বাসস প্রধানমন্ত্রী-১ (১ম কিস্তি) : ধর্ষণের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণে প্রশাসনের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ

150

বাসস প্রধানমন্ত্রী-১ (১ম কিস্তি)
শেখ হাসিনা- বিপিএটিসি ভাষণ
ধর্ষণের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণে প্রশাসনের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ
ঢাকা, ১৫ অক্টোবর, ২০২০ (বাসস) : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ধর্ষণ প্রতিরোধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণসহ এ সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য প্রশাসনের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনা (ধর্ষণ) রোধ করার ব্যাপক ব্যবস্থা আমাদের নিতে হবে। আর সব থেকে বড় কথা মানুষের মাঝেও জনসচেতনতা সৃষ্টি করা দরকার।’
সমসাময়িক কালে সামাজিক এই ব্যাধির প্রকোপ বেড়ে যাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ইদানিং ধর্ষণটা ব্যাপকভাবে হচ্ছে এবং প্রচারও হচ্ছে। এটার যত বেশি প্রচার হয় প্রাদুর্ভাবটাও তত বাড়ে।’
শেখ হাসিনা আজ বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের (বিপিএটিসি) ৭০ তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের সমাপনী এবং সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন।
সরকার ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদন্ডের বিধান সংযুক্ত করে অধ্যাদেশ জারি করেছে বলেও প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন।
তাঁর সরকার ‘২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চায় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী প্রশাসনের নবীন কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আজকের যারা প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত হলেন আপনারাই থাকবেন আগামী দিনের কর্নধার। আপনারাই দেশটাকে পরিচালনা করে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। আজকের যাঁরা নতুন প্রজন্ম তারাই ’৪১ এর উন্নত বাংলাদেশ গড়ার সৈনিক।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা চাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ^াসী হয়েই আমাদের কর্মকর্তা, কর্মচারিরা দেশ এবং জনগণের সেবা করবে, সেটাই আমার লক্ষ্য।’
তিনি বলেন, ‘দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে আপনাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করুন।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সকালে গণভবন থেকে সাভারস্থ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মূল অনুষ্ঠান স্থলসহ দেশের ৭টি বিভাগের বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সংযুক্ত হন।
প্রধানমন্ত্রী ’৭৫ পরবর্তী সময়ে দেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি চলতে থাকার উল্লেখ করে বলেন, ‘আমরা চাই কোন ধরনের অন্যায়-অবিচার যেন না হয়। মানুষ যাতে ন্যায় বিচার পায়।’
তিনি বলেন, ‘মানুষের ন্যায় বিচার পাওয়ার অধিকার রয়েছে। কারণ, আমি জানি যে, বিচার না পেলে কি কষ্ট। আমার বাবা-মা, ভাই, ভাতৃবধু-তাঁদেরকে যখন হত্যা করা হয়, খুনীদেরকে ইনডেমনিটি দেওয়া হয়েছিল। আমার বিচার চাওয়ার কোন অধিকার ছিল না। আমি কেন ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট যাঁরা নিহত হয়েছিলেন তাঁদের পরিবারের কারোরই বিচার চাওয়ার কোন অধিকার ছিল না।’
তিনি বাষ্পরুদ্ধ কন্ঠে বলেন, ‘আমার বাবা-মা, ভাই মারা গেছে আমি একটা মামলাও করতে পারিনি। আমার সেই অধিকারটাও ছিল না। এই সংস্কৃতি বাংলাদেশে যেন আর না থাকে।
তাঁর সরকার ক্ষতায় আসতে পেরেছিল বলেই জাতির পিতার খুনী এবং দেশের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা সম্ভব হয়েছে উল্লেখ করেন তিনি।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব শেখ ইউসুফ হারুন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন।
বিপিএটিসি’র রেক্টর মো. রাকিব হোসেন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর হাতে ৭০ তম বুনিয়াদি কোর্সের ফলাফল হস্তান্তর করেন এবং প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে অনুষ্ঠানে সনদ বিতরণ করেন।
এবারের ৬ মাস ব্যাপী কোর্সটির শেষ একমাস করোনার কারণে অনলাইনে সমাপ্ত করা হয়। যেখানে ১৬১ জন নারীসহ ৬৬৩ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশগ্রহণ করেন। এরমধ্যে ৫০ জন পুরুষ এবং ১৮ জন নারী সেন্টার অব এক্সিলেন্স সনদ প্রাপ্ত হন।
অনুষ্ঠানে সনদ প্রাপ্ত কর্মকর্তাদের পক্ষে মেহেদী হাসান কাওসার এবং মুনিয়া সিরাত নিজ নিজ অনুভূতি ব্যক্ত করে বক্তৃতা করেন।
চলবে-বাসস/এএসজি-এফএন/এএইচজে/১৪৫৫/-আরজি