বাজিস-৪ : সৈয়দপুরে সড়কের পতিত জায়গায় শাক-সবজী ফলিয়ে লাভবান কৃষক

111

বাজিস-৪
সৈয়দপুরে সড়কের পতিত জায়গায় শাক-সবজী ফলিয়ে লাভবান কৃষক
নীলফামারী, ১২ অক্টৈাবর, ২০২০ (বাসস) : গ্রামীণ পাকা সড়কের দুই পাশজুড়ে সারি সারি শাক-সবজির মাচা। লতা, পাতা, ফুল আর ফলে ভরা এসব মাচা যেমন সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছে গ্রামের। তেমনি পতিত জায়গায় শাক-সবজি ফলিয়ে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন কৃষক। এমন দৃশ্যটি জেলার সৈয়দপুর উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের পাখাতিপাড়া গ্রামের। পতিত জমি ব্যবহারে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দুইপাশের পতিত জায়গায় শাক-সবজি চাষ করেছেন তারা।
এসব জায়গায় লাগানো হয়েছে মিষ্টি কুমরা, লাউ, সিম, ঝিঙ্গা, চিচিঙ্গা, শষা, বরবটি, সাজিনা, পুইশাকসহ নানা জাতের শাক-সবজী। সারি সারি পাতানো মাচা ভরে আছে সবুজ লতা পাতায়। সেইসাথে কমতি নেই ফুল ও ফলের। কৃষকরা খাওয়ার উপযোগি সবজী সংগ্রহ করে বিক্রি করছেন, নিজেরাও খাচ্ছেন। আবার অনেকে বিলি করছেন আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে।
কৃষকরা জানান, ‘দেশের এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদী না থাকে’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন নির্দেশনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ দপ্তরের সহযোগিতায় গ্রামের সড়কের দুই পাশের পতিত জায়গায় এসব শাক-সবজীর আবাদ করেন তারা। মাত্র তিন মাসের মাথায় শাক-সবজীর সুফল পাচ্ছেন তারা। পাশপাশি এসব পতিত জায়গায় রোপণ করেছেন আম, জাম, লিচুসহ বিভিন্ন ফলের চারা।
গ্রামের কৃষক মো. নজরুল ইসলামের স্ত্রী শাফিয়া বেগম (৪০) জানান, সাম্প্রতিক সময়ের অতি বৃষ্টিতে জমিতে লাগানো অনেক শাক-সবজির ক্ষেত নষ্ট হয়েছে। জমি থেকে সড়ক উঁচু হওয়ায় নষ্ট হয়নি এসব শাক-সবজীর গাছ। অতিবৃষ্টির পর বাজারে এখন শাক-সবজীর চাম চড়া হওয়ায় ভালো দাম পাচ্ছি। পাশপাশি বাজার থেকে শাক-সবজী কিনতে হচ্ছে না আমাদেরকে।
অপর কৃষক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন,“সড়কের দুই পাশের জায়গা পতিত থাকতো। পতিত জায়গা ব্যবহারে প্রধানমন্ত্রীয় নির্দেশনায় উদ্বুদ্ধ হই আমরা। এরপর উপজেলা কৃষি বিভাগের লোকজনের সহযোগিতায় শাক-সবজীসহ গাছপালা লাগাই। এখন আমরা শাক-সবজীর সুফল পেতে শুরু করেছি।
কৃষিবিভাগের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান আশা বলেন, “পতিত জমি ব্যবহারে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার পর আমার কৃষি ব্লকে রাস্তার পাশের পতিত জমিতে শাকসবজি চাষে উদ্ধুদ্ধ করেছি কৃষকদের। আহবানে তারা সাড়া দিয়ে তারা দুই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে রাস্তার দুই পাশে শাক-সবজীসহ বিভিন্ন ফলের গাছ লাগান। বর্তমানে শাস-সবজী থেকে সুফল পেতে শুরু করেছে কৃষক।
সৈয়দপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহিনা বেগম বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন দেশের এক ইঞ্চি জায়গাও যেন অনাবাদী না থাকে। নির্দেশনা বাস্তবায়নে উপজেলায় গ্রামীণ রাস্তার দুই পাশে পতিত জায়গায় সবজি চাষাবাদের জন্য কৃষকদের মাঝে বিভিন্ন রকম শাকসবজি বীজ এবং উন্নতজাতের ফলদ গাছের চারা বিতরণ করা হয়। তারা শাক-সবজী থেকে সুফল পেতে শুরু করেছেন। সেটি দেখে অন্যরা উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন।”
বাসস/সংবাদদাতা/১২৪৫/নূসী