বাসস প্রধানমন্ত্রী-২ (দ্বিতীয় ও শেষ কিস্তি) : আগামী দিনে বাংলাদেশে কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধে প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় আশাবাদ

211

বাসস প্রধানমন্ত্রী-২ (দ্বিতীয় ও শেষ কিস্তি)
শেখ হাসিনা-ক্রিটিক্যাল কেয়ার
আগামী দিনে বাংলাদেশে কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধে প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় আশাবাদ

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কারণ, এই চিকিৎসকরা রোগীকে অচেতন করা, নিবিড় পরিচর্যার ওষুধপত্র, গুরুতর জরুরি ওষুধ এবং ব্যথার ওষুধ প্রদানে নিযুক্ত থাকেন। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়।
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা যথাযথভাবেই তাঁদের অবদানকে স্বীকৃতি দেই। আমি গুরুতর অসুস্থ রোগীদের চিকিৎসা প্রদানের জন্য নিজেদেরকে যুগোপযোগী এবং কারিগরি জ্ঞানে সমৃদ্ধ করে তুলতে তাদের প্রতি আহবান চাই।’
শেখ হাসিনা বলেন, দেশের অ্যানেসথেসিওলজিষ্টরা এই মহামারী চলাকালিন নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে এবং এর বাইরেও কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের ব্যবস্থাপনায় চমৎকার কাজ করে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সোসাইটি অব অ্যানেসথেসিওলজিষ্ট সরকারকে কোভিড-১৯ রোগীদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র ব্যবস্থানার ক্ষেত্রে গাইডলাইন প্রস্তুতিতে সহায়তা করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএসএ সারাদেশে নতুন নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের ব্যবস্থা করেছে এবং আইসিইউ চিকিৎসক ও কর্মীদের কোভিড-১৯ রোগীদের ব্যবস্থাপনায় প্রশিক্ষণ দিয়েছে। তিনি বলেন, কিছু অ্যানেসথেসিওলজিষ্টসহ বেশ কিছু চিকিৎসক কোভিড-১৯ চলাকালিন কর্তব্য পালন করতে গিয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি তাঁদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার দেশের স্বাস্থ্য সেবার মানোন্নয়নে সর্বাধিক গুরুত্বারোপ করেছে। কারণ সরকার সত্যিকার অর্থেই বিশ^াস করে যে, স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তিটা জনগণের মৌলিক অধিকার।
তিনি বলেন, ‘আমরা দেশের সরকারি হাসপাতালগুলোতে অতিরিক্ত শয্যা স্থাপন এবং চিকিৎসক ও অন্যান্য কর্মীর সংখ্যা বৃদ্ধির মাধ্যমে চিকিৎসা সেবার পরিধি বাড়িয়েছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার বিগত কয়েক বছরে দেশে বেশ কিছু নতুন বিশেষায়িত হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেছে। অন্যদিকে বেসরকারি উদ্যেক্তারা এ খাতে বড় ধরণের উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে এসেছে।
তাঁর সরকারের প্রতিষ্ঠিত প্রায় ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক এবং ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র দেশের গ্রামীণ জনগণের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এসব কেন্দ্র থেকে রোগীরা ৩০ প্রকারের ওষুধ বিনামূল্যে পাচ্ছে।’
প্রধানমন্ত্রী ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন অব সোসাইটি অব অ্যানেসথেসিওলজিষ্টস (ডব্লিউএফএসএ) এর বর্তমান ও এবং সাবেক কর্মকর্তাসহ দেশের ও বিদেশের চিকিৎসকদের এ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ‘আমি আশা করি আপনারা সকলে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে লাভবান হবেন।’
বাসস/এসএইচ/অনু-এফএন/২১১৬/-শআ