বাসস ক্রীড়া-১২ : বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপের একটি প্রাপ্তি রুবেলের ধারাবাহিকতা

167

বাসস ক্রীড়া-১২
ক্রিকেট-রুবেল-সফল
বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপের একটি প্রাপ্তি রুবেলের ধারাবাহিকতা
ঢাকা, ২১ অক্টোবর, ২০২০ (বাসস): চলমান বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপে বোলাররা সবাই ভাল করছেন। তবে বিশেষভাবে একজন বোলার ধারাবাহিকতা দিয়ে সকলের দৃষ্টি করেছেন। তিনি পেসার রুবেল হোসেন। প্রায় ১১ বছর ধরে বাংলাদেশ দলের প্রতিনিধিত্ব করা রুবেলের কাছাকিাছি আর কেউ নেই।
বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপে শেষ চার ম্যাচে যে ধারাবাহিকতা তিনি দেখিয়েছেন, গত ১১ বছরে সে রকম ধারাবাহিক কখনো ছিলেন না রুবেল। চলমান টুর্নামেন্টে এ পর্যন্ত তিনি ১০ উইকেট সংগ্রহ করেছেন। তন্মধ্যে মাহমুদুল্লাহ একাদশের হয়ে তামিম একাদশের বিপক্ষে চার উইকেট দখল করেছেন রুবেল।
টুর্নামেন্টে নিজের প্রথম ম্যাচে কোন উইকেটই পাননি রুবেল। তবে তার সঠিক লইন ও লেন্থের বোলিংয়ে ভালই বিব্রত হয়েছে ব্যাটসম্যানরা। যে কারণে তাদেরকে বেশ সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়েছে।
দ্বিতীয় ও তৃতীয় ম্যাচ থেকে ধারাবাহিক উইকেট পেতে থাকেন তিনি। এ ধারাবাহিকতার কারণেই টুর্নামেন্টে তিনি অন্যদের চেয়ে নিজেকে আলাদা অবস্থানে নিতে পেরেছে। পিচ থেকে তিনি যে সহায়তা পেয়েছেন কাকে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু রুবেলের সঠিক লাইন ও লেন্থ বজায়ে রেখে অসাধারণ বোলিং সবাইকে মুগ্ধ করেছে।
গত কিছু দিন যাবত জাতীয় দলে থিতু হতে না পারা পেসার রুবেল আপাত দৃস্টিতে পুর্বের ছন্দ ফিরে পেয়েছেন বলেই মনে হচ্ছে। সবচেয়ে আনন্দের বিষয় হচ্ছে তার পেস বোলিং অনেকটাই ধারাবাহিক হয়ে উঠেছে সেই সঙ্গে সঠিক লাইন ও লেন্থ বজায় রাখছেন। যা ইতোমধ্যে তিনি হারিয়ে ফেলেছিলেন।
বিসিবির নির্বাচক হাবিবুল বাশার বলেন,‘ আমার মনে হয় দীর্ঘ সময় পর সে নিজের সেরা আবয়ব ফিরে পেয়েছে। আশার বিষয় হচ্ছে এক মুহুর্তের জন্য তার ছন্দে কোন ছেদ পড়েনি।’
অন্যদের তুলনায় রুবেলের বোলিং অনেক বেশী ধ্বংসাত্মক , বিশেষ করে তিনি যখন মনোযোগ দিয়ে বোলিং করেন তখন বাঁহাতি ব্যাটসম্যানদের নাকানিচুবানি খেতে হয়। নিজের এই দক্ষতা অর্জনের কৃতিত্ব তিনি বোলিং কোচ ওটিস গিবসনকেই দিতে চান। কারন গিবসনই তাকে শিখিয়েছেন কিভাবে সুইং নিয়ন্ত্রন করতে হয়।
রুবেল বলেন,‘ আমি নতুন বলের বোলিং নিয়ে গিবসনের সঙ্গে কাজ করেছি। তিনি আমাকে শিখিয়েছেন কিভাবে সুইং নিয়ন্ত্রন করতে হয়। আর আমি যখন সুইং নিয়ন্ত্রন করতে শিখলাম তখন আমার বোলিং আরো নিখুত হতে লাগল। এখন কিভাবে নিজের আরো বেশি উন্নতি করা যায় সেই চেস্টাই আমি করছি।’
রুবেল বলেন স্লগ ওভারে কিভাবে ভাল করা যায় এখন সেটি নিয়ে তিনি কাজ করছেন। এই জায়গাটিতেই বাংলাদেশের অধিকাংশ বোলাররা খেই হারিয়ে ফেলেন। তিনি বলেন,‘ আমার লক্ষ্য হচ্ছে ডেথ ওভারে প্রতিপক্ষের রান রেট নিয়ন্ত্রন করা। নিজেকে পরিপুর্ন বোলার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে হলে স্লগ ওভারে ভাল বল করতে হবে।’
ধারাবাহিক ভাবে ঘন্টায় ১৪০ কিমি মিটার গতিতেও বল করে যাচ্ছেন রুবেল। যেটি এখনো পর্যন্ত বাংলাদেশের কোন বোলার পারেনি। ওই পেসার বলেন,‘ সব পেস বোলাররাই সঠিক লাইন লেন্থে বল করেন। সব দলের ফাস্ট বোলাররাই দ্রুত উইকেট তুলে নেন। আমার মতে যে কোন প্রতিযোগিতায় পেস বোলারদের জন্য এটি খুবই ভাল একটি দিক।
এই ধরনের প্রতিযোগিতাও বাংলাদেশ দলের জন্য ভাল একটি দিক। যেখানে সবাই অপেক্ষাকৃত ভাল করতে চায়। যখন সেখানে বেশী প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকবে তখন তাদের মনোযোগও গভীর হবে। এটি বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য খুবই ভাল একটি দিক। এখন বাংলাদেশে অনেক পেস বোলার রয়েছে যারা ১৪০ কিমি গতিরি আশেপাশেই আছে। এটি বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য বেশ ভাল উদ্যোগ।’
বাসস/এসএমপি-অনু/এমএইচসি/২০৩০/-স্বব