বাসস রাষ্ট্রপতি-১ : খাদ্য নিরাপত্তা টেকসই করতে সংশ্লিষ্টদের জোরালো ভূমিকা রাখার আহবান রাষ্ট্রপতির

135

বাসস রাষ্ট্রপতি-১
রাষ্ট্রপতি-খাদ্য দিবস
খাদ্য নিরাপত্তা টেকসই করতে সংশ্লিষ্টদের জোরালো ভূমিকা রাখার আহবান রাষ্ট্রপতির
ঢাকা, ১৫ অক্টোবর, ২০২০ (বাসস) : রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ আগামীর খাদ্য নিরাপত্তা টেকসই করতে লাগসই প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণে সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানী, সম্প্রসারণর্কমীসহ সংশ্লিষ্টদের জোরালো ভূমিকা রাখার আহবান জানিয়েছেন।
বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষ্যে আজ এক বাণীতে তিনি এ আহবান জানান।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব খাদ্য দিবস ২০২০’ উদযাপনের উদ্যোগকে রাষ্ট্রপতি স্বাগত জানান। এ উপলক্ষ্যে মানুষের মৌলিক চাহিদার প্রধানতম অনুষঙ্গ খাদ্য উৎপাদনের সাথে জড়িত সকল পর্যায়ের উৎপাদক, সরবরাহকারী, বিপননকারীসহ সংশ্লিষ্টদের তিনি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
তিনি বলেন, আবহমানকাল থেকেই কৃষি দেশের উন্নয়নের গুরুত্বর্পূণ নিয়ামক হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। কৃষি জনগণের খাদ্য ও পুষ্টির নিশ্চয়তা প্রদান ছাড়াও র্কমসংস্থান ও আয়ের সুযোগ সৃষ্টিসহ বিভিন্ন ভোগ্যপণ্যের কাঁচামাল সরবরাহ করে। সামগ্রিক অর্থে দারিদ্র্য হ্রাসকরণ ও র্অথনৈতিক উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় কৃষির গুরুত্ব অপরিসীম।
রাষ্ট্রপতি বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ উপলব্ধি থেকেই মহান স্বাধীনতা লাভের পর পরই যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুর্নগঠনে কৃষিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে যুগান্তকারী সব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। জাতির পিতার প্রর্দশিত পথেই বর্তমান সরকার ধারাবাহিকভাবে কৃষি উন্নয়নে বাস্তবমুখী বিভিন্ন পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করছে। এর ফলে কৃষিতে দৃষ্টান্তমূলক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। ফসলের পাশাপাশি প্রাণিজ আমিষ খাতেও ব্যাপক সাফল্য অর্জিত হয়েছে।
তিনি বলেন, এ বছর একটি ভিন্ন রকম পরিস্থিতিতে ‘বিশ্ব খাদ্য দিবস’ উদযাপিত হচ্ছে। বিশ্ব খাদ্য দিবসের এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘সবাইকে নিয়ে একসাথে বিকশিত হোন, শরীরের যতœ নিন, সুস্থ থাকুন। আমাদের কর্মই আমাদের ভবিষ্যত ’-যা র্বতমান প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত যৌক্তিক ও অর্থবহ।
রাষ্ট্রপতি বলেন, কোভিড-১৯ মহামারিতে বিশ্বব্যাপী সামাজিক ও অর্থনৈতিক সংকট তৈরি হয়েছে। শুরু থেকেই বর্তমান সরকারের কার্যকর পদক্ষেপের ফলে এই মহামারিতেও উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রয়েছে। দুর্যোগকালেও কৃষির সাফল্য এ ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বর্পূণ অবদান রেখে চলেছে। তবে করোনা-উত্তর বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে সম্ভাব্য খাদ্য সংকট মোকাবিলায় সবাইকে আরো সচেষ্ট হতে হবে। আবাদযোগ্য প্রতি ইঞ্চি জমিতে উন্নত প্রযুক্তি অনুসরণ করে মৌসুম ভিত্তিক বিভিন্ন ফসলের আবাদ নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বলেন, খাদ্যাভ্যাসেও পরির্বতন আনা জরুরি। জাঙ্কফুড পরিহার করে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় পরিমিত পরিমাণে মৌসুমি ফলমূল, শাকসবজি, মাছ, মাংস, দুধ, ডিম খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। সেজন্য খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি জনসচেতনতাও বাড়ানো জরুরি।
তিনি বলেন, ‘মনে রাখতে হবে সুষম খাদ্য গ্রহণের সাথে কায়িক পরিশ্রম আমাদের দেহ-মনকে সুস্থ রাখবে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি করবে।’
আবদুল হামিদ বলেন, আগামীর খাদ্য নিরাপত্তাকে টেকসই করতে লাগসই প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণে সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানী, সম্প্রসারণর্কমীসহ সংশ্লিষ্টরা আরও মনোনিবেশ করবেন এ বিশ্বাস তাঁর রয়েছে। শুধু সরকারি পর্যায়েই নয় বেসরকারি পর্যায়েও অধিক বিনিয়োগ ও অংশীদারিত্ব প্রয়োজন। গ্রামপ্রধান বাংলাদেশে নজর দিতে হবে গ্রামে। একইসাথে কৃষকরা যাতে উৎপাদিত শস্যের ন্যায্যমূল্য পায় তা নিশ্চিত করতে হবে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিণত হোক-এ প্রত্যাশা করি।’
বাসস/তবি/এমআর/১৮৫৫/-শআ