বাসস ক্রীড়া-২০ : মাহাদির ব্যাটিং ও বোলারদের নৈপুন্যে প্রথম জয় তামিম একাদশের

303

বাসস ক্রীড়া-২০
ক্রিকেট-বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপ
মাহাদির ব্যাটিং ও বোলারদের নৈপুন্যে প্রথম জয় তামিম একাদশের
ঢাকা, ১৫ অক্টোবর ২০২০ (বাসস) : মাহাদির হাসানের ব্যাটিং ও বোলারদের নৈপুন্যে বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপে প্রথম জয়ের স্বাদ পেলো তামিম একাদশ। আজ নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে তামিম একাদশ ৪২ রানে হারিয়েছে নাজমুল একাদশকে। টুর্নামেন্টে তিন দলেরই দু’ম্যাচ শেষে একটি করে জয়। টুর্নামেন্টের আরেক দল মাহমুদুুল্লাহ একাদশ।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে বোলিংএর সিদ্বান্ত নেন নাজমুল একাদশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ব্যাট হাতে নেমে ভালো শুরু করতে পারেনি তামিম একাদশের দুই ওপেনার অধিনায়ক তামিম ইকবাল ও তানজীদ হাসান তামিম। দলীয় ১৪ রানে তানজীদকে বিদায় করেন নাজমুল একাদশের পেসার আল আমিন হোসেন। ২টি চারে ৫ বলে ৮ রান করেন তানজীদ।
এরপর বড় জুটি গড়ার চেষ্টা করেন তামিম ও এনামুল হক বিজয়। কিন্তু ৩০ রানের বেশি জুটিতে যোগ করতে পারেননি তারা। ১২ রান করা বিজয়কে শিকার করে জুটি ভাঙ্গেন পেসার তাসকিন আহমেদ।
চার নম্বরে নামা মোহাম্মদ মিঠুনও ব্যর্থ হয়েছেন। ৪ রান করেন। মিঠুনের বিদায়ের কিছুক্ষণ পর থামতে হয় অধিনায়ক তামিমকে। মিঠুনকে আউট করা নাইম হাসান বিদায় দেন তামিমকে। ৪৫ বলে ৩৩ রান করেন তামিম। ফলে ৬৫ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে তামিম একাদশ।
এ অবস্থা থেকে দলকে লড়াইয়ে ফেরানোর চেষ্টা করেন দুই মিডল-অর্ডার ব্যাটসম্যান শাহাদাত হোসেন দিপু ও মোসাদ্দেক হোসেন। এই জুটি বড় স্কোর করার আভাস দিয়েছিলেন। কিন্তু বেশি দূর যেতে পারেননি। রিসাদ আহমেদ জুটি ভাঙ্গেন। ৪০ রান যোগ করেন দিপু ও মোসাদ্দেক।
দু’জনকেই শিকার করেন রিসাদ। দিপু ৩১ ও মোসাদ্দেক ১২ রান করেন। তাদের পর দ্রুত প্যাভিলিয়নে ফিরেন অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অধিনায়ক আকবর আলী ও মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। ১২৫ রানে অষ্টম উইকেট হারায় তামিম একাদশ। ফলে দ্রুত গুটিয়ে যাবার শংকায় পড়ে তামিম একাদশ।
কিন্তু সেটি হতে দেননি লোয়ার-অর্ডার ব্যাটসম্যান মাহাদি। তাইজুল ইসলামকে নিয়ে নবম উইকেটে ৯৫ রানের জুটি গড়েন নয় নম্বরে নামা মাহাদি। টি-টুয়েন্টি মেজাজে ব্যাট করেন মাহাদি। মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধর বলে আউট হবার আগে ৫৭ বলে ৮২ রান করেন মাহাদি। তার গুরুত্বপূর্ণ ইনিংসে ৯টি চার ও ৩টি ছক্কা ছিলো। ৪৩ বলে ২০ রানে অপরাজিত থাকেন তাইজুল। তাই মাহাদির ব্যাটিং দৃঢ়তায় পুরো ৫০ ওভার খেলে ৯ উইকেটে ২২১ রান করে তামিম একাদশ।
নাজমুল একাদশের আল-আমিন হোসেন ৪৩ রানে ৩ ও নাইম হাসান-রিসাদ আহমেদ ২টি করে উইকেট নেন।
মাহাদির দুর্দান্ত ব্যাটিংএ লড়াই করার পুঁিজ পেয়ে আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠে তামিম একাদশের বোলাররা। কতটা আত্মবিশ্বাসী তা দেখা গেল, নাজমুল একাদশের ইনিংস শুরু হতেই।
৭৪ রানের মধ্যে নাজমুল একাদশের পাঁচ ব্যাটসম্যানকে ফেরান তামিম একাদশের তিন পেসার মুস্তাফিজুর রহমান, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন ও শরিফুল ইসলাম। সাইফ হাসানকে ৭ ও অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ১ রানে বিদায় করেন ফিজ। ৯ রান করা সৌম্য সরকারকে আউট করেন সাইফুদ্দিন। আফিফ হোসেন ধ্রুবকে ১৫ ও তৌহিদ হৃদয়কে ৪ রানে আউট করেন শরিফুল। ফলে ৭৪ রানে ৫ উইকেট হারায় নাজমুল একাদশ।
সতীর্থ যাওয়ার আসার মাঝে এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন মুশফিকুর রহিম। ষষ্ঠ উইকেটে ইরফান শুক্কুরের সাথে ৫৯ রান যোগ করেন তিনি। শুক্কুরকে শিকার করে দলকে ব্রেক থ্রু এনে দেন শরিফুল। এরপর আরও দু’উইকেট তুলে নিয়ে দলকে জয়ে পথে রাখেন তিনি। তবে নাজমুল একাদশের ভরসা হয়ে টিকে ছিলেন মুশফিক।
শেষ পর্যন্ত সেঞ্চুরি তুলে নেন মুশফিক। তবে ১০৩ রানে মুশফিককে শিকার করেন মুস্তাফিজুর। ১০৯ বলে ৯টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন মুশফিক। এরপর ১৭৯ রানে অলআউট হয় নাজমুল একাদশ। তামিম একাদশের শরিফুল ৪টি ও মুস্তাফিজ ৩টি উইকেট নেন।
তামিম একাদশ : ২২১/৯, ৫০ ওভার (মাহাদি ৮২, তামিম ৩৩, দিপু ৩১, আল-আমিন হোসেন ৩/৪৩)।
নাজমুল একাদশ : ১৭৯/১০, ৪৫.৪ ওভার (মুশফিক ১০৩, শুক্কুর ২৪, শরিফুল ৪/৩৭)।
ফল : তামিম একাদশ ৪২ রানে জয়ী।
বাসস/এএমটি/২২৫৫/স্বব