করোনায় চট্টগ্রামে টানা ৬ষ্ঠ মৃত্যুহীন দিন পার

277

চট্টগ্রাম, ২১ অক্টোবর, ২০২০ (বাসস) : চট্টগ্রামে টানা ৬ষ্ঠ মৃত্যুহীন দিন পার করলো চট্টগ্রাম। সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী নতুন ৭৮ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। সংক্রমণ হার ৮ দশমিক ৫৯ শতাংশ।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্ট মতে, নগরীর আটটি ও কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রামের ৯০৮ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে শনাক্তদের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৭৩ জন এবং গ্রামের ৫ জন। ফলে জেলায় মোট সংক্রমিতের সংখ্যা এখন ২০ হাজার ৩৫৫ জন।
সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি আজ বাসসকে বলেন, ‘কোভিড নিয়ে এ মুহূর্তে চট্টগ্রামে স্বস্তির খবর হচ্ছে গত ছয় দিন করোনাক্রান্ত কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি। সর্বশেষ ১৪ অক্টোবর ২ জন মারা যান। সংক্রমণের হার কিছুটা বেড়ে ৮ থেকে ৯ শতাংশের মধ্যে অবস্থান করছে।’
সিভিল সার্জন বলেন, ‘তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। সামনের শীতে সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য বারবার জনসাধারণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। ঘরের বাইরে গেলে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করতে আইনের যথাযথ প্রয়োগের ওপর তিনি জোর দিয়েছেন। কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রীর এসব নির্দেশাবলী মাঠ পর্যায়ে কার্যকর করার কোনো বিকল্প নেই।’
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে। এখানে ৪৯২ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৬ জন করোনাক্রান্ত শনাক্ত হন। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ১৪০ জনের নমুনার মধ্যে ২১ জনের দেহে ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ল্যাবে ৬৮ টি নমুনা পরীক্ষা হলে ৮ টি করোনার জীবাণুবাহক হিসেবে চিহ্নিত হয়। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাবে ৪৯ জনের নমুনায় ৫ জনের পজিটিভ রিপোর্ট আসে। নগরীর একমাত্র বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবে (আরটিআরএল) চারজনের নমুনায় একজন করোনাক্রান্ত থাকার প্রমাণ মেলে।
নগরীর বেসরকারি তিন ল্যাবরেটরির মধ্যে শেভরনে ৯৯, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৪০ এবং মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ১১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে যথাক্রমে ১৯ জন, ৩ জন ও ৪ জনের নমুনায় করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ে।
এদিন, চট্টগ্রামের ৫টি নমুনা কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় একটির পজিটিভ ও চারটির নেগেটিভ রেজাল্ট আসে।