রাজধানীতে জাল টাকা তৈরির কারখানার সন্ধান : ২ নারীসহ গ্রেফতার ৪

288

ঢাকা, ১৯ অক্টোবর, ২০২০ (বাসস) : রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানা এলাকা থেকে জাল টাকা তৈরির একটি কারখানার সন্ধান পেয়েছে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের গুলশান বিভাগ।
সেখানে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ জাল টাকা ও জাল টাকা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় জালটাকার কারবারি চারজনকে গ্রেফতার করা হয়।
তারা হচ্ছে- মো. হুমায়ন কবির খান (৪৫), মো. জামাল (৪২), সুখী আক্তার (৩০) ও তাসলিমা আক্তার (৩০)।
ডিবি গুলশান বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার মহিউদ্দীন আহমেদ জানান, রোববার বিকেলে মোহাম্মদপুরের নূরজাহান রোডের একটি বাড়ির দ্বিতীয় তলায় অভিযান চালায় গোয়েন্দা পুলিশের সংঘবদ্ধ অপরাধ ও গাড়ি চুরি প্রতিরোধ টিম।
এসময় তাদের কাছ থেকে ৪৯ লাখ ৫০ হাজার বাংলাদেশী জাল টাকা উদ্ধার করা হয়। সেই সাথে জাল টাকা তৈরির কাজে ব্যবহৃত ১টি ল্যাপটপ, ২টি প্রিন্টার, ৫টি স্ক্রিন প্রিন্ট দেয়ার ফ্রেম, জাল নোট তৈরির জন্য ২ হাজার ৫শ’ পিস সাদা কাগজ, ৯টি বিভিন্ন রংয়ের কালির কার্টিজ, সিকিউরিটি থ্রেট পেপারের রোল ১টি, প্লাস্টিকের কালির কৌটা ৩টি ও অন্যান্য সামগ্রী উদ্ধার করা হয়।
অভিযানে উদ্ধারকৃত সরঞ্জাম দিয়ে আনুমানিক ৫ কোটি জাল টাকা তৈরি করা সম্ভব।
তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃত হুমায়ন ও জামাল ২০০৮ সালের দিকে দুরুল হুদা নামের এক কারিগরের কাছে জাল টাকা তৈরির কৌশল রপ্ত করে। এরপর নিজেই জাল টাকা তৈরির কারখানা চালু করে। জামাল শুরু থেকেই হুমায়নের তৈরিকৃত জাল টাকার ডিলার হিসেবে কাজ করে আসছে। গ্রেফতারকৃত দু’জন নারী তাদের সহযোগী হিসেবে কাজ করতো।
সহকারী পুলিশ কমিশনার মহিউদ্দীন আহমেদ আরো জানান, এই চক্রের মূলহোতা প্রথমে পাইকারি বিক্রেতার কাছে প্রতি লাখ জাল টাকা বিক্রি করে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। পাইকারি বিক্রেতা খুচরা বিক্রেতার কাছে বিক্রি করে ১৪ থেকে ১৬ হাজার টাকা। প্রথম খুচরা বিক্রেতা দ্বিতীয় খুচরা বিক্রেতার কাছে বিক্রি করে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। মাঠ পর্যায়ে দ্বিতীয় খুচরা বিক্রেতার হাত ধরে সেই টাকার মূল্য হয়ে যায় আসল টাকার সমান। মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয়ের মাধ্যমে এই জাল টাকা বাজারজাত করতো।