ভোলায় আগাম শীতকালীন শাক-সবজির ভালো দাম পাচ্ছে কৃষক

698

ভোলা, ৮ অক্টোবর, ২০২০ (বাসস) : জেলায় ১৫’শ ৬৬ হেক্টর জমিতে আগাম শীতকালীন শাক-সবজির চাষ হয়েছে। ইতোমধ্যে বেশ কিছু সবজির কর্তন শুরু হয়ে বাজারজাত করা হচ্ছে। প্রথম দিকের সবজির চাহিদা বেশি থাকায় দামও ভালো পাচ্ছে কৃষকরা। নির্ধারিত জমি থেকে ২৮ হাজার ১৮৮ টন শাক-সবজি উৎপাদন হবে বলে আশা করছে কৃষি বিভাগ। এতে হেক্টর প্রতি উৎপাদন ধরা হয়েছে ১৮ টন করে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক রাশেদ হাসনাত বাসস’কে জানান, এসব শাক-সবজির মধ্যে লাল শাক, পালং শাক, মূলা, শিম, টমোটো, ফুল কপি, বাঁধা কপি, বেগুন, রেখা, চিচিঙ্গা, শসা, লাউ, ধনিয়া, করোল্লা, রয়েছে। এছাড়া জেলায় এই প্রথম গ্রীস্মকালীন টমোটোর চাষ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, টমেটোার ফলনও ভালো এসেছে। এর জন্য বিভিন্ন প্রকলে প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষকদের উন্নত জাতের বীজ ও সেচযন্ত্র প্রদানের মাধ্যমে সহায়তা করা হয়েছে। বাজারে বর্তমানে যেসব আগাম শীতকালীন শাক-সবজি পাওয়া যাচ্ছে তা স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত বলেও জানান তিনি।
উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার মো: হুমায়ুন কবির বলেন, জেলায় গত বছর শীতকালীন শাক-সবজি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ৬ হাজার ৬২৭ হেক্টর জমিতে থাকলেও আবাদ হয়েছিল ৮ হাজার ৯০০ হেক্টর জমি। সে হিসাবে এখানে প্রতিবছরই শীতকালীন শাক-সবজির বাম্পার ফলন হয়। একইসাথে আগাম শাক-সবজিরও ব্যাপক ফলন হয়।
কৃষকরা জানিয়েছে, আগাম শীতকালীন শাক-সবজি চাষে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ক্ষতির ঝুঁকি থাকলেও লাভ বেশি হয়। সে ক্ষেত্রে পরিচর্যা ও পরিশ্রম একটু বেশি করতে হয়। কৃষি অফিসের পরামর্শ গ্রহণ করলে খুব বেশি একটা সমস্যা পোহাতে হয়না বলে জানান তারা।
সদর উপজেলার দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের কোড়ালীয়া গ্রামের কৃষক আব্বাস আলী, রহমত মিয়া ও জাফর রহমান বলেন, তারা আগাম শিম ও লাউ’র চাষ করেছেন। ইতোমধ্যে ফলনও এসেছে। প্রথম দফায় তা বাজারে বিক্রি করে ভালো লাভ হয়েছে।