বাসস ক্রীড়া-৭ : আগামী জানুয়ারিতে ডিপিএল শুরুর কথা ভাবছে বিসিবি

104

বাসস ক্রীড়া-৭
ক্রিকেট-প্রিমিয়ার লিগ
আগামী জানুয়ারিতে ডিপিএল শুরুর কথা ভাবছে বিসিবি
ঢাকা, ১৯ অক্টোবর ২০২০ (বাসস) : আগামী বছরের জানুয়ারিতে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল) শুরুর পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এ সময় জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যস্ত থাকবেন।
জানুয়ারিতে বাংলাদেশ সফর করবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দল। সবচেয়ে জনপ্রিয় ঘরোয়া আসরে জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের ছাড়াই আয়োজনের পরিকল্পনা বিসিবির।
বিসিবি গেম ডেভলপমেন্টের চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ সুজন জানান, জানুয়ারিতে ডিপিএল করার ভালো একটি স্লট রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এ বছর ডিপিএল সম্ভব নয়। আমরা আগামী বছরের জানুয়ারিতে শুরু করতে পারি। কারণ নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে টি-টুয়েন্টি লিগ শুরু করতে ও ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে তা শেষ করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তাই এ বছরে কোন স্লট নেই।’
মাহমুদ আরও বলেন, ‘এরমধ্যে ক্লাবগুলোকে অনুশীলনের সুযোগ করে দিতে হবে। খেলোয়াড়দের একত্রিত করতে হবে। তাই আমি মনে করি না, জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে বা ১০ তারিখ ডিপিএল শুরু করা সম্ভব হবে।’
মাহমুদ জানান, ক্লাবগুলো যদি জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের নিয়ে চিন্তা করে, তবে জাতীয় দলের ব্যস্ত সূচির কারনে পরের বছরও ডিপিএল আয়োজন কঠিন হবে।
তিনি বলেন, ‘জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলা সময়ও আমাদের দেশে ঘরোয়া ক্রিকেট অনুষ্ঠিত হতো। আমরা সব কিছু নিয়ন্ত্রন করতে পারবো না। তারা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেললে, ঘরোয়া আসরে খেলতে পারবে না। এটি খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার।’
তিনি আরও বলেন, ‘যদি ক্লাবগুলো চিন্তা করে, জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের ছাড়া খেলতে পারবে না, তবে সিরিজ শেষ হবার পর লিগ নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে। আগামী বছরটিতে অনেক বেশি ব্যস্ততা থাকবে। আপনি হয়তো সুযোগ নাও পেতে পারেন। আমার মনে হয় না, মার্চ-এপ্রিলে আমাদের কোন ফ্রি সময় আছে।’
মাহমুদ স্পষ্ট জানিয়েছে, কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে অনেক সমস্যার থাকলেও, ডিপিএল অব্যাহত রাখতে সমস্যা নেই।
তিনি বলেন, ‘আপনি দেখুন, ডিপিএলে ১২টি দল রয়েছে। যদি ১৫ জন খেলোয়াড় থাকে তবে প্রতিটি দলে খেলোয়াড়, কোচ, ম্যানেজমেন্টসহ কমপক্ষে ২০ জন হবে। এটি আমাদের জন্য একটি বড় প্রশ্ন হচ্ছে, যেখানে প্রায় ২৪০জন লোকের থাকার জায়গা আছে। আমরা বিকেএসপির কথা বলছি, যেখানে এত মানুষের জায়গা দেয়া যেতে পারে। আমরা এটিই করার চেষ্টাই করছি, যেখানে আমরা জৈব-সুরক্ষা বলয় করতে পারি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যদি সিঙ্গল লীগ করি, আরও ১০ টি ম্যাচ বাকি আছে, কত দিন লাগবে, এটিও ভাবনার বিষয়। সবকিছু সত্যিই অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আর ক্লাবগুলিও সিসিডিএমের সাথে না বসে তারা কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না। তবে আমি যা বলতে পারি তা হচ্ছে বিসিবি ইতিবাচক।’
মাহমুদ জানান, বিসিবি খেলোয়াড়দের আর্থিক বিষয় নিয়েও চিন্তা-ভাবনা করছে। কারণ বেশিরভাগ খেলোয়াড়ের পরিবার ডিপিএল-এর উপর অনেক বেশি নির্ভর করে থাকে।
তিনি বলেন, ‘বিসিবি সভাপতিও এ ব্যাপারে ইতিবাচক, আমরা যদি প্রিমিয়ার লীগ শুরু করতে পারি। তবে এই পরিস্থিতিতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল, ছেলেদের রক্ষা করা। সৃষ্টিকর্তা না করুক, এত মানুষের মধ্যে যদি তা ছড়িয়ে পড়ে, তবে লিগটি পরিচালনা করা কঠিন হবে।’
‘তবে আমরা যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছি, তা ইতিবাচক। আমরা চাই লীগটি শুরু হোক। ডিপিএল অনেক খেলোয়াড়কে আর্থিক নিশ্চয়তা দিয়ে থাকে। কারণ এটির দ্বারা তারা তাদের পরিবার এবং সমস্ত কিছু নির্ভরশীল।’
কোভিড-১৯ পরিস্থিতি আর্থিকভাবে ক্লাবগুলোতে প্রভাব ফেলেছে। তাই ডিপিএলে অংশ নিতে আগ্রহী নন তারা। ক্লাবগুলির জন্য প্রণোদনার ব্যাপারে কথা হয়েছিল।
মাহমুদ জানান, ক্লাবগুলিকে প্রণোদনা দেয়ার মত অবস্থাতে নেই বিসিবি। তবে তাদের জন্য ঋণের ব্যবস্থা করতে পারে বিসিবি।
তিনি বলেন, ‘প্রণোদনা হিসাবে ক্লাবকে অর্থ দিবে না বিসিবি। তবে ক্লাবগুলির জন্য ঋণের ব্যবস্থা করতে পারে বিসিবি। আমি মনে করি না, ক্লাবগুলি খেলোয়াড়দের অর্থ প্রদানে সক্ষম নয়। দেশে এখন সবকিছু চলছে। এখন সকলে কাজ করছে এবং পোশাক শিল্প চলছে। আমি জানি, এটি ক্লাবগুলির পক্ষে কঠিন হবে। তবে এটি এতটা কঠিন হবে না যে, এটি প্রিমিয়ার লিগ এবং তাদের ক্লাবগুলি পরিচালনা করতে সক্ষম হবে না।’
বাসস/এএমটি/১৭৪৮/স্বব