বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের মোকাবিলায় ন্যাম সদস্যদের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

276

ঢাকা, ৯ অক্টোবর, ২০২০ (বাসস) : পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন চলমান কোভিড-১৯ মহামারীসহ সমসাময়িক বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন (ন্যাম)-এর সদস্য দেশসমূহের মধ্যে সহযোগিতা জোরদার করার ওপর জোর দিয়েছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ বলা হয়, ড. এ কে আবদুল মোমেন ন্যামের সমস্বয়ক ব্যুরোর মন্ত্রী পর্যায়ের সভায় তার রেকর্ড করা বক্তৃতায় ন্যাম মূল্যবোধের প্রতি বাংলাদেশের অবিচল অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
ড. মোমেন স্মরণ করেন, বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের গুরুত্ব স্বীকার করে সেই ১৯৭৩ সালে প্রথম দিকে বাংলাদেশকে এই আন্দোলনে যোগদানে নেতৃত্ব দেন। তখন থেকে বাংলাদেশ ন্যামের জোরালো সমর্থক হিসেবে রয়েছে।
তিনি বলেন, বান্দুং মূলনীতিমালার ৬৫ তম বার্ষিকীতে ন্যাম সদস্যদের অবশ্যই এ পর্যন্ত আন্দোলনের সাফল্যের প্রতিফলন ঘটাতে হবে এবং বর্তমান ও জায়মান বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জসমূহ বিশেষ করে কোভিড-১৯ মহামারী মোকোবেলায় ন্যামকে আরো প্রাসঙ্গিক এবং কার্যকর করার উদ্যোগ গ্রহণ করেতে হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিশেষত ভ্রাতৃত্ব ও সংহতির চেতনায় চালিত হয়ে সাশ্রয়ী মূল্যে সমতার ভিত্তিতে ও সময়মতো কোভিড-১৯ ওষুধ ও টিকা প্রাপ্তি নিশ্চিতে সদস্য দেশগুলোর মধ্যে রাজনৈতিক অঙ্গীকার ও সহযোগিতার আহ্বান জানান।
তিনি উল্লেখ করেন যে, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই ন্যাম বিশ্বের সাধারণ মানুষের ক্ষুধা ও রোগ মুক্ত থাকা, শোভন কর্মসংস্থান পাওয়া এবং মানসম্মত শিক্ষা অর্জনের আকাক্সক্ষার প্রতিনিধিত্ব করেছে।
তবে, কোভিড-১৯ মহামারী এই আকাঙ্খার জন্য প্রবলভাবে চ্যালেঞ্জ উপস্থাপন করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এই কঠিন সময়ে ন্যাম দেশগুলোকে তাদের সর্বোত্তম অনুশীলন, অভিজ্ঞতা, সংকট-ব্যাবস্থাপনা প্রটোকল, গবেষণা ও সম্পদ নিয়ে এই অদৃশ্য শত্রুর মোকাবেলায় অবশ্যই পুর্ণ সংহতির সঙ্গে কাজ করতে হবে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী কোভিড-১৯ দারিদ্র্য, জলবায়ুু পরিবর্তন, খরা, মরুকরণ, সহিংসতা, উগ্রবাদ ও সংঘাতের মতো বৈশি^ক সমস্যাগুলো আরো বাড়িয়ে তুলতে পারে উল্লেখ করে বলেন, ‘মহামারীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা এবং আমাদের উন্নয়নের সাফল্য ধরে রাখতে একটি শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ, ন্যায় ও সমতাভিত্তিক বিশ্ব প্রতিষ্ঠায় ন্যাম সদস্যদের অবশ্যই আন্দোলনের অবশ্যমান্য নীতি-আদর্শ ও উদ্দেশ্য দ্বারা পরিচালিত হবে।’
তিনি অস্থায়ীভাবে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া নির্যাতিত ও জোর করে বাস্তুচ্যুত ১১ লাখ মিয়ানমার নাগরিককে ফেরত পাঠাতে ন্যাম দেশগুলোর সহায়তা কামনা করেন।