আছে ১৭৭ জন ও শয্যা খালি আছে ১৩৭টি। চট্টগ্রাম মহানগরীতে সাধারণ শয্যা সংখ্যা ৮২৫টি, ভর্তিকৃত রোগী ১২৮ জন ও শয্যা খালি আছে ৬৯৭টি। আইসিইউ শয্যা সংখ্যা ৩৯টি, আইসিইউ শয্যায় ভর্তি আছে ১২ জন ও শয্যা খালি আছে ২৭টি। সারাদেশে অন্যান্য হাসপাতালে সাধারণ শয্যা সংখ্যা ৭ হাজার ৩৮৬টি, সাধারণ শয্যায় ভর্তিকৃত রোগী ৫০০ জন ও শয্যা খালি আছে ৬ হাজার ৮৮৬টি এবং আইসিইউ শয্যা রয়েছে ২১১টি ও আইসিইউ শয্যায় ভর্তিকৃত রোগীর সংখ্যা ৮৪ জন ও শয্যা খালি আছে ১২৭টি । সারাদেশে হাসপাতালে সাধারণ শয্যা সংখ্যা ১১ হাজার ৭৩০টি, রোগী ভর্তি আছে ২ হাজার ৩৬৯ জন এবং শয্যা খালি আছে ৯ হাজার ৩৬১টি। সারাদেশে আইসিইউ শয্যা সংখ্যা ৫৬৪টি, রোগী ভর্তি আছে ২৭৩ জন এবং খালি আছে ২৯১টি। সারাদেশে অক্সিজেন সিলিন্ডারের সংখ্যা ১৩ হাজার ৯০টি। সারাদেশে হাই ফ্লো নেজাল ক্যানেলা সংখ্যা ৫৬২টি এবং অক্সিজেন কনসেনট্রেটর ৩৫৮টি।
০১৩১৩-৭৯১১৩০, ০১৩১৩-৭৯১১৩৮, ০১৩১৩৭৯১১৩৯ এবং ০১৩১৩৭৯১১৪০ এই নম্বরগুলো থেকে হাসপাতালের সকল তথ্য পাওয়া যাবে। কোন হাসপাতালে কতটি শয্যা খালি আছে। কত রোগী ভর্তি ও কতজন ছাড় পেয়েছেন এবং আইসিইউ শয্যা খালি আছে কি না এই ফোন নম্বরগুলোতে ফোন করে জানা যাবে। এছাড়া িি.িফমযং.মড়া.নফ এর ঈঙজঙঘঅ কর্ণারে ‘করোনা বিষয়ক অভিযোগ প্রেরণ’ লিঙ্ক অথবা যঃঃঢ়:/ধঢ়ঢ়.ফমযং.মড়া.নফ/পড়ারফ১৯-পড়সঢ়ষধরহ লিঙ্ক ব্যবহার করে করোনা বিষয়ক যেকোন অভিযোগ পাঠানো যাবে।
গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হওয়া ১ হাজার ৬৮৭ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে রয়েছেন ১ হাজার ১৯৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ২১৮ জন, রংপুর বিভাগে ৫৩ জন, খুলনা বিভাগে ১০২ জন, বরিশাল বিভাগে ৩৪ জন, রাজশাহী বিভাগে ৯৭ জন, সিলেট বিভাগে ৪১ জন এবং ময়মনসিংহে ৪৮ জন সুস্থ হয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘন্টায় আইসোলেশনে যুক্ত হয়েছেন ১৭১ জন, আর ছাড় পেয়েছেন ১৮৫ জন। এখন পর্যন্ত আইসোলেশনে যুক্ত হয়েছেন ৮৪ হাজার ৮১০ জন, আর ছাড় পেয়েছেন ৭২ হাজার ৬৬০ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১২ হাজার ১৫০ জন।
গত ২৪ ঘন্টায় কোয়ারেন্টিনে যুক্ত হয়েছেন ৭০৭ জন, আর কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৭১৬ জন। এখন পর্যন্ত কোয়ারেন্টিনে যুক্ত হয়েছেন ৫ লাখ ৪৮ হাজার ৫২০ জন, আর এখন পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন ৫ লাখ ৮ হাজার ৬৪৯ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টিনে আছেন ৩৯ হাজার ৮৭১ জন।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘন্টায় স্বাস্থ্য বাতায়ন ১৬২৬৩ হটলাইন নম্বরে ফোনকল গ্রহণ করা হয়েছে ৬ হাজার ৭৭৭টি, ৩৩৩ এই নম্বরে ফোন এসেছে ৩৫ হাজার ৫৬১ এবং আইইডিসিআর’র হটলাইন ১০৬৫৫, এই নম্বরে ফোন এসেছে গত ২৪ ঘন্টায় ১৯০টি। সব মিলিয়ে ২৪ ঘন্টায় ফোনকল গ্রহণ করা হয়েছে ৪২ হাজার ৫২৮ টি। এ পর্যন্ত হটলাইনে ফোনকল এসেছে ২ কোটি ১৯ লাখ ৫১ হাজার ৭২টি।
এছাড়া ২৪ ঘন্টায় কোভিড বিষয়ক টেলিমেডিসিন সেবা গ্রহণ করেছেন ২ হাজার ৬১৯ জন। এ পর্যন্ত শুধু কোভিড বিষয়ে স্বাস্থ্য সেবা গ্রহণ করেছেন ৪ লাখ ৯৫ হাজার ৩১৮ জন। প্রতিদিন ৩৫ জন চিকিৎসক ও ১০ জন স্বাস্থ্য তথ্যকর্মকর্তা দুই শিফটে মোট ৯০ জন টেলিমেডিসিন সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, দেশের বিমানবন্দর, নৌ, সমুদ্রবন্দর ও স্থলবন্দর দিয়ে গত ২৪ ঘন্টায় ৪ হাজার ৮৯১ জনসহ সর্বমোট বাংলাদেশে আগত ১০ লাখ ৭৫ হাজার ৪১৮ জনকে স্কিনিং করা হয়েছে।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পরিস্থিতি তুলে ধরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২১ অক্টোবর পর্যন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮৬ লাখ ১০ হাজার ৩১৭ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ১ লাখ ৭৬ হাজার ১৬৬ জন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২১ অক্টোবর পর্যন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী সারাবিশ্বে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৪ কোটি ৬ লাখ ৬৫ হাজার ৪৩৮ জন এবং ১১ লাখ ২১ হাজার ৮৪৩ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
বাসস/সবি/এমএসএইচ/১৭২৫/এএএ