কুমিল্লায় জমজমাট মাছ ধরার চাইয়ের হাট

596

কুুমিল্লা (দক্ষিণ), ১৩ অক্টোবর, ২০২০ (বাসস) : জেলায় জমে উঠেছে মাছ ধরার ফাঁদ চাইয়ের হাট। খাল বিল ও নদী প্রধান এ জেলার অন্তত ২৫টি হাটবাজরে বিক্রি হচ্ছে মাছ ধরার ফাঁদ চাই। জেলার চান্দিনা, তিতাস, মুরাদনগর, মেঘনা উপজেলার হাটসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলেও বসেছে চাইয়ের হাট। সপ্তাহে দুই দিন করে হাট বসে। বর্ষায় পানি নামার সঙ্গে সঙ্গে নিম্নাঞ্চলে পানির মধ্যে এ যন্ত্রটি রেখে দেওয়া হয়। চলাচলের সময় ছোট ছোট মাছগুলো বাঁশের তৈরি এ ফাঁদের ভিতরে আটকা পড়ে। এটি গ্রামাঞ্চলের মাছ ধরার খুব জনপ্রিয় একটি মাধ্যম। এ সময়ে জেলার সব জায়গায় মাছও পাওয়া যাচ্ছে
কুমিল্লার মাধাইয়া ও দোল্লাই নবাবপুর হাটে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিটি চাই আকার ভেদে ৩০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। দোল্লাই নবাবপুর বাজারের চাই ব্যবসায়ী আনু মিয়া বাসসকে বলেন, এ মৌসুমে প্রতি হাটে ৬০-৭০ টি চাই বিক্রি করি। বহু দূর-দূরান্ত এলাকা থেকে আমার কাছে এসে চাই কিনে নিয়ে যায়। বর্ষার শেষ দিকে এসে আমাদের এলাকায় চাই বিক্রি বেড়ে যায়। কারণ এ সময়ে ছোট ছোট মাছগুলো পানি কমার সাথে সাথে নিন্মঞ্চলে থেকে পানি নামতে শুরু করলে ওই সময় চাই গুলো জমির আইলে বিশেষ কাদায় পুঁতে রাখলে চাইয়ে মাছগুলো আটকে পড়ে। মহিচাইল গ্রাম থেকে চাই কিনতে মাধাইয়া হাটে আসা নুরু মিয়া বাসসকে বলেন, এ মৌসুমে প্রতিদিন ২ থেকে ৩ কেজি মাছ ধরতাম, তা বিক্রি করতাম ৩ থেকে ৪ শত টাকা। আমি প্রতি মৌসুমে পানি কমার সময় ৫ থেকে ৬টি চাই কিনে নিয়ে যাই। এগুলো দিয়ে যে মাছ পাওয়া যায়, তা নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে বাকি মাছ স্থানীয় হাট বাজারে বিক্রি করি। দেশীয় পদ্ধতিতে এ সময়ে মাছ ধরায় মেতে উঠে ছোট-বড় সব বয়সের মানুষ। বিশেষ করে গ্রাম অঞ্চলে ছোট মাছ ধরার ধুম পড়ে।