বাসস দেশ-৩ : চট্টগ্রামে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত

112

বাসস দেশ-৩
চট্টগ্রাম-কোভিড
চট্টগ্রামে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত
চট্টগ্রাম, ৭ অক্টোবর, ২০২০ (বাসস) : চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হার বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রয়েছে। গতকাল নতুন ৬৫ জনের সংক্রমণ ধরা পড়ে। হার ৯ দশমিক ৬৯ শতাংশ। একই সময়ে করোনাক্রান্তদের একজনের মৃত্যু হয়েছে।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সর্বশেষ রিপোর্টে বলা হয়, মঙ্গলবার চট্টগ্রামের সাতটি এবং কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে এ জেলার ৬৭১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে শহরের ৫৫ জন ও গ্রামের ১০ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস উপস্থিতির প্রমাণ মেলে। ফলে জেলায় মোট সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ১৯ হাজার ২৪৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ২৯৪ জনে।
রিপোর্ট বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত মাসের শেষদিন ৩০ সেপ্টেম্বর সংক্রমণ হার বৃদ্ধির যে ধারা শুরু হয় তা এখনো অব্যাহত রয়েছে। গতকাল ৬ অক্টোবর ৬৭ জন শনাক্ত, সংক্রমণ হার ৮ দশমিক ৩১ শতাংশ এবং ১ জনের মৃত্যু হয়। ৫ অক্টোবর ৭১ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। হার ৮ দশমিক ৩২ শতাংশ। তবে করোনাক্রান্ত কারো মৃত্যু হয়নি। ৪ অক্টোবর ৩৯ জন নতুন সংক্রমিত শনাক্ত হন। সংক্রমণের হার ৯ দশমিক ৮৫ শতাংশ। এদিনও করোনাক্রান্ত কোনো রোগী মারা যাননি। ৩ অক্টোবর সংক্রমিত ৫৭ জন। হার ৯.৭৬ শতাংশ এবং একজনের মৃত্যু হয়। ২ অক্টোবর নতুন ৯০ জন রোগী শনাক্ত হন। হার ৮ দশমিক ২৯ শতাংশ। করোনাক্রান্ত একজন মারা যান। ১ অক্টোবর ৫৪ জনের শরীরে ভাইরাস শনাক্ত হয়। সংক্রমণ হার ৮ দশমিক ৮২ শতাংশ। তবে এদিন করোনাক্রান্ত কারো মৃত্যু হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক ফলাফলে দেখা যায়, এদিন সবচেয়ে বেশি নমুনা পরীক্ষা হয় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) ল্যাবে। এখানে ২৬৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২৬ জন পজিটিভ শনাক্ত হন। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ২৬২ টি নমুনায় ১২ টিতে করোনার জীবাণু পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ল্যাবে ৫২টি এবং চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাবে ২৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে যথাক্রমে ১২ জন ও ৫ জন করোনাক্রান্ত হিসেবে চিহ্নিত হন। তবে নগরীর একমাত্র বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরিতে (আরটিআরএল) ২টি নমুনা পরীক্ষা হলেও দু’টিরই রেজাল্ট নেগেটিভ আসে।
বেসরকারি তিনটি ল্যাবরেটরির মধ্যে শেভরনে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি। ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৪১ জন এবং চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ১৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে যথাক্রমে ৬ জন ও ৪ জন করোনাক্রান্ত বলে জানা যায়।
এদিন চট্টগ্রামের একটি নমুনা কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে যায়। তবে এটিতে করোনার ভাইরাস পাওয়া যায়নি।
বাসস/জিই/কেএস/এমএসএইচ/১৩৪৫/-অমি