বাসস ক্রীড়া-৫ : কোম্যানের জোড়া গোলে বায়ার্নের উড়ন্ত সূচনা

114

বাসস ক্রীড়া-৫
ফুটবল-চ্যাম্পিয়ন্স লিগ
কোম্যানের জোড়া গোলে বায়ার্নের উড়ন্ত সূচনা
মিউনিখ, ২২ অক্টোবর ২০২০ (বাসস) : উইঙ্গার কিংসলে কোম্যানের জোড়া গোলে বুধবার এ্যাথলেটিকো মাদ্রিদকে ঘরের মাঠ আলিয়াঁজ এরিনাতে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে উড়ন্ত সূচনা করেছে বায়ার্ন মিউনিখ।
গত মাসে এই কোম্যানের গোলেই মাত্র ৫৯ দিন আগে লিসবনের ফাইনালে পিএসজিকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জিতেছিল জার্মান জায়ান্টরা। সেই জায়গা থেকেই আবারো শুরু করে নিজেকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন ফরাসি এই স্ট্রাইকার। দলের হয়ে প্রথম গোল করার পর দ্বিতীয় গোলটিতে সহায়তা করা ছাড়াও চতুর্থ গোলটি দিয়ে বড় জয়ে ভূমিকা রেখেছে কোম্যান।
ম্যাচ শেষে স্কাই স্পোর্টসকে কোম্যান বলেছেন, ‘আমরা দুর্দান্ত খেলেছি। নিজের দুই গোল নিয়ে আমি দারুন খুশী। গত মৌসুমের ফাইনালে জয়সূচক গোলটি আমাকে মানসিক ভাবে শক্তিশালী করে তুলেছিল। কিন্তু সেসব এখন অতীত, আমরা এবার নতুন একটি মৌসুম খেলতে মাঠে নেমেছি।’
কোম্যান তার সেরা গোলটি শেষ মুহূর্তের জন্য জমিয়ে রেখেছিলেন। ৭২ মিনিটে এ্যাথলেটিকোর রক্ষনভাগের মধ্য দিয়ে যে অসাধারন দক্ষতায় তিনি বল জালে জড়িয়েছেন তা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের অন্যতম সেরা গোলের তকমা পেতেই পারে। মিউনিখে বায়ার্নের বড় এই জয়ে স্কোরশিটে আরো নাম লিখিয়েছেন দুই মিডফিল্ডার লিঁও গোয়েতজা ও ক্রোয়েনটিন টোলিসো। এর মধ্যে বক্সের বাইরে থেকে টোলিসোর জোড়ালো দুর পাল্লার শটের গোলটিও ছিল চোখে পড়ার মত।
দুই বছর আগে ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে প্রায় একইভাবে বিধ্বস্ত হয়ে ৪-০ গোলে পরাজিত হয়েছিল এ্যাথলেটিকো। কোচ দিয়েগো সিমিওনের অধীনে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সেই ম্যাচের মত আরো একটি বড় ও বাজে পরাজয়ের মুখ দেখলো স্প্যানিশ জায়ান্টরা। অন্যদিকে ২০১৮/১৯ মৌসুমে লিভারপুলের কাছে পরাজিত হবার এনিয়ে টানা ১২তম ম্যাচে জয় তুলে নিল বেভারিয়ান্সরা। কোচ হান্সি ফ্লি বলেছেন, ‘এই জয়ে আমি দারুন খুশী। বিশেষ করে দলের রক্ষনভাগ আজ দারুন খেলেছে। নিজেদের কঠিন পরিশ্রমের ফল আমরা পেয়েছি।’
মঙ্গলবার বায়ার্ন উইঙ্গার সার্জি গ্যানাব্রির কোভিড-১৯ সনাক্ত হওয়ায় উয়েফার সবুজ সঙ্কেতের অপেক্ষায় ছিল দুই দল। যে কারনে বিশেষ করে বায়ার্ন শিবির বেশ নার্ভাস ছিল। যদিও বুধবার সকালে দ্বিতীয় রাউন্ডের পরীক্ষা বায়ার্নের বাকি সদস্যরা নেগেটিভ আসাতে ম্যাচটি নিয়ে আর কোন শঙ্কা ছিলনা।
দুই দলই ম্যাচের শুরুতে বেশ কয়েকটি সুযোগ সৃষ্টি করেছিল। লেফট-ব্যাক রেনান লোডির লো ক্রস থেকে বল নিয়ন্ত্রনে নিতে ব্যর্থ হয়েছেন এ্যাথলেটিকো তারকা লুইস সুয়ারেজ। বায়ার্ন সেন্টার-ব্যাক নিকলাস সুয়েলে পোস্টে বল লাগিয়েছেন। সুয়ারেজের শট অল্পের জন্য পোস্টের বাইরে চলে যায়। ২৯ মিনিটে জসুয়া কিমিচের দারুন একটি পাস থেকে বক্সের ভিতর কোম্যান এ্যাথলেটিকো গোলরক্ষক ইয়ান ওবলাককে পরাস্ত করেন। বিরতির আগে ফরাসি এই উইঙ্গারের পাস থেকে গোয়েতজা ব্যবধান দ্বিগুন করেন।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে হুয়াও ফেলিক্সের হাত ধরে এ্যাথলেটিকো একটি গোল দিলে ভিএআর সুয়ারেজের অফসাইড পজিশনের কারনে তা বাতিল করে দেয়। ৬৬ মিনিটে শক্তিশালী শটে টোলিসো দলের হয়ে তৃতীয় গোলটি করেন। ৭৭ মিনিটে অনেকটা একক প্রচেষ্টায় এ্যাথলেটিকো রক্ষনভাগ ভেঙ্গে কোম্যান তার দ্বিতীয় গোলটি করলে বড় জয় নিয়ে বাড়ি ফিরে যায় স্বাগতিকরা।
বাসস/নীহা/১৪৪৫/স্বব