টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হবে : সায়মা ওয়াজেদ হোসেইন

1795

ঢাকা, ১৯ অক্টোবর, ২০২০ (বাসস) : বাংলাদেশ ন্যাশন্যাল এডভাইজরি কমিটি অব অটিজম এন্ড নিউরো-ডেভেলপমেন্ট ডিজঅর্ডারস -এর প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি সায়মা ওয়াজেদ হোসেইন টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার আহবান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি বা মানসিক সমস্যা গ্রস্ত ব্যক্তিদের হলিস্টিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করেত স্বল্প রির্সোসের মাধ্যমে সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করতে হবে। যা সারা পৃথিবীর কাছে মডেল হিসেবে বিবেচিত হবে।
২৮তম বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে ১৮ অক্টোবর ‘অ্যা ডে সেন্টার ফর পিপল উইথ মেন্টাল হেলথ নিডস: এ মডেল কেয়ার অব বাংলাদেশ ’ শীর্ষক এক ওবেনিয়ারের আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
এ বছর দিবসটির থিম ছিলো মানসিক স্বাস্থ্যে বিনিয়োগ। সিআরপি ২০১৪ সাল থেকে বিভিন্ন ভাবে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করছে। ২০১৮ সালে কাদুরি চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশনের সহায়তায় সিআরপি-গণকবাড়িতে মানসিক স্বাস্থ্য সেবায় ডে কেয়ার সেন্টার স্থাপন করে সিআরপি।
ওয়েবনিয়ারে সিআরপির প্রতিষ্ঠাতা ভ্যালেরি এ টেইলরের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে সায়মা ওয়াজেদ হোসেইন সিআরপির উদ্যোগের প্রশংসা করেন এবং মানসিক স্বাস্থ্যের গুরুত্ব আলোচনা করেন। সেই সাথে মানসম্মত সেবা নিশ্চিত করনে সবার সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি বাংলাদেশের হেলথ প্রফেশনাল বা থেরাপিস্টদের উদ্দেশ্যে বলেন, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি বা মানসিক সমস্যাগ্রস্ত ব্যক্তিদের হলিস্টিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হবে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নিউরো ডেভেলপমেন্টাল ডিজঅ্যাবিলিটি ট্রাস্টের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোহাম্মদ গোলাম রব্বানি, হংকং কাদুরি চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশনের সাউথইস্ট এশিয়ার প্রোগ্রাম ম্যানেজার রিতা বনমালি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি ড. বর্ধন জং রানা, নন কমুনিকেবল ডিজিস সেন্টারের লাইন ডিরেক্টের ড. মোহাম্মাদ হাবিবুর রহমান ।
মূল উপস্থাপক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইন্সটিটিউট আয়ারল্যান্ডের ক্যারেন হিসলিপ, অকুপেশনাল থেরাপিস্ট সহকারি অধ্যাপক হেলাল উদ্দিন আহমেদ ও সিআরপির প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর অব অকুপেশনাল থেরাপি ডে কেয়ার সেন্টার ফর পিপল উইথ মেন্টাল হেলথ নিডস রাজিয়া সুলতানা।
প্রফেসর ড. হেলাল উদ্দিন আহমেদ তার উপস্থাপনায় বাংলাদেশের বর্তমান মানসিক স্বাস্থ্যের চিত্রায়ন করেছেন। আইরিশ অকুপেশনাল থেরাপিস্ট ক্যারেন হিসলিপ ইউকে এবং আয়ারল্যান্ডের বর্তমান মানসিক স্বাস্থের চিকিৎসা ক্ষেত্র তুলে ধরেন ও বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এর বাধা বিপত্তি গুলো তুলে ধরেন।
রাজিয়া সুলতানা, ‘মনের সাথে বসবাস’ শীর্ষক ডকুমেন্টারিতে সিআরপির মেন্টাল হেলথ কেয়ার সেন্টারের কার্যক্রম ও রোগিদের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি উপস্থাপন করেন এবং বলেন, সিআরপি তার অবস্থান থেকে চেষ্টা করে যাচ্ছে। যদি সরকারের সহযোগিতায় কমিউনিটি পর্যায়েও এই সেবা পৌছে দেয়া যায় তবে আরও ভালো ফলাফল আসবে।
কাদুরি চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে রিতা বনমালী সিআরপির কার্যকলাপের প্রশংসা করা পূর্বক তাদের সহযোগিতা বজায় রাখার আশ্বাস দেন।
ড. মো: হাবিবুর রহমান সিআরপির এমন উদ্যোগে প্রশংসা করেন এবং মানসিক স্বাস্থ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করনে জনগনের সচেতনতাকে গুরুত্ব দেন। সেই সাথে এনসিডিসি কর্তৃক গৃহীত পরিকল্পনার একটি সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেন।
ড. বর্ধন জং রানা বলেন, চলমান কোভিড-১৯ পরিস্থির কারণে অন্য ক্ষেত্রগুলোতে সেবার ঘাটতি দেখা দিয়েছে। তিনি আরো বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বর্তামানে প্রাথমিক পর্যায়ের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করছে।
প্রফেসর ড. গোলাম রব্বানী রিহেবিলিটিশন ¯েপশালিস্টদের একত্রিত হয়ে রিহ্যাব এক্ট ২০১৮ এর অধিনে ধারা তৈরি করতে সরকারকে উদ্যোগ গ্রহনে বাধ্য করে তোলার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করেন।