বাসস দেশ-২৫ : আজিমপুর কবরস্থানে রশীদ হায়দারের দাফন সম্পন্ন

99

বাসস দেশ-২৫
রশীদ হায়দার-দাফন
আজিমপুর কবরস্থানে রশীদ হায়দারের দাফন সম্পন্ন
ঢাকা, ১৩ অক্টোবর, ২০২০ (বাসস) : একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রখ্যাত লেখক, মুক্তিযুদ্ধ গবেষক ও বাংলা একাডেমির সাবেক পরিচালক রশীদ হায়দারের দাফন আজিমপুর কবরস্থানে সম্পন্ন হয়েছে।
মরহুমের নামাজে জানাজা বাদ যোহর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়। এতে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. শামসুজ্জামান খান, একাডেমির কার্যনির্বাহী কমিটির
সদস্যবৃন্দ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর গোলাম রব্বানী, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল মনসুর আহমেদ ও অধ্যাপক মফিজুর রহমানসহ পরিবার-পরিজন ও গুণগ্রাহীরা অংশগ্রহণ করেন। জানাজা নামাজ শেষে তার মরদেহ দাফনের জন্য আজিমপুর কবরস্থানে নিয়ে যাওয়া হয়।
এর আগে দুপুর একটার দিকে রশীদ হায়দারের মরদেহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে নিয়ে আসা হয়। পরে যোহরের নামায শেষে মরহুমের জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মৃতের প্রতি শ্রদ্ধা জানান বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক ড. শামসুজ্জামান খান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুলার রোডের বাসভবনে আজ সকাল ১০টার দিকে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। রশীদ হায়দারের মেয়ে শায়ন্তী হায়দার বাসসকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তার বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর। তিনি বেশ কিছুদিন ধরে বার্ধক্যজনিত জটিলতায় ভুগছিলেন।
রশীদ হায়দার দুই মেয়ে হেমা (হেমন্তী হায়দার) ও ক্ষমা (শায়ন্তী হায়দার) সহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। তার স্ত্রী আনিসা আখতার (ঝরা) ২০১৯ সালে মৃত্যুবরণ করেন।
রশীদ হায়দারের মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এবং বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ।
রশীদ হায়দার গল্প-উপন্যাস-নাটক-অনুবাদ-নিবন্ধ-স্মৃতিকথা ও সম্পাদনা সব মিলিয়ে ৭০ এর অধিক বই রচনা করেছেন। তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৮৪), একুশে পদক (২০১৪), হুমায়ুন কাদির পুরস্কার, অগ্রণী ব্যাংকসহ বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।
১৯৪১ সালের ১৫ জুলাই পাবনার দোহাপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন রশীদ হায়দার। পরিচিতি রশীদ হায়দার নামে হলেও তার পুরো নাম শেখ ফয়সাল আবদুর রশীদ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দীন হায়দার। ডাক নাম দুলাল।
১৯৫৯ সালে গোপালগঞ্জ ইনস্টিটিউশন থেকে মাধ্যমিক, ১৯৬১ সালে পাবনা এডওয়ার্ড কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক এবং ১৯৬৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন তিনি।
বড় ভাই জিয়া হায়দারের উৎসাহে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবস্থায় তিনি কাজ শুরু করেন চিত্রালী পত্রিকাতে। ১৯৬৪ সালে পাকিস্তান রাইটার্স গিল্ডের মুখপাত্র পরিক্রম পত্রিকার সহকারী সম্পাদক হিসেবে কাজ শুরু করেন। ১৯৭২ সালে তিনি বাংলা একাডেমিতে চাকরি শুরু করেন এবং ১৯৯৯ সালে বাংলা একাডেমির পরিচালকের পদ থেকে অবসর নেন। পরে নজরুল ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ছিলেন।
বাসস/এমএসএইচ/১৯২৩/এএএ