বাসস প্রধানমন্ত্রী-৪ : মন্ত্রিসভায় আয়োডিন যুক্ত লবণ সংক্রান্ত খসড়া আইন অনুমোদন

325

বাসস প্রধানমন্ত্রী-৪
মন্ত্রিসভা-বৈঠক
মন্ত্রিসভায় আয়োডিন যুক্ত লবণ সংক্রান্ত খসড়া আইন অনুমোদন
ঢাকা, ৭ অক্টোবর, ২০২০ (বাসস) : মন্ত্রিসভা আজ নীতিগতভাবে ‘আয়োডাইজ সল্ট অ্যাক্ট, ২০২০’ এর খসড়া অনুমোদন করেছে। এতে যদি কেউ নিবন্ধন ছাড়া আমদানি, উৎপাদন, বাজারজাতকরণ অথবা মজুদ করে, তবে, তাদের এক থেকে তিন বছরের কারাদন্ড বা ৫০ হাজার থেকে ১৫ লাখ টাকা জরিমানার শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বাংলাদেশ সচিবালয়ে মন্ত্রী পরিষদ সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রিসভার সাপ্তাহিক নিয়মিত বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে এই ভার্চুয়াল বৈঠকে যোগ দেন। মন্ত্রিপরিষদ সদস্য এবং সচিববৃন্দ বাংলাদেশ সচিবালয় থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যুক্ত হন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, খসড়া আইনে বলা হয়েছে, সেকশন-৪২-এর অধীনে যে ব্যক্তি আইন লংঘন করবে তাকে ন্যূনতম এক থেকে সর্বোচ্চ তিন বছর সাজা অথবা ৫০ হাজার থেকে ১৫ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দন্ড ভোগ করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘আয়োডোনাইজ সল্ট অ্যাক্ট ২০২০’ আইনের অধীনে সামগ্রিক কার্যক্রম তদারকিতে ১৪ সদস্যের জাতীয় কমিটি গঠিত হবে। শিল্প সচিব কমিটির সভাপতি হবেন এবং সদস্য সচিব হিসেবে বিএসসিআইসি (বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন) অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, প্রস্তাবিত আইনে ১৩টি চ্যাপ্টার ও ৫১টি সেকশন রয়েছে। এতে ন্যাশনাল সল্ট কমিটিকে লবণ উৎপাদন তদারকিতে ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। লবণ উৎপাদন প্রক্রিয়া, রিফাইনিং, আয়োডাইজিং, আমদানি, মজুদ এবং পাইকারি সরবরাহ ও ব্যবস্থাপনা তদারকিতেও কমিটিকে ক্ষমতা দেয়া হয়েছে।
লবণের ব্যবসা করতে হলে সকল লবণ ব্যবসায়ীকে এই আইনের অধীনে লাইসেন্স নিতে হবে। নিবন্ধন ছাড়া কোন ব্যক্তি যদি লবণ আমদানি, মজুদ, পাইকারি সরবরাহ, পরিশোধন এবং দেশের কোথাও আয়োডাইজ লবণ ফ্যাক্টরি চালায় তাহলে এটি অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।
তিনি বলেন, মানব ও প্রাণীর খাদ্য সামগ্রী তৈরিতে আয়োডিনযুক্ত লবণের ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য এবং লবণ খাতকে যথাযথ ব্যবস্থাপনার অধীনে আনার জন্য সব ভোজ্য লবণ আয়োডিন যুক্ত করা বাধ্যতামূলক করার লক্ষ্যে এই খসড়া আইনটি তৈরি করা হয়েছে।
আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, মন্ত্রিসভা ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণের দিনটিকে “ঐতিহাসিক দিবস” হিসেবে ঘোষণার প্রস্তাব নীতিগতভাবে অনুমোদন দিয়েছে।
‘সকলেই জানেন দিনটি ঐতিহাসিক। ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতির পিতার ভাষণই স্বাধীনতা যুদ্ধ ও দেশের স্বাধীনতার মূল অনুপ্রেরণা’ উল্লেখ করে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ৭ই মার্চের ভাষণের নির্দেশনার আলোকেই সর্বস্তরের মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন।
দিবসটির বৈশ্বিক তাৎপর্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই ভাষণটি ইউনেস্কোর ‘মেমরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড রেজিস্টারে’ অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় দিবসটির আন্তর্জাতিক গুরুত্ব রয়েছে।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় উত্থাপিত মন্ত্রিসভার প্রস্তাব সম্পর্কে তিনি বলেন, এতে নতুন প্রজন্মসহ সকলের জন্য মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস প্রতিষ্ঠার প্রয়াস বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, ‘সকল মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অফিস, সংস্থা তাদের নিজ নিজ কর্মসূচির মাধ্যমে এই দিবসটি উদযাপন এবং বাস্তবায়ন করবে। এই দিনটিতে কোন ছুটি থাকবে না।
আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, মন্ত্রিসভায় বর্তমান সরকারের ‘ভিশন-২০৪১ বাস্তবায়ন: বাংলাদেশ পরিপ্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০২১ এবং ২০৪১’ লক্ষ্য সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে, যেখানে সুশাসন, গণতন্ত্রায়ন, বিকেন্দ্রীকরণ এবং দক্ষতা উন্নয়নের চারটি বেসলাইন নিয়ে একটি খসড়া প্রস্তাব করা হয়েছে।
মন্ত্রি পরিষদ বৈঠকে কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন তৈরির ক্ষেত্রে সর্বশেষ অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
বাসস/এএসজি/এসআইআর/অনু-এমএবি/২২১৫/এবিএইচ