বাজিস-৭ : মেঘনা ও তেঁতুলিয়ায় ইলিশ শিকারে ২২ দিনব্যাপী নিষেধাজ্ঞা শুরু

113

বাজিস-৭
ভোলা-ইলিশ-নিষেধাজ্ঞা
মেঘনা ও তেঁতুলিয়ায় ইলিশ শিকারে ২২ দিনব্যাপী নিষেধাজ্ঞা শুরু
ভোলা, ১৪ অক্টোবর, ২০২০ (বাসস) : জেলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে আজ থেকে শুরু হয়েছে ২২দিনব্যাপী ইলিশসহ সব ধরনের মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা। মঙ্গলবার রাত ১২ টা ১ মিনিট থেকে মা ইলিশ সংরক্ষণে বিশেষ এ অভিযান শুরু হয়। ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসম নির্বিঘœ করার জন্য ১৪ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত ইলিশ শিকার, পরিবহন, বিক্রি, প্রদর্শন ও মজুদ নিষিদ্ধ করেছে সরকার। আইন অমান্য করলে কমপক্ষে ১ বছর হতে সর্বোচ্চ ২ বছরের সশ্রম কারান্ড অথবা ৫ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবে।
এদিকে আজ সকাল ১১ টায় জেলা সদরের তুলাতুলী মাছঘাট এলাকা থেকে জেলা প্রশাসক মো: মাসুদ আলম ছিদ্দিক আনুষ্ঠানিকভাবে মা ইলিশ রক্ষায় অভিযান উদ্বোধন করেন। এছাড়া বিশেষ অভিযান সফল করতে জেলার ১ লাখ ২০ হাজার জেলে পরিবারের জন্য ২০ কেজি করে চাল বিতরণ শুরু হয়েছে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম আজাহারুল ইসলাম বাসস’কে বলেন, আজ সকাল থেকেই প্রত্যেক উপজেলায় স্থানীয় প্রশাসন ও মৎস্য অফিসের উদ্যেগে নদ-নদীতে বিশেষ অভিযান চলছে। প্রতি উপজেলাতে ২ জন নির্বাহী মেজিস্ট্রেট কাজ করছে। পাশাপশি র‌্যাব, পুলিশ, কোষ্টগার্ড, আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করছে অভিযান সফল করতে।
তিনি আরো বলেন, নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে জেলার বরফকলগুলো বন্ধ রাখার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। লঞ্চ ও অন্যান্য গণ পরিবহনে যাতে এ সময়ে ইলিশ বহন না হয় সে লক্ষ্যে মালিকদের চিঠি দেয়া হয়েছে। এছাড়া মাছ ধরা থেকে জেলেদের বিরত রাখার জন্য বিভিন্ন মাছঘাট ও জেলে পল্লীগুলোতে সচেতনতামূলক সভা করার পাশাপাশি ব্যানার, পোষ্টার, লিফলেট, মাইকিংসহ নানান প্রচার প্রচারণা চালানো হয়েছে।
অন্যদিকে অভিযানের প্রথম দিন মেঘনা ও তেতুঁলিয়া নদী মাছ ধরার নৌকা শুণ্য অবস্থায় দেখা গেছে। আইন মান্য করে জেলেরা নৌকাসহ মাছ ধরার সরজ্ঞাম তীরে উঠিয়ে নিয়েছে গতকালই। জেলেপল্লীগুলোতে দেখা গেছে নৌকা, জালসহ মাছ ধরার অন্যন্য সরজ্ঞাম মেরামতে সময় পার করছেন তারা। আবার কয়েকজন মিলে মেতেছেন আড্ডা ও গল্পে। জেলেরা বলছেন, সরকারের এ কার্যক্রমকে তারা সাধুবাদ জানান। কারণ এর ফলে গত কয়েক বছর ধরে নদীতে ব্যাপক ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে।
সদরের শীবপুর ইউনিয়নের ভোলার খাল এলাকার জেলে আরশাদ আলী ও ফয়েজ মিয়া বলেন, এ ২২ দিন আমরা সম্পূর্ণ বেকার অবস্থায় থাকি। সরকার যে পরিমাণ চাল আমাদের জন্য বরাদ্দ দেয় তা দিয়ে চলতে খুব কষ্ট হয়। তাই এ সময়ে চালের পাশাপাশি কিছু নগদ অর্থ প্রদানের দাবি জানান তারা।
বাসস/এইচ এ এম/১২২০/নূসী