বাসস ক্রীড়া-১ : বায়ার্নের হয়ে সাম্প্রতিক ফর্ম মুলারকে জাতীয় দলে পুনরায় খেলার স্বপ্ন দেখাচ্ছে

97

বাসস ক্রীড়া-১
ফুটবল-চ্যাম্পিয়ন্স লিগ-প্রিভিউ
বায়ার্নের হয়ে সাম্প্রতিক ফর্ম মুলারকে জাতীয় দলে পুনরায় খেলার স্বপ্ন দেখাচ্ছে
বার্লিন, ২০ অক্টোবর ২০২০ (বাসস) : আগামীকাল বুধবার মিউনিখের আলিয়াঁজ এরিনাতে এ্যাথলেটিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের মিশন শুরু করতে যাচ্ছে বায়ার্ন মিউনিখ। জার্মান চ্যাম্পিয়নদের হয়ে অভিজ্ঞ ফরোয়ার্ড থমাস মুলার দারুন ছন্দে রয়েছেন। আর এই ফর্মই জাতীয় দলে পুনরায় খেলার স্বপ্ন দেখাচ্ছে মুলারকে।
গত মৌসুমে বুন্দেসলিগায় রেকর্ড ২১টি এসিস্ট করেছেন মুলার। ২০২০/২১ নতুন মৌসুমে এ পর্যন্ত পাঁচ গোল করেছেন ও চারটিতে এসিস্ট করেছেন। ৩১ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড শনিবার আর্মিনিয়া বিয়েলেফিল্ডে বুন্দেসলিগায় ৪-১ গোলের জয়ের ম্যাচটিতে দুই গোল করেছেন। তার সাথে পোলিশ তারকা রবার্ট লিওয়ানদোস্কিও দুই গোল করেছেন।
তার এই সাম্প্রতিক ক্লাব ফর্ম স্বাভাবিক ভাবেই জার্মান নির্বাচকদেও নতুন করে ভাবতে বাধ্য করেছেন। ২০১৯ সালে জোয়াকিম লোয়ের দল থেকে জেরমে বোয়াটেং ও ম্যাটস হামেলসের সাথে মুলারও বাদ পড়েছিলেন। সাবেক বায়ার্ন ও জার্মান জাতীয় দলের খেলোয়াড় বাস্তিয়ান শোয়ানস্টেইগার, ডিডি হামান ও লোথার ম্যাথিউস ও মুলারকে জাতীয় দলে দেখার দাবী জানিয়েছেন।
৩৬ বছর বয়সী শোয়নস্টেইগার জার্মান ম্যাগাজিন কিকারে বলেছেন, ‘আমি যদি জাতীয় দলের কোচ হতাম তবে মুলার ও বোয়াটেংকে দলে রাখতাম।’
২০১৪ সালে ব্রাজিলে মুলারকে সাথে নিয়ে শোয়নস্টেইগার জার্মানীকে বিশ^কাপ জয়ে সহযোগিতা করেছিলেন। ১০০ ম্যাচে ৩৮ গোল করার মুলারের এখনো জাতীয় দলে দেবার অনেক কিছুই আছে বলে দাবী জানিয়েছেন শোয়ানস্টেইগার।
মুলার বলেছেন, ‘সবাই দেখছে বর্তমানে আমি দারুন ফর্মে আছি। দেখা যাক শেষ পর্যন্ত কি হয়।’
জার্মান ফুটবলের সর্বকালের সেরা সফল খেলোয়াড় হিসেবে গত মাসে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন মুলার। বায়ার্নের হয়ে জার্মান সুপার কাপের শিরোপা জয়ের মাধ্যমে ক্যারিয়ারের ২৭তম শিরোপা জেতার কৃতিত্ব দেখিয়ে শোয়ানস্টেইগারের ২৬ শিরোপাকে ছাড়িছে গেছেন।
আগামীকাল এ্যাথলেটিকোর বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম ম্যাচেও বায়ার্ন মুলারের কাছ থেকে একইরকম ফর্ম আশা করছে। এ পর্যন্ত নতুন মৌসুমে চার ম্যাচে মাত্র এক গোল হজম করা এ্যাথলেটিকোর বিপক্ষে ম্যাচটাও মোটেই সহজ হবে না।
১৯৭৪ সালে এ্যাথলেটিকোর বিপক্ষে জয়ী হয়েই প্রথম কোন ইউরোপীয়ান কাপ জয় করেছিল বেভারিয়ান্সরা। দিয়েগো সিমিওনের দলের বিপক্ষে ঘরের মাঠের রেকর্ডটাও দারুন সমৃদ্ধ। ২০১৬ সালে মিউনিখে বায়ার্ন দুটি ম্যাচেই জয়ী হয়েছিল। যদিও ২০১৫/১৬ মৌসুমে সেমিফাইনালে এই এ্যাথলেটিকোর কাছে পরাজিত হয়েই বিদায় নিতে হয়েছিল বায়ার্নকে। স্প্যানিশ প্রতিপক্ষের বিপক্ষে তাই একটু বেশী সতর্কতা অবলম্বন করছে জার্মান জায়ান্টরা। গোলরক্ষক ও অধিনায়ক ম্যানুয়েল ন্যয়ার সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন এ্যাথলেটিকো খুবই শক্তিশালী দল এবং তাদের বিপক্ষে খেলাটা সব সময়ই অস্বস্তিকর।
গত আসরের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে খেলার পর এক মাস কেটে গেছে। যদিও বুন্দেসলিগা শুরু হয়ে যাওয়ায় বেশ ব্যস্ত সময় কাটাতে হচ্ছে বেভারিয়ান্সদের। বুধবারের ম্যাচটি হবে তাদের জন্য গত ছয়দিনে তৃতীয় ম্যাচ। সালজবার্গ ও লোকোমোটিভ মস্কোর বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের পরবর্তীয় ম্যাচগুলো মিলিয়ে বায়ার্নকে আগামী তিন সপ্তাহে বেশ কয়েকটি ম্যাচই খেলতে হচ্ছে। এজন্য প্রতিটি খেলোয়াড়কেই বেশ সতর্ক থাকতে হচ্ছে। মূল একাদশ ছাড়াও বদলী বেঞ্চের উপরও তাই নজড় দিতে হচ্ছে কোচা হান্সি ফ্লিককে।
আন্তর্জাতিক বিরতির আগে লিওয়ানদোস্কির পেনাল্টিতে হার্থা বার্লিনকে কোনমতে ৪-৩ গোলে পরাজিত করেছিল বায়ার্ন। এর আগে গত মাসে হফেনহেইমের বিপক্ষে ৪-১ গোলে পরাজিত হয়। মধ্যমাঠে জসুয়া কিমিচের ফিরে আসাটা দলের জন্য বাড়তি অনুপ্রেরনা। দ্বিতীয় সন্তানের জন্মেও কারনে গত সপ্তাহে তিনি দলের বাইরে ছিলেন।
বাসস/নীহা/১৫২০/স্বব