চট্টগ্রাম, ৯ অক্টোবর, ২০২০ (বাসস) : চট্টগ্রামে করোনার সংক্রমণ ক্রমেই বাড়ছে। গত কয়েকদিনে রোগীর সংখ্যা ও সংক্রমণের হার দু’টোই বেড়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় এ ভাইরাসে শনাক্ত হয়েছেন ১০০ জন । শনাক্তের হার ৯ দশমিক ৫৮ শতাংশ।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সর্বশেষ রিপোর্টে বলা হয়, চট্টগ্রামের ৭টি ও কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে গতকাল বৃহস্পতিবার এ জেলার ১ হাজার ৪৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে শহরের ৮৭ জনসহ মোট ১০০ জন নতুন আক্রান্ত শনাক্ত হন। ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে এখন ১৯ হাজার ৪২৭ জন। তবে গতকাল করোনাক্রান্ত কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি।
রিপোর্ট বিশ্লেষণে দেখা যায়, চলতি অক্টোবর মাসের প্রথম দিন ৫৪ জনের শরীরে ভাইরাস শনাক্ত হয়। সংক্রমণ হার ৮ দশমিক ৮২ শতাংশ। এদিন কারো মৃত্যু হয়নি। ২ অক্টোবর ৯০ জন রোগী শনাক্ত হন। হার ৮ দশমিক ২৯ শতাংশ। একজন মারা যান। ৩ অক্টোবর সংক্রমিত ৫৭ জন। হার ৯.৭৬ শতাংশ এবং একজনের মৃত্যু হয়। ৪ অক্টোবর ৩৯ জন সংক্রমিত শনাক্ত হন। হার ৯ দশমিক ৮৫ শতাংশ। এদিনও কোনো রোগী মারা যাননি। ৫ অক্টোবর ৭১ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। হার ৮ দশমিক ৩২ শতাংশ। তবে কারো মৃত্যু হয়নি। ৬ অক্টোবর ৬৭ জন শনাক্ত, সংক্রমণ হার ৮ দশমিক ৩১ শতাংশ এবং ১ জনের মৃত্যু হয়। ৭ অক্টোবর ৭৯ জনের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়ে। হার ৮ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ। এদিন করোনাক্রান্ত দুই রোগী মারা যান।
ল্যাবভিত্তিক ফলাফলে জানা যায়, এদিন সবচেয়ে বেশি নমুনা পরীক্ষা হয় ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে। এখানে ৪৮০টি নমুনার মধ্যে ২৯টিতে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব মিলে। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ৩৪৮ জনের নমুনায় ৩৫ জন পজেটিভ হিসেবে চিহ্নিত হন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ল্যাবে ৭৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২১ জন করোনাক্রান্ত হওয়ার প্রমাণ মেলে। আন্দরকিল্লাস্থ জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরিতে (আরটিআরএল) ২টি নমুনার একটিতে করোনার জীবাণু পাওয়া যায়। তবে সরকারি অপর একটি ল্যাবরেটরি ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে এদিন কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি। নগরীর বেসরকারি তিনটি ল্যাবের মধ্যে ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৬৯, শেভরনে ৫২ এবং চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে ১৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে যথাক্রমে ৮ জন, ৫ জন ও ১ জন করোনাভাইরাস বাহক বলে শনাক্ত হন।
এদিন চট্টগ্রামের ২টি নমুনা কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পরীক্ষা করা হলে কোনোটিতেই করোনাভাইরাস ধরা পড়েনি।