শিক্ষকতা চাকুরি নয়, মানব সম্পদ তৈরিরও কারিগর : টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী

262

ঢাকা, ৫ অক্টোবর, ২০২০ (বাসস) : ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, শিক্ষকরা হচ্ছেন মানব সম্পদ তৈরির কারিগর।
শিক্ষকদের যে জাতি সম্মান দেয় না, সে জাতি কখনো এগুতে পারে না উল্লেখ করে তিনি বলেন,‘সমাজে যার-যার মর্যাদা যে ভাবেই চিহ্নিত করা হোক, শিক্ষকরাই সবচেয়ে বেশী সম্মানিত। কারণ শিক্ষকরা কেবল চাকুরি বা রুটিন কাজ করেন তা নয়, তারা মানব সম্পদ তৈরিরও কারিগর।’
মন্ত্রী আজ সোমবার রাজধানীতে বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষ্যে তাঁর সরকারি বাসভবন থেকে এক ওয়েবিনারে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষকদের সংগঠন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ফেডারেশনের জাতীয় শিক্ষক দিবস-২০২০ উদযাপন কমিটি আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. কাজী ফারুক আহমেদের সভাপতিত্বে এ আলোচনা সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. আক্তারুজ্জামান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. হারুন অর রশিদ, সাবেক তত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী, বাংলাদেশে ইউনেস্কোর প্রতিনিধি বিটরিক কালডান ও গণস্বাক্ষরতা কর্মসূচির ড. এনামুল হক বক্তৃতা করেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ডিজিটাল যুগের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থাকে ডিজিটাল শিক্ষা ব্যবস্থায় রূপান্তরের অপরিহার্যতার কথা উল্লেখ করে বলেন,এখন চক ডাস্টারের পরিবর্তে ডিজিটাল ক্লাশরুম এবং কাগজের বইয়ের পরিবর্তে ডিজিটাল কনটেন্ট দরকার।
তিনি বলেন,‘সংকট মোকাবেলায় আগামী দিনের প্রস্তুতিও এখন থেকেই নিতে হবে। শিক্ষকদের ডিজিটাল দক্ষতা অর্জন করতে হবে। কারণ আমাদের লক্ষ্য চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে সক্ষমতা অর্জন করা। আমাদের উদ্দেশ্য বঙ্গবন্ধুর লালিত স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলা।’
মন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি বাস্তবায়ন শুরু না করা হলে করোনাকালে জীবন যাপনের কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে পারতাম না।
ওয়েবিনারে বক্তারা শিক্ষকদের মতামত গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন,‘শিক্ষকদের মতামত গ্রহণে যা যা করণীয় তা করতে হবে। শিক্ষার জন্য খরচকে ভবিষ্যত বিনিয়োগ হিসেবে দেখতে হবে।’
তারাঁ শিক্ষায় তৃণমূলকেও গুরুত্ব দিয়ে শিক্ষকদের নিয়ে কাজ করার আহবান জানান।