দেশীয় প্রজাতির উদ্ভিদ রক্ষায় বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে সরকার : পরিবেশ মন্ত্রী

388

ঢাকা, ১৪ অক্টোবর, ২০২০ (বাসস) : সরকার দেশীয় প্রজাতির উদ্ভিদ রক্ষায় বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন এমপি।
তিনি আজ রাজধানীর বন অধিদপ্তরে আয়োজিত ‘ বাংলাদেশের উদ্ভিদ প্রজাতির জাতীয় রেড লিস্ট প্রণয়ন এবং নির্বাচিত সংরক্ষিত বনাঞ্চলের বিদেশী আগ্রাসী উদ্ভিদ ব্যবস্থাপনার উদ্ভাবন ’ শীর্ষক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা জানান।
বন অধিদপ্তর, বাংলাদেশ ন্যাশনাল হারবেরিয়াম ও আইইউসিএন বাংলাদেশ যৌথভাবে এই কর্মশালার আয়োজন করে।
শাহাব উদ্দিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার বন, বনভূমি ও বন্যাপ্রাণী রক্ষায় বদ্ধপরিকর। তারই অংশ হিসেবে সরকার দেশের বিলুপ্তির সম্মুখীন উদ্ভিদ প্রজাতির রেড লিস্ট প্রস্তুত এবং আগ্রাসী বিদেশী গাছের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে দেশজ উদ্ভিদ প্রজাতি তথা বনজসম্পদ রক্ষার কৌশলগত ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি উদ্ভাবনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
তিনি বলেন, এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে আমাদের এসডিজি বা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যাপকভাবে সহায়তা করবে।
প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার এমপি, মন্ত্রণালয়ের সচিব জিয়াউল হাসান, অতিরিক্ত সচিব আহমদ শামীম আল রাজী, বাংলাদেশ ন্যাশনাল হারবেরিয়ামের পরিচালক পরিমল সিংহ, সুফল প্রকল্পের পরিচালক মো. রকিবুল হাসান মুকুল ও আইইউসিএন বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ রাকিবুল আমিন।
বনমন্ত্রী বলেন, বন অধিদপ্তরের টেকসই বন ও জীবিকা (সুফল) প্রকল্পের আর্থিক সহায়তায় ন্যাশনাল হারবেরিয়াম ও আইইউসিএন বাংলাদেশের উদ্যোগে নেয়া প্রকল্পের মাধ্যমে দেশে এক হাজার উদ্ভিদ প্রজাতির রেড লিস্ট প্রণয়ন সম্পূর্ণ হলে উদ্ভিদ ও বন সংরক্ষণে আমরা একটি বড় ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবো।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আমরা প্রায় ৪০টির বেশি জাতীয় উদ্যান ও অভয়ারণ্য ঘোষণা করেছি, যা বন ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বনায়ন সম্প্রসারণে বেসরকারী ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে রোপন করা বিদেশী উদ্ভিদ প্রজাতির একটি বড় অংশ দেশীয় উদ্ভিদের অস্তিত্বের জন্য বিপদজনক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
পরিবেশ মন্ত্রী বলেন, এই প্রকল্পের একটি বড় কাজ হলো বিদেশী প্রজাতির উদ্ভিদ চিহ্নিত করা ও আগ্রাসী উদ্ভিদ সঠিক ব্যবস্থাপনার জন্য ৫টি ম্যানেজমেন্ট প্যান প্রণয়ন করা।
কর্মশালার ২য় পর্বে ‘ বাংলাদেশের উদ্ভিদ প্রজাতির জাতীয় রেড লিস্ট প্রণয়ন ’ এবং ‘ বিদেশী আগ্রাসী উদ্ভিদ ব্যবস্থাপনা কৌশলপত্র প্রণয়ন ’ শীর্ষক দু’টি কর্ম অধিবেশনে বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিরা অংশ গ্রহণ করেন।