বাসস দেশ-১ : কক্সবাজারের স্থানীয় জনগোষ্ঠি ও রোহিঙ্গাদের জীবনমান উন্নয়নে জাপানের অনুদান

133

বাসস দেশ-১
ডাব্লিওএফপি-জাপন-অনুদান
কক্সবাজারের স্থানীয় জনগোষ্ঠি ও রোহিঙ্গাদের জীবনমান উন্নয়নে জাপানের অনুদান
ঢাকা, ২২ অক্টোবর, ২০২০ (বাসস) : জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম (ডব্লিওএফপি) কক্সবাজারের স্থানীয় কৃষকদের এবং কক্সবাজারে বসবাসরত মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের সহায়তার জন্য জাপান সরকারের ৫০ লাখ মার্কিন ডলার নতুন অনুদানকে স্বাগত জানিয়েছে।
জাপানের অনুদান ডাব্লিওএফপি’র কৃষকদের বাজার কর্মসূচিকে সহায়তা করবে, যেখানে শরণার্থীরা ডব্লিওএফপি’র সহায়তা কার্ড ব্যবহার করে নিয়মিতভাবে বাজার থেকে স্থানীয় কৃষকদের উৎপাদিত তাজা খাবার ক্রয় করতে পারবে।
ডব্লিওএফপি’র এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কক্সবাজারের প্রায় ২,৪০০ স্থানীয় কৃষক তাজা শাকসবজি সরবরাহে নিযুক্ত রয়েছেন, যারা ১০ লাখ লোকের চাহিদা মেটাতে সক্ষম।
জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো বলেন, ‘খাদ্য সহায়তার মাধ্যমে বিশ্বে ক্ষুধা ও দারিদ্র্য বিমোচনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য নোবেল শান্তি পুরষ্কার লাভের জন্য আমি ডাব্লিওএফপিকে আন্তরিকভাবে অভিনন্দন জানাই।’
তিনি বলেন, ‘এই প্রকল্পের মাধ্যমে কক্সবাজারের স্থানীয় জনগোষ্ঠি এবং মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা উভয়েই উপকৃত হবেন। আমি আন্তরিকভাবে আশাবাদী যে এই প্রকল্পটি কক্সবাজারে বাস্তুচ্যুত মানুষ এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠিকে সহায়তা করতে এবং বাংলাদেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে সক্ষম হবে।’
ডব্লিওএফপির উপ-আবাসিক পরিচালক আলফা বাহ বলেন, ‘কৃষকদের বাজারের মডেলটি উদ্বাস্তুদের সাড়া স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে যে বিপুল অর্থনৈতিক সুযোগ করে দিতে পারে তার প্রতিফলন ঘটায়।’
বাহ যোগ করেন, ‘এ বাজার পারস্পরিকভাবে উপকারী। এটি স্থানীয় খাদ্য উৎপাদনকারীদের আয় জোগাচ্ছে এবং শরণার্থী জনগোষ্ঠীর খাদ্য বৈচিত্র্য বাড়াচ্ছে। একটি প্রতীকী অর্থনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলার মাধ্যমে এই মডেল দুটি গ্রুপের মধ্যে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান এবং সামাজিক সংহতিতেও ভূমিকা রাখছে।’
ডব্লিওএফপি-র শরণার্থী সহায়তার জন্য জাপানের অনুদান গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ কওে ২০১৭ সালে এটি বর্ধিত করার পর। রোহিঙ্গারা যখন প্রথম কক্সবাজারে আসে তখন এর প্রাথমিক ১৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার তহবিল ডব্লিওএফপিকে রোহিঙ্গাদের জীবন রক্ষাকারী সহায়তা প্রদান করেছিল।
২০১৯ সালে জাপান পটুয়াখালী এবং কক্সবাজার জেলার ক্ষুদ্র কৃষকদের জীবিকা নির্বাহ এবং শরণার্থী জনগোষ্ঠির জন্য ডব্লিওএফপি-র ই-ভাউচার কর্মসূচি সম্প্রসারণে আরো ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুদান রেখেছে।
ডব্লিওএফপি প্রতিমাসে মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত ৮ লাখ ৬০ হাজার রোহিঙ্গা ও পাঁচ লাখের বেশি দরিদ্র মানুষকে খাদ্য সহায়তা দিয়ে থাকে।
বাসস/সবি/এমআরআই/অনু-এইচএন/১০৪৫/এবিএইচ