নওগাঁয় বন্যায় রোপা আমন ধান ও শাকসবজির ব্যাপক ক্ষতি

479

নওগাঁ, ২০ অক্টোবর,২০২০ (বাসস): জেলায় দ্বিতীয় দফা বন্যায় রোপা আমন ধান এবং শাকসবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। জেলার ১১টি উপজেলায় ৫ হাজার ৭শ ৮২ হেক্টর জমির রোপা আমন ধান এবং ১০৪ হেক্টর জমির শাকসবজি সম্পূর্ণভাবে বিনষ্ট হয়েছে। বিনষ্ট হয়ে যাওয়া ধান এবং শাকসজির আর্থিক মূল্য ৭১ কোটি ৫ লক্ষ ৬৮ হাজার টাকা । এর মধ্যে ধানের আর্থিক মূুল্য ৬৩ কোটি ৪৯ লক্ষ ৬৮ হাজার টাকা এবং সবজির আর্থিক মূুল্য ৭ কোটি ৫৬ লক্ষ টাকা।
এসব এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের মোট সংখ্যা ৩৭ হাজার ৬শ ১১ জন। এদের মধ্যে রোপা আমন ধানের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ৩৪ হাজার ৪শ ৯৯ জন এবং শাকসজির ক্ষতিগ্রস্ত ৃকৃষকের সংখ্যা ৩ হাজার ১শ ১২ জন।
নওগাঁ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ শামসুল হুদা জানিয়েছেন ,দ্বিতীয় পর্যায়ের বন্যার ফলে জেলার উপজেলা ভিত্তিক বিনষ্ট হয়ে যাওয়া রোপা আমন ধানের জমির পরিমাণ হচ্ছে মান্দা উপজেলায় ১ হাজার ৪শ ৪০ হেক্টর। আত্রাই উপজেলায় ২ হাজার ১শ ৮০ হেক্টর, রানীনগর উপজেলায় ৭শ ৫৪ হেক্টর, নওগাঁ সদর উপজেলায় ৭শ ৩২ হেক্টর। বদলগাছি উপজেলায় ৮০ হেক্টর, মহাদেবপুর উপজেলায় ৫০ হেক্টর, ধামইরহাট উপজেলায় ১শ ২৩ হেক্টর,। পত্নীতলা উপজেলায় ১০ হেক্টর সাপাহার উপজেলায় ৩শ হেক্টর, পোরশা উপজেলায় ৮৩ হেক্টর ও নিয়ামতপুর উপজেলায় ৩০ হেক্টর। কৃষি বিভাগের হিসাব অনুযায়ী বিনষ্ট হয়ে যাওয়া জমি থেকে ১৭ হাজার ৬শ ৩৮ মেট্রিক টন চাল উৎপাদিত হতো। এ চালের আর্থিক মূুল্য ৬৩ কোটি ৪৯ লক্ষ ৬৮ হাজার টাকা।
অপরদিকে জেলার রানীনগর উপজেলায় ৪ হেক্টর, বদলগাছি উপজেলায় ২৫ হেক্টর, পত্নীতলা উপজেলায় ৩০ হেক্টর, ধামইরহাট উপজেলায় ১৬ হেক্টর ও মান্দা উপজেলায় ৩০ হেক্টর জমির শাকসবজি সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে। নষ্ট হয়ে যাওয়া শাক সবজির বাজার মূুল্য ৭ কোটি ৫৬ লক্ষ টাকা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ শামসুল হুদা জানিয়েছেন, জেলার বিভিন্ন ভাবে ফসলের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা তৈরী করা হচ্ছে। সরকারীভাবে তাদের বিশেষ প্রণোদনা দেয়ার প্রয়োনীয় পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। এ ছাড়াও বন্যা কবলিত এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বিকল্প ফসল উৎপাদনে উৎসাহিত করা হবে।