বাসস দেশ-২২ : রিমান্ড শেষে স্বাস্থ্য অধিদফতরের আবজাল কারাগারে

89

বাসস দেশ-২২
আবজাল-কারাগার
রিমান্ড শেষে স্বাস্থ্য অধিদফতরের আবজাল কারাগারে
ঢাকা, ১৯ অক্টোবর, ২০২০ (বাসস) : ৩৬ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের দুই মামলায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের অফিস সহকারি আবজাল হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত। রিমান্ড শেষে তাকে আজ কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সোমবার তাকে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে হাজির করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলার তদন্ত শেষ না হওয়ায় তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে সংস্থাটি। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এরআগে ২ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ শুনানি শেষে তার ১৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ২৬ আগস্ট আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন আবজাল হোসেন। শুনানি শেষে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়া হয়।
এরপর সুষ্ঠু তদন্তের জন্য দুই মামলায় তার বিরুদ্ধে ১০ দিন করে ২০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে দুদক।
২০১৯ সালের ২৭ জুন দুদকের উপ-পরিচালক মো. তৌফিকুল ইসলাম বাদি হয়ে তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন, মানি লন্ডারিং এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে মামলা দু’টি করেন।
মামলায় আবজাল ও তার স্ত্রী রুবিনা খানমের বিরুদ্ধে ৩৬ কোটি ৩০ লাখ ৬১ হাজার ৪৯৩ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ভোগদখলে রাখার অভিযোগ আনা হয়। একই সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে দীর্ঘ সময় ধরে স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্থান্তরের মাধ্যমে ২৮৪ কোটি ৫১ লাখ ১৩ হাজার ২০৭ টাকা পাচারের অভিযোগও করা হয়।
আবজালের বিরুদ্ধে করা মামলায় ৪ কোটি ৭৯ লাখ ৩৪ হাজার ৪৪৯ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। তিনি দুদকে পেশ করা সম্পদের বিবরণীতে দুই কোটি এক লাখ ১৯ হাজার ৭৮৫ টাকার সম্পদ গোপন করেছেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়। আবজাল ও তার স্ত্রী রুবিনাকে যৌথভাবে আসামি করে করা মামলায় ৩১ কোটি ৫১ লাখ ২৩ হাজার ৪৪ টাকার সম্পদ অর্জনের কথা বলা হয়। তারা দুদকের কাছে ৫ কোটি ৯০ লাখ ২৮ হাজার ৯২৬ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেন বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয় ।
মামলার অভিযোগে আরও বলা হয়, আবজালের নামে থাকা সম্পদের চেয়ে তার স্ত্রীর নামে সম্পদের পরিমাণ বেশি। অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায় থেকে নিজেকে রক্ষা করতে তিনি স্ত্রীর নামে সম্পদ করেছেন। এসব সম্পদের বৈধ উৎস খুঁজে পাওয়া যায়নি। আবজালের নামে ২০ কোটি ৭৪ লাখ ৩২ হাজার ৩২ টাকা পাচারের প্রমাণ মিলেছে। রুবিনা খানমের বিরুদ্ধেও ২৬৩ কোটি ৭৬ লাখ ৮১ হাজার ১৭৫ টাকা পাচারের প্রমাণ পাওয়া গেছে।
বাসস/সংবাদদাতা/এফএইচ/১৭৫০/এএএ