প্রধানমন্ত্রীর ঘর পেয়ে খুশিতে কাঁদলেন মতিজান

526

কুুমিল্লা (দক্ষিণ), ১৯ অক্টোবর, ২০২০, (বাসস): ছোট্ট একটি কুঁড়েঘর। বৃষ্টির দিনে ঘরের ফুটো চাল দিয়ে পানি পড়ত। দুই প্রতিবন্ধী মেয়ে নিয়ে সারা রাত নির্ঘুম কাটত হতদরিদ্র মতিজান বেগমের। তবে এখন প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া পাকা বাড়ি পাওয়ায় তেমন দুর্ভোগ আর পোহাতে হবে না মতিজান ও তার পরিবারকে। সোমবার প্রধানমন্ত্রী দেওয়া ঘরের চাবি পেয়ে হাওমাও করে কেঁদে এসব কথা বলেন কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলা হেসাখাল ইউপির পাটোয়ার গ্রামের মৃত আবদুল আলীর স্ত্রী ৭০ বছরের মতিজান বেগম।
তিনি আরো বলেন, ১৪ কিংবা ১৫ বছর বয়সে বাবা বিয়ে দিয়ে দেয়। স্বামী, সংসার কি কিছুই বুঝতাম না। অভাবের সংসার। মানুষের বাড়িতে কাজ করে কোনো মতেই সংসার চলত। তার দুটি মেয়ে রয়েছে। কিন্তু তারও প্রতিবন্ধী। ছোট মেয়ে জন্মের কিছুদিন পরে স্বামী মারা যায়। তারপর থেকে সংসারে নেমে আসে আরো অশান্তি। দেখা দেয় অভাব। মানুষের বাড়িতে কাজ করি। আর তাকিয়ে থাকি কখন একটু সহায়তা পাই। বা কেউ একটু সাহায্য করে। তিনি প্রধানমন্ত্রী দেওয়া ঘর পেয়ে মহাখুশি এখন। আল্লাহ যেন শেখ হাসিনাকে লাখ বছর হায়াত দিক এ দোয়াই করি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার অধীনে দুর্যোগ সহনীয় সেমি পাকা ঘরটি নির্মাণ করা হয়। দুটি কক্ষবিশিষ্টি, একটি রান্না ঘর, একটি ওয়াশরুমসহ বারান্দাও রয়েছে। যার ব্যয় ধরা হয় ২ লাখ ৯৮ হাজার ৮৬০ টাকা। সোমবার সকাল ৯টায় ওই বৃদ্ধা নারীকে ঘরের চাবি হস্তান্তর করেন উপজেলা চেয়ারম্যান সামছু উদ্দিন কালু ও ইউএনও লামইয়া সাইফুল।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পিআইও শামীমা আক্তার, হেসাখাল ইউপির চেয়ারম্যান জালাল আহম্মেদ, মৌকরা ইউপির আ.লীগের সম্পাদক আবু তাহের প্রমুখ।
এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান সামছু উদ্দিন কালু বাসসকে বলেন, বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে সারা দেশে হতদরিদ্রের ঘর দিচ্ছেন। এ সরকার হতদরিদ্র থেকে শুরু করে সব মানুষের উন্নয়নের জন্য কাজ করছেন। যাদের জায়গায় আছে, ঘর নেই, তাদের জন্য ঘরের ব্যবস্থা করছে সরকার। ইউএনও লামইয়া সাইফুল বাসসকে বলেন, উপজেলায় ১৮টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। ২০১৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত পুরো উপজেলায় ৩০০টি ঘর দেওয়া হয়।