রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের প্রচেষ্টা জোরদারের আহ্বান কক্সবাজার নাগরিক সমাজের

730

ঢাকা, ২০ অক্টোবর, ২০২০ (বাসস) : সিসিএনএফ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের অনতিবিলম্বে মায়ানমারে ফিরিয়ে নেওয়ার ধনী দেশ ও জাতিসংঘের উদ্যোগ ও প্রচেষ্টাকে দ্বিগুণ জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছেন।
রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় কর্মরত এনজিও নেটওয়ার্ক কক্সবাজার সিএসও এনজিও ফোরাম (সিসিএনএফ) এর পক্ষে আগামী ২২ অক্টোবর যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাতিসংঘ এবং জাপানের উদ্যোগে অনুষ্ঠেয় দাতা সম্মেলনের প্রাক্কালে আয়োজিত এই ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে আজ এ আহ্বান জানানো হয়।
সিসিএনএফ রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় তহবিল ব্যবস্থাপনায় স্থানীয় সরকার, স্থানীয় সিএসও, রোহিঙ্গা প্রতিনিধি, আরআরআরসি, জেলা প্রশাসক এবং আইএসসিজি’র অংশগ্রহণ সমৃদ্ধ একটি একক কর্তৃপক্ষের দাবি পুনর্ব্যাক্ত করেছে।
সংবাদ সম্মেলনটি সঞ্চালনা করেন সিসিএনএফ’র কো চেয়ার এবং কোস্ট ট্রাস্টের নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম চৌধুরী। এতে বক্তৃতা করেন-টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী, সিসিএনএফ’র কো চেয়ার, পালস’র নির্বাহী পরিচালক এবং কক্সবাজার চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী এবং মুক্তি কক্সবাজারের প্রধান নির্বাহী বিমল দে সরকার, আইডিএফ নির্বাহী পরিচালক জহিরুল আলম (চট্টগ্রাম), হেল্প কক্সবাজারের নির্বাহী পরিচালক আবুল কাশেম (উখিয়া) অগ্রযাত্রা’র সভাপতি নীলিমা আক্তার চৌধুরী (কক্সবাজার) এবং সিসিএনএফ সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম।
আবু মোর্শেদ চৌধুরী বলেন, ২০১৮ থেকে সিসিএনএফ যৌথ সাড়াদান পরিকল্পনাকে (জেআরপি) নিরাপত্তা ও সংঘাত প্রতিরোধে গুরুত্ব দেওযার পরামর্শ দিয়ে এসেছে। রোহিঙ্গা শিবিরগুলিতে সাম্প্রতিক সহিংসতার প্রেক্ষাপটে তিনি শান্তি প্রতিষ্ঠায় স্থানীয় সরকার এবং স্থানীয় সিএসও-র অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার অনুরোধ করেন।
জহিরুল আলম বলেন, ‘রোহিঙ্গা ইস্যুর মতো, জলবায়ু পরিবর্তনের জন্যও বাংলাদেশ দায়ী না হয়েও এই সমস্যাগুলোতে দেশটিকে ভুগতে হচ্ছে।’ তিনি দাতা দেশসমূহকে রোহিঙ্গা মানবিকসসংকটের পাশাপাশি বাংলাদেশের অন্যান্য সমস্যা সমাধানেও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘প্রাপ্ত অর্থ সহায়তার কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত করতে সরকার এবং জাতিসংঘের যৌথ নেতৃত্বাধীন একটি একক কর্তৃপক্ষ থাকতে হবে।’