বাসস দেশ-৩৩ : বাংলাদেশ-চীন কৌশলগত অংশীদারিত্বকে নতুন উচ্চতায় নিতে চায়

239

বাসস দেশ-৩৩
বাংলাদেশ-চীন-সমম্পর্ক
বাংলাদেশ-চীন কৌশলগত অংশীদারিত্বকে নতুন উচ্চতায় নিতে চায়
ঢাকা, ৪ অক্টোবর ২০২০ (বাসস) : বাংলাদেশ ও চীন দু’দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৪৫ তম বার্ষিকী উপলক্ষে বিদ্যমান কৌশলগত অংশীদারিত্বকে আরো উচ্চ স্তরে নিয়ে যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি মো, আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন এ উপলক্ষে তাদের নিজ নিজ চীনা প্রতিপক্ষ প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই’য়ের সাথে শুভেচ্ছা বার্তা বিনিময় করেছেন।
রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ চীনের বন্ধুত্বপূর্ণ জনগণের শান্তি, অগ্রগতি ও অব্যাহত সমৃদ্ধির কামনা করেন এবং আগামী দিনগুলোতে দু’দেশের মধ্যে বিদ্যমান সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক আরো জোরদার করা হবে বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
প্রেসিডেন্ট শি এর প্রতিউত্তরে বলেন, চীন ও বাংলাদেশ সবসময় একে অপরের প্রতি সমান সম্মান প্রদর্শন করে চলেছে এবং পারস্পরিক আস্থা জোরদার ও পারস্পরের জন্য কল্যাণকর সহযোগিতা আরো গভীর করে চলেছে।
তিনি চীন-বাংলাদেশ কৌশলগত অংশীদারিত্বকে নতুন উচ্চতায় উন্নীত করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
দু’দেশের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার দ্বিপাক্ষীয় সম্পর্ক এবং চীনকে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের অন্যতম মূল্যবান অংশীদার হিসাবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনা বাংলাদেশ-চীন কৌশলগত অংশীদারিত্বকে উচ্চ স্তরে নিয়ে যেতে সহযোগিতা আরো জোরদারের নতুন উপায় সন্ধান এবং শান্তি, নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের জন্য আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সমস্যা সমাধানে একযোগে কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি চলমান কোভিড-১৯ মহামারী চলাকালীন চীনের সহযোগিতা ও সহায়তার প্রশংসা করেন।
প্রধানমন্ত্রী প্রাচীন সভ্যতার দুই দেশের মধ্যে আদান-প্রদানের দীর্ঘ ইতিহাসের কথা স্মরণ করেন, যা জ্ঞান, সংস্কৃতি ও বাণিজ্য প্রবাহকে সহজতর করেছে।
তিনি উল্লেখ করেন যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ ও ‘আমার দেখা নয়াচীন’ গ্রন্থে চীনা জনগণের আবেগ, অঙ্গীকার ও জাতি গঠন প্রচেষ্টার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন এক বার্তায় তার চীনা প্রতিপক্ষকে মিয়ানমার যাতে সাময়িকভাবে বাংলাদেশের আশ্রয়ে থাকা ১১ লাখ বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করে সেলক্ষ্যে সক্রিয় উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
বাসস/সবি/টিএ/অনুবাদ-এইচএন/২১০০/-আরজি