বাসস দেশ-২৮ : নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে গণসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে : ডিএমপি কমিশনার

129

বাসস দেশ-২৮
ডিএমপি কমিশনার-মাসিক সভা
নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে গণসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে : ডিএমপি কমিশনার
ঢাকা, ১৮ অক্টোবর, ২০২০ (বাসস) : নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের বিরুদ্ধে গণসচেতনতা সৃষ্টি করতে আরও কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।
তিনি আজ রোববার রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে অনুষ্ঠিত ডিএমপির মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় এ নির্দেশ দেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, থানার প্রতিটি বিটে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে সচেতনতামূলক সমাবেশ করা যেতে পারে। এসব সমাবেশে নারীদের কাছ থেকে তাদের সমস্যা সম্পর্কে জানতে হবে এবং সমস্যা সম্পর্কে করণীয় বিষয়ে তাদের সুপারিশসমূহ বিবেচনায় নিতে হবে।
কিশোর গ্যাং এর ব্যাপারে অপরাধীদের চিহ্নিত করে তাদের অবস্থান, গতিবিধি, ইভটিজিং ও মাদকসেবনের স্থানসমূহ নজরদারীর মধ্যে আনার জন্য বিট অফিসারদের নির্দেশ দেয়া হয়। এক্ষেত্রে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট বিট অফিসারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
ঢাকা মহানগরীর স্থায়ী চেকপোস্টের পাশাপাশি পূর্ণোদ্যমে অস্থায়ী চেকপোস্ট করার নির্দেশ দিয়েছেন কমিশনার।
ফ্লাইওভারগুলোতে উঠা ও নামার জায়গায় উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন সিসি ক্যামেরা বসাতে নির্দেশ দিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, গাড়ি ও মোটরসাইকেল চুরি প্রতিরোধে প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়া যেতে পারে। ক্রাইম ডাটা ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (সিডিএমএস) ও সাসপেক্ট আইডেন্টিফিকেশন এন্ড ভেরিফিকেশন সিস্টেম (এসআইভিএস) এর মত সফটওয়্যার হালনাগাদ করে চোর ও ছিনতাইকারীদের তালিকা প্রস্তুত করে তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। গাড়ি ও মোটরসাইকেল ট্রাকিং সিস্টেমের আওতায় আসলে চুরি অনেকাংশে কমে যাবে।
প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিজ্ঞানসম্মত তদন্ত করতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার।
ব্যক্তিগত দায় চলে আসে এমন কোন অপেশাদার আচরণ না করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
নারী নির্যাতন ও ছিনতাইয়ের মতো অপরাধসমূহের নিয়ামক মাদক উল্লেখ করে কমিশনার বলেন, শুধুমাত্র অধিক পরিমাণ মাদক উদ্ধার করলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে না। মাদকসেবীদের চিহ্নিত করে তাদের মাদকসেবন থেকে ফিরিয়ে আনতে পারলে মাদকসেবী কমার সাথে সাথে মাদকও কমে যাবে।
জিডি ও মামলা মনিটরিং বিষয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে কমিশনার বলেন, থানায় জিডি ও মামলার ক্ষেত্রে ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্স থেকে সেবা প্রত্যাশীদের ফোন করে পুলিশের সেবার মান সম্পর্কে জানতে চেয়ে শতকরা ৯৫ ভাগের বেশি মানুষ সন্তুষ্ঠি প্রকাশ করেছেন। এটা একটি ভালো দিক। এটাকে ধরে রেখে আরও ভালো সেবা নিশ্চিত করতে হবে।
চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশসহ ঢাকা শহরের রাস্তায় কোন ধরণের ব্যাটারি চালিত রিক্সা চলবে না বলে জানান ডিএমপি কমিশনার।
সেপ্টেম্বর মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় শ্রেষ্ঠ অপরাধ বিভাগ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে গুলশান বিভাগ, শ্রেষ্ঠ গোয়েন্দা বিভাগ নির্বাচিত হয়েছে গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগ ও শ্রেষ্ঠ ট্রাফিক বিভাগ হিসেব নির্বাচিত হয়েছে ট্রাফিক লালবাগ বিভাগ। এছাড়াও ঢাকা মহানগরীর আইন শৃঙ্খলা রক্ষা ও ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে বিভিন্ন পদমর্যাদার ৮৭ জনকে পুরস্কৃত করেন ডিএমপি কমিশনার।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত ও
যুগ্ম পুলিশ কমিশনারবৃন্দ এবং উপ-পুলিশ কমিশনারবৃন্দসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
বাসস/সবি/এফএইচ/১৯৩৭/কেকে